চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
\ শেষ \
এর ফলে নারী পুরুষ পরস্পরের মধ্যে দাম্পত্য জীবন শুরু করার বৈধ অধিকার পায়।
নৈতিক চরিত্র সংরক্ষণ, পবিত্রতা এবং সতিত্ব রক্ষার অন্যতম মাধ্যম বিয়ে। বিয়ে হচ্ছে নারী পুরুষের চরিত্রকে পবিত্র রাখার একমাত্র বৈধ উপায়। বিবাহের মাধ্যমে পাপ কর্ম থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। জৈবিক চাহিদা পূরণ হয়। মনে প্রশান্তি আসে। বিয়ের ফজিলত অপরিসীম। বিয়ে করার মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার পথ সহজ হয়। ইসলামে বিবাহের প্রয়োজনীয়তা ব্যাপক যা প্রত্যেক নর-নারীর জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। পরিতাপের বিষয়, জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আজকের নামধারী সভ্য সমাজের কিছু নরকের কীট নর-নারীর এই বন্ধনকে অবজ্ঞা, অবহেলা, জীবন চলার পথের প্রতিবন্ধকতা মনে করে এই পবিত্র বিবাহ বন্ধনকে অবমূল্যয়ান করে বিভিন্ন অপরাধ মূলক তথা সমাজ এবং ধর্ম বিবর্জিত কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। এ সকল অপকর্মের বিষাক্ত ছোবলে পৃথিবীতে নেমে আসে ভূমিকম্প সহ মারাত্বক প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
বিবাহ বর্হিভূত যৌন সম্পর্ক আজ আমাদের নামধারী সভ্য সমাজে মহামারি আকার ধারণ করছে। যার বিষাক্ত ছোবলে জড়িয়ে পড়ছে আজ কালের নারী পুরুষের কিছু অংশ। ইসলাম নিষিদ্ধ সহকর্মী সংস্কৃতি,বয়ফ্রেন্ড, দোস্ত কালচারের প্রদত্ত উম্মাদনা এবং প্রেম, ভালবাসার আড়ালে পরকিয়ার ন্যায় অভিশপ্ত অভিসার, লিভ টুগেদারের মত ত্রিমুখী এবং চর্তুমুখী সম্পর্কের মত জঘন্য, ঘৃণিত ঘটনায়।
বিবিসি’র এক জরিপ রিপোর্টে উল্লেখ, আমেরিকায় কর্মক্ষেত্রে ও শিক্ষাঙ্গণে অর্ধেক নারীই যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। রিপোর্টে কর্মক্ষেত্র ও পড়াশোনার জায়গায় নারীরা উদ্বেগজনকভাবে অশ্লীল, নোংরা, অযাচিত স্পর্শ, যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। জরিপে প্রায় ৫৩ শতাংশ নারী জানান, প্রতি ১০ জনে ১ জন নারী যৌন নিপীড়নের শিকার এবং কর্মস্থলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কর্তৃক ৩০ শতাংশ নারী যৌন টার্গেটে পরিণত হয়। পাশ্চাত্য দেশগুলোতে নারীরা ব্যাপকভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার। এসব ঘটনার বেশির ভাগই হুমকি, সামাজিক হেনস্তা বা লজ্জার ভয়ে সেভাবে প্রকাশ হয় না। পাশ্চাত্য সমাজের এ ভয়াবহ কুৎসিত চিত্রকে আড়াল করে তথাকথিত নারীবাদীরা কী করে পশ্চিমা সমাজকে নারী অধিকারের মডেল বলে? তারা কি জানে! নারীর ইজ্জত-সম্মানের সুরক্ষা দিয়ে, তাদের ন্যায্য অধিকার, শান্তি ও নিরাপত্তামূলক জীবন-যাপনের গ্যারান্টি শুধু ইসলামই দিয়েছে।
ইসলাম হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার আল্লাহ তায়ালার প্রদত্ত জীবন বিধান। সৃষ্টি কর্তা তার সৃষ্টি সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি অবগত। ইসলামের শাশ^ত বিধান উপেক্ষা করে শান্তিময় জীবন সম্ভব নয়। আজকের নারী সমাজকে পাশ্চাত্যের সেই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে আত্মরক্ষা ও সুন্দর জীবন লাভের জন্য ইসলামের বিধি বিধান মেনে চলা প্রয়োজন। তাহলে আমাদের পরকালীন জীবন হবে শান্তি ও মুক্তির অনবদ্য উপায়। আল্লাহর রাসুল হযরত নবী করিম (দঃ) এর বাণীর চেয়ে উত্তম ও গঠনমূলক নীতি আর কি হতে পারে। তিনি বলেছেন, বংশ মর্যাদা লাভের আশায়, নৈতিক চরিত্র পরিশুদ্ধ রাখা এবং আদর্শ পরিবার ও সমাজ গঠনের উদ্দেশ্যেই বিয়ে করা উচিত। সুতরাং বিয়ে করার মাধ্যমে আমরা ব্যভিচার থেকে বাঁচতে পারি এবং মনের প্রশান্তি আনতে পারি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।