মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিয়ামারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ‘ক্রোধ, মতবিরোধ ও সংঘাত’ ছাড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা। সেখানে জাতিগত রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনী ও সহায়ক সরকারের দমন অভিযানকে জাতিগত নির্মূল হিসেবে অভিহিত করেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক স্বাধীন তথ্য অনুসন্ধানী মিশনের চেয়ারম্যান মারজুকি দারুসম্যান বলেন, এখনো মিয়ানমারে যে ‘নথিভুক্ত নৃশংসতা’ চলছে তাতে ‘নির্ধারক ভূমিকা, পালন করছে এই সামাজিক গণমাধ্যম।
দারুস্যমান বলেন, জনগণের মধ্যে ক্রোধ, মতবিরোধ ও সংঘাতের মাত্রা তীব্র করতে ফেসবুক তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ঘৃণা ছড়ানো বক্তব্যও নিশ্চিতভাবে এর অংশ বলে মনে করেন তিনি। মিয়ানমারে ব্যাপকভাবে ফেসবুক ব্যবহারের কথা উল্লেখ করে এই জাতিসংঘ কর্মকর্তা আবারো জোর দিয়ে বলেন যে দেশটিতে রোহিঙ্গা জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানো হয়েছে। তিনি দাবি করেন, মিয়ানমারের প্রেক্ষাপটে ফেসবুক হলো সোশাল মিডিয়া এবং সোশাল মিডিয়া হলো ফেসবুক।
২০১৭ সালের আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর শুদ্ধি অভিযান শুরুর পর প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম প্রতিবেশি বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে। মিয়ানমার সেনাদের বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণসহ নজিরবিহীন নৃশংসতা চালানোর অভিযোগ রয়েছে। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য ও স্থানীয় বৌদ্ধ রাখাইনরাও এতে অংশ নেয়। এর আগে জাতিসংঘের তদন্ত কর্মকর্তা ইয়াংহি লি বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ব্যবহার করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেছেন, সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর মিয়ানমার বাহিনীর নিধনযজ্ঞে ফেসবুকের তৎপরতা ছিলো ব্যাপক। মিয়ানমারের উগ্র বৌদ্ধদেরও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে। সেখানে ফেইসবুকের ব্যবহার এত বেশি যে, সরকারও ফেসবুকের মাধ্যমে জনগণের কাছে নানা তথ্য ও খবর ছড়িয়ে থাকে। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।
কাশ্মির ইস্যু তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে মোদি সরকার মনমোহন সিং-এর অভিযোগ
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের নরেন্দ মোদি সরকার ‘ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে’র পরিস্থিতি এমনভাবে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে যা আগে কখনো হয়নি। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এই অভিযোগ করেছেন।
নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিত কংগ্রেসের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে রোববার মনমোহন এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘কাশ্মির উপত্যকার পরিস্থিতি দিনকে দিন অবনতি হচ্ছে।’ ভারতকে ‘কাশ্মিরের সমস্যা’ স্বীকার করতে হবে উল্লেখ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী এসব সমস্যা চিহ্নিত ও মোকাবেলা করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেন। বিপুল আদর্শগত পার্থক্য নিয়ে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও এর শরিক দলগুলোর মধ্যে সহজাত টানাপড়েনের প্রতি ইংগিত করে মনমোহন বলেন, তারা এমন এক সরকার কায়েম করেছে যেখানে প্রশাসনের দুটি ডানার একটি অন্যটির বিরুদ্ধে কাজ করছে। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।