পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহসিন রাজু, বগুড়া ব্যুরো : রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দেশের এমন অবস্থা হলে আত্মহত্যা করতেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি বলেছেন, এখন ছেলেরা কি করছে? হতাশায় ছেলেরা ইয়াবা, ফেনসিডিল খায়; পানের দোকানেও এখন এসব পাওয়া যাচ্ছে। কেন খায়? কর্মসংস্থান না থাকায় হতাশায় যবুকরা নেশাগ্রস্থ হচ্ছে। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করলে সমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে। ছেলে এমএ পাস করার পর কনস্টেবলের চাকরির জন্য ১০ লাখ টাকা লাগে। এসআইয়ের চাকরির জন্য ২০ লাখ টাকা লাগে। পিয়নের চাকরির জন্য ১০ লাখ টাকা লাগে। আমার সময়ে দেশের এই অবস্থায় জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকলে আমি আত্মহত্যা করতাম। গতকাল বগুড়া পর্যটন মোটেলে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়া উদ্দিন বাবলু ও স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা জাপার সভাপতি শরিফুর ইসলাম জিন্নাহ এমপি ও দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ওমর এমপি। এর আগে হেলিকপ্টারে তিনি বগুড়া যান।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ আমি। তবে আমার বয়স হয়েছে, এটা আমি মানি না, বিশ্বাস করি না। আমার একটাই লক্ষ্য আগামীতে জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় নিয়ে যাওয়া। জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গেলে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নিরাপদ। আমরা কাউকে জেলে দেব না। তিনি আরো বলেন, জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় নিয়ে যেতে চাইলে আগামী ২৪ মার্চ সবাইকে ঢাকায় আসতে হবে। ঢাকার সমাবেশে যোগ দিতে হবে। আমার বয়স ৮০ কিংবা ৯০ বছর সেটা বড় কথা নয়। আপনারা আমার সঙ্গে আছেন এটাই বড় কথা।
বর্তমান সরকারের উন্নয়নের সমালোচনা করে এইচ এম এরশাদ বলেন, আমার সময়ে ঢাকা থেকে ৬ ঘন্টায় রংপুরে গেছে মানুষ। এখন উন্নয়নের মহাসড়কে সময় লাগে ১২ ঘণ্টা। আমার সময় মানুষ খুন হয়নি, আর এখন দেখেন। এ সরকারের সময়ে নাকি উন্নয়ন হয়েছে। প্রতিদিন দেখছি বাল্যবিয়ে হচ্ছে এবং নিরাপত্তাহীনতার কারণে পিতা-মাতা তার মেয়েকে স্কুলে পাঠায় না। আমার সময়ে এমন ছিল না। আমার সময় আপনার মেয়ে আমার মেয়ে মনে করে নিরাপত্তা দিতাম।
বর্তমান সরকারের ব্যাংক খাত ও অর্থনীতি বিষয়ে এরশাদ বলেন, শেয়ার মার্কেটে টাকা হারিয়ে অনেকেই আত্মহত্যা করেছেন। শেয়ার বাজারের টাকাগুলো বড়লোকেরা নিয়েছে। এখন ব্যাংক ডাকাতি হয়, ব্যাংকেও টাকা নেই। এমনকি আমার ব্যাংকেও টাকা নেই। পৃথিবীর কোথায়ও শুনিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ডাকাতি হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকে ডাকাতি হয়েছে। অনেক তদন্ত হয়েছে, কিন্তু কারা এর পেছনে তা এখনো জানা যায়নি। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আশ্চর্য লাগে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে বলেছেন, অতীতেও প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। কীভাবে শিক্ষামন্ত্রী সহনীয় পর্যায়ে ঘুষ নেয়ার কথা বলেন। এটা কেউ বলতে পারে? ওই কথা বলার পরও তার মন্ত্রীত্ব রয়েছে। রংপুর কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ শিক্ষামন্ত্রীর ভায়রা। সবাই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। কলেজের তালা ঝুলছে। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। কী হয় দেখি। তিনি বলেন, দেশের অবস্থা এমন পর্যায়ে যে প্রধানমন্ত্রী এয়ারপোর্টে নামার কথা থাকলে এয়ারপোর্ট বন্ধ করে দেয়া হয়। আমার সঙ্গে কোনো পুলিশ নেই, নেই গানম্যান। আমি অন্যায় করিনি। আপনারা অন্যায় করেন তাই পুলিশ নিয়ে ঘুরেন। আমরা আগের সেই শান্তির দিনে ফিরে যেতে চাই। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।