মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়ে দিয়েছে, রোহিঙ্গাদের ভারতে আশ্রয় দেয়ার সুযোগ নেই। এমন কি তাদেরকে শরণার্থী পরিচয়পত্র দিয়েও ভারতে রাখা সম্ভব নয়। জাতীয় স্বার্থ সমুন্নত রাখার কথা উল্লেখ করে আদালতকে ভারত সরকার জানিয়েছে, বৈধ ভ্রমণ নথি ব্যতিরেকে কাউকে ভারতে ঢুকতে দেওয়া সম্ভব নয়। রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত না করতে আদলতের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটি পিটিশনের প্রেক্ষিতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। সিএনএন-নিউজ এইট্টিনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি না থাকা ও সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশের আশঙ্কায় সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সীমান্তরক্ষীদের দ্বারা নিপীড়নমূলকভাবে পুশ ব্যাক করানোর কথা অস্বীকার করলেও, রোহিঙ্গাদের পুশ ব্যাক করানোকে সমর্থন করেছে তারা। সুপ্রিম কোর্টের কাছে হলফনামা দাখিল করে কেন্দ্র সরকার জানিয়ে দিয়েছে, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে কোনও নির্দেশনা আদালত দিতে পারে না। আর সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে জাতীয় স্বার্থকেই প্রাধান্য দিতে চায়। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া কাউকে তারা ভারতে ঢোকার অনুমতি দিতে পারবে না। নিজেদের সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, সীমান্ত সম্পূর্ণভাবে সুরক্ষিত না থাকায় এমনিতেই অন্যান্য দেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ হচ্ছে, যা সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে পড়ার মূল কারণ। অনুপ্রবেশকারীরা ভারতের হাজার হাজার সাধারণ মানুষ ও নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের জীবন কেড়ে নিয়েছে। তাই নতুন করে তারা ঝুঁকি বাড়াতে চায় না। আদালতে দাখিল করা হলফনামায় কেন্দ্র সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় লিখেছে, ‘আইন অনুযায়ী একটি দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত রাখা অবধারিতভাবে একটি নির্বাহী এখতিয়ার। আদালত বিদেশীদের ভারতে ঢুকতে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কেন্দ্রীয় সরকার তো বটেই এমন কি ভারতের কোনও রাজ্য সরকারকেও নির্দেশনা দিতে পারে না, যেহেতু দেশের সীমান্ত সবার জন্য একই।’ মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য, সীমান্তরক্ষা বাহিনীর নেওয়া পদক্ষেপ সুস্পষ্টভাবে আইনানুগ থেকে এবং ভারতের নাগরিকদের ‘বৃহত্তর’ মানবাধিকার রক্ষার্থে নেওয়া হয়। কেন্দ্র সরকার আদালতকে এই হলফনামা দিয়েছে আদালতে পেশ করা আর্জির প্রেক্ষিতে। ওই আর্জিতে দাবি করা হয়েছিল, ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চিলি স্প্রে, স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করা সহ অন্যান্য নিপীড়নমূলক উপায়ে সীমান্ত থেকে পুশ ব্যাক করানো হচ্ছে। সরকারের হলফনামায় চিলি স্প্রে, স্টান গ্রেনেড ইত্যাদি ব্যবহারের কথা অস্বীকার করা হলেও, তাদের বক্তব্যে এটা স্পষ্ট, তারা রোহিঙ্গাদের পুশ ব্যাক করানোকে সমর্থন করে। এছাড়া ওই আবেদনে রোহিঙ্গাদের শরণার্থী পরিচয়পত্র দেওয়ার বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে সরকার তাদের হলফনামায় লিখেছে, বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে নীতিনির্ধারণী এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে এবং ভারত সরকার এরকম শরণার্থী পরিচয়পত্র না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের ভাষ্য, ‘সংসদে শরণার্থীদের নিয়ে এমন কোনও আইন পাস হয়নি যার বলে কাউকে শরণার্থী পরিচয়পত্র দেওয়া যেতে পারে। সিএনএন, নিউজ এইট্টিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।