Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফিলিস্তিনকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানোয় ট্রাম্পের উদ্যোগ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

প্রথম থেকেই ফিলিস্তিন নিয়ে ইসরাইলি ষড়যন্ত্রের সহযাত্রী আমেরিকা। ফিলিস্তিনি মুসলমানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের যে কোনো অন্যায়কে সমর্থন করে আসছে দেশটি। এবার ইসরাইলের দাবি অনুযায়ী ফিলিস্তিনকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে তারা। এ কাজে তাদের সাহায্য করছে মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলো। নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ইসরাইল-আমেরিকা একটি চুক্তিও স্বাক্ষর করেছে। যা আরব গণমাধ্যমে ইতোমধ্যে ‘ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি’ বা শতাব্দীর সেরা চুক্তি নামে ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। ষড়যন্ত্রটির কথা প্রথম গণমাধ্যমে আসে গত বছরের শেষভাগে। নতুন পরিকল্পনার রূপরেখা তৈরির পূর্বে ইসরাইল-আমেরিকা তাদের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র সউদী আরব, মিসর ও জর্ডানের সঙ্গে সমঝোতা করে নিয়েছে। সমঝোতা চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে ইসরাইল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আরব নেতারা একাধিক বৈঠকও করেছেন। বৈঠকগুলো তেলাবিব, কায়রো ও আম্মানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নতুন চুক্তির সংবাদ যখন প্রথম প্রকাশ হয় তখন বলা হয়েছিলো বর্তমান ফিলিস্তিনকে তিনভাগে ভাগ করে ফেলা হবে। দখলকৃত গাজা উপত্যকা চলে যাবে মিসরের অধীনে। আর দখলকৃত পশ্চিম তীরের একাংশে থাকবে জর্ডানের রাজনৈতিক কর্তৃত্ব। পশ্চিম তীরের অবশিষ্ট অংশ শাসন করবে ইসরায়েল। এখানে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের সার্বভৌম ইসরায়েল রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব দেয়া হবে। এ তথ্য ফাঁস হওয়ার পর আরব জনগণের মাঝে তীব্র প্রক্রিয়া সৃষ্টি হয়। ফলে এ রূপরেখায় খানিকটা পরিবর্তন করে জেরুসালেম বাদে বাকি অংশ নিয়ে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রগঠনের কথা বলা হয়েছে। তবে তাতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়া হবে কি না সে বিষয়ে কোনো অঙ্গীকার নেই। সমপ্রতি মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যমগুলো দাবি করছে, সউদী আরব ফিলিস্তিনকে ‘ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি’-এর একটি কপি হস্তান্তর করেছে। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে তা মেনে নিতে চাপ দিচ্ছে। তবে সউদী আরব কোনো ধরনের নথি হস্তান্তর বা অন্য কোনো ভূমিকা পালনের দাবি অস্বীকার করেছে। যদিও প্রেসিডিন্ট ট্রাম্পের ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’র পুরো রূপরেখা এখনও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় নি তবে ধারণা করা হয় সউদী সরকার এবং ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ উভয়ই পরিকল্পনাটি বিস্তারিতভাবে জানে। এজন্যই ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ বলেছেন, আমেরিকা এ পরিকল্পনা মানার জন্য একজন ফিলিস্তিনিকেও খুজে যাবে না। নাম না প্রকাশের শর্তে এক ফিলিস্তিনি কূটনৈতিক বলেছেন, পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, ওয়েস্ট ব্যাংকের অর্ধেক এবং গাজা ভূ-খন্ড নিয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হবে। ফিলিস্তিনের শরণার্থী সমস্যার মানবিক সমাধান খোঁজা হবে। ফিলিস্তিনিদের জন্য নতুন একটি জেরুসালেম গঠনেরও আশ্বাস দেয়া হয়েছে তাতে। ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু একমত হয়েছেন যে, জেরুসালেমের উপর ফিলিস্তিনের দাবি প্রত্যাহার ব্যতীত কোনো সমস্যার সমাধান হবে না। ফিলিস্তিনের রাজধানী অবশ্যই জেরুসালেমের বাইরে হবে। প্রাচীন ও মূল জেরুসালেমের বাইরে তার নিকটস্থ গ্রামাঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের জন্য নতুন জেরুসালেম গড়ে তোলার অবকাশ দেয়া হয়েছে। নতুন পরিকল্পনায় ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব অর্পন করা হয়েছে ইসরাইলের উপর। এজন্য ফিলিস্তিনকে অধিকৃত ভূমির দাবি ও ভবিষ্যত সীমান্তের ব্যাপারে দরকষাকষি ত্যাগ করতে হবে। ফিলিস্তিনি কূটনৈতিক নাম গোপনের কারণ তুলে ধরে বলেন, আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে মিডিয়ায় কথার অনুমতি দেয়া হয় নি এবং পরিকল্পনাও প্রকাশিত হয় নি। জেরুসালেম ইসরাইলের হাতে থাকলেও মুসলিমদের আল আকসা মসজিদে এবং খ্রিস্টানদের গির্জায় যাওয়ার সুযোগ থাকবে বলে উল্লেখ রয়েছে। ওয়েবসাইট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ