পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জীবনের পড়ন্ত বেলায় শেষ দিন পর্যন্ত ইসলামের খেদমত করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি বলেন, আল্লাহর শাশ্বত প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সেই সুযোগ আসবে কিনা জানি না, জীবনের শেষ প্রান্তে চলে আসছি। তাই জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ইসলামের খেদমত করতে চাই। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিশনের সম্মিলিত জাতীয় জোটের শরীক শরীয়াহ্ আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও কর্মী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। আলেম-ওলামাদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আপনাদের সংস্পর্শে আসতে পারলে খুশি হতাম। কত মধুর কথা, কত মধুর কন্ঠ আপনাদের। এই কথা সবাইকে বুঝিয়ে দিতে পারলে ভালো হতো যে একমাত্র শান্তির পথ ইসলাম। সে দিন দূরে নয়, পরিবর্তন আসবেই। কারণ ইসলাম ছাড়া শান্তির পথ নেই। এত অত্যাচার আল্লাহ সহ্য করবেন না।
এরশাদ বলেন, জালিমের জুলুম, অত্যাচার হতে দেশ ও ইসলামকে রক্ষা করতে হবে। আজ সারা বিশে^র মুসলমান ও ইসলাম ধর্মকে ধ্বংস করার নীল নকশার মহোৎসব চলছে। সিরিয়া, আফগানিস্তান, ফিলিস্থিনে নির্বিচারে শিশু, নারীসহ সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে। ইসলামকে রক্ষা করতে হলে সকল ইসলামী দল এবং ধর্মভিরু মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি আরো বলেন, দিন বদলাচ্ছে, পরিবর্তন হচ্ছে, ছনের ঘর থেকে টিনের ঘর হয়েছে। কিন্তু সেই টিনের ঘরেও নিরাপত্তা নেই। বাস্তবে সমাজের অবস্থা কি? আপনারা জানার কি চেষ্টা করেছেন! চাকচিক্য শুধু ঢাকায়, গ্রাম-গঞ্জের অবস্থা ভাল না। অসহায় মানুষ গ্রাম-গঞ্জে থাকা ও খাবার না পেয়ে শহরমুখী হচ্ছে এবং এসে বস্তিতে বসবাস করছে। সেই মানুষগুলো মাথা গোজার ঠাঁই আগুনে পুড়ে দেয়া হচ্ছে।
সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা (জাতীয় পার্টি) ইসলামী মূল্যবোধে বিশ^াস করি। ইসলামের কথা শুনলে মানুষ ঘৃণা করে, রিফুজি মনে করে। পশ্চিমারা আমাদের সন্ত্রাসী হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা করেছেন। কারণ, আমাদের মধ্যে ঐক্য নাই। ডেমোক্রেসি নাই এই অপরাধে ইরাক, লিবিয়া ধ্বংস করা হলো। সিরিয়া ধ্বংসের পথে। বিদেশীরা এই কথা বলে ইসলামী রাষ্ট্রগুলোকে ধ্বংস করতে চাইছে। ইসলামের পক্ষে কথা বলার কেউ নাই, ঐক্যবদ্ধ থাকলে ইসলামকে কেউ ধ্বংস করতে পারবেনা। এরশাদ তার বক্তব্যে আগামী ২৪ মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশকে সফল করার আহবান জানিয়ে বলেন, আমরা প্রমাণ করতে চাই বাংলাদেশের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি একটি বিশাল শক্তি।
মুফতী মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, জাতীয় ইসলামী মহাজোটের চেয়ারম্যান আবু নাছের ওয়াহেদ ফারুক, জোট নেতা আলহাজ¦ আবুল হাসনাত, মাওলানা আব্দুল লতিফ চৌধুরী প্রমূখ। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।