মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বর্তমান অবস্থা নিয়ে ‘খুবই উদ্বিগ্ন’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসের সংবাদ সংগ্রহে নিয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন ট্রাম্প প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট পরিস্থিতির উত্তরণে সাহায্য করতে আগ্রহী। তিনি এ বিষয়ের অগ্রগতি সম্পর্কে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টির সমাধানে ভারত ও সমমনা দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলেন, ‘এই সংকটে আমি চীনের অসহযোগিতামূলক আচরণের বিষয়ের কথা শুনেছি। চীনের আচরণ এবং যুক্তরাষ্ট্রের উদার মানবিক প্রতিক্রিয়ার মধ্যে তারা অবশ্যই বৈপরীত্য দেখতে পাচ্ছে।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপসহকারী লিসা কার্টিস একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাম্প প্রশাসনের এই কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী। গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া হত্যা, নির্যাতন ও নিপীড়নের মাধ্যমে রোহিঙ্গা মুসলিমদের মিয়ানমারের রাখাইন থেকে ধারাবাহিকভাবে বিতাড়িত করার পর সেখানে এরই মধ্যে পুনর্বাসন করা হয়েছে বৌদ্ধ আদিবাসীদের। এএফপির শুক্রবারের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেখানে ‘আদর্শ বৌদ্ধ গ্রাম’ গড়ে তোলা হচ্ছে। ওই ফরাসি বার্তা সংস্থার খবর থেকে পাওয়া যায়, রোহিঙ্গাশূন্য বাফারজোন প্রতিষ্ঠা করতে সেখানে বৌদ্ধদের অর্থায়ন ও সেনা মদতে সংস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে প্রত্যাবাসনের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। ধাপে ধাপে এইসব কর্মকান্ড সম্পন্ন হচ্ছে সামরিকতায় নির্মিত বৌদ্ধতন্ত্র আর ‘মিয়ানমার ন্যারেটিভস’ নামের প্রচারণা কৌশল ব্যবহার করে। অপরদিকে, রোহিঙ্গাদের পুড়িয়ে দেওয়া বাড়িঘরগুলো মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়ে তাদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ছোট ছোট ঘর। মিয়ানমারের রাখাইনের কয়েকটি গ্রাম সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে এএফপির প্রতিবেদনে দেখানো হয়, রাখাইনের উত্তরাঞ্চলের যেসব গ্রামে এক সময় মুসলিম অধ্যুষিত ছিল সেসব গ্রামে বৌদ্ধ রাখাইন আদিবাসীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে সামরিক-বৌদ্ধতন্ত্রের প্রচারণায় রাখাইনে ছড়ানো হয়েছে রোহিঙ্গা-বিদ্বেষ। ২০১৬ সালের আগস্টে অভিযান জোরদার করার আগের কয়েক মাসের সেনাপ্রচারণায় সেই বিদ্বেষ জোরালো হয়। এরপর শুরু হয় সেনা-নিধনযজ্ঞ। বিদ্বেষী প্রচারণার মধ্য দিয়ে রাখাইনের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সেখানকার রাখাইন সমপ্রদায়ের মানুষের ঘৃণার চাষাবাদ হয়েছে দীর্ঘদিন। বিদ্বেষের শেকড় তাই দিনকে দিন আরও শক্ত হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রোহিঙ্গা অ্যাকটিভিস্ট মং জারনি আল-জাজিরাকে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদেরকে সমূলে সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর ১৯৭৮ থেকে প্রায় ৪০ বছর ধরেই এই নিধনযজ্ঞ চলছে।’ সেই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে বিদ্বেষ বাড়িয়ে ২৫ আগস্টের হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। গুলি করে পালাতে বাধ্য করা, গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া, মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা, স্বামীর সামনে স্ত্রীকে ধর্ষণ, শিশু সন্তানকে মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে আগুনে ছোড়ার মতো ঘটনার বিবরণও তুলে আনে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায় ও সংবাদমাধ্যম। ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।