বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
যৌন উত্তেজক হালুয়া খেয়েছিল যুবক জিল্লুর, মোতালেব, শামীম ও ফরিদ। আর এ হালুয়ার বিষক্রিয়ায় প্রাণ গেছে এদের মধ্যে দুইজনের। অপর দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি আশুলিয়ার ভাদাইল মন্ডল কলোনির। বুধবার রাতে কবিরাজের দেয়া যৌন উত্তেজক হালুয়া খায় তারা। কিছুক্ষণ পরই জিল্লুর রহমান (২৪) ও মোতালেব মিয়া (২৫) মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
শামিম (২৭) ও ফরিদ উদ্দিন (৪৯) বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়লে দ্রুত তাদের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফরিদ উদ্দিন আশুলিয়ার নতুন ইপিজেড এলাকার সাইরেক্স ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার সিকিউরিটি সুপারভাইজার এবং বাকীরা বিভিন্ন কারখানার পোশাক শ্রমিক। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ফরিদ হোসেনের সহকর্মী জানান, ফরিদ হোসেন রাত ১০ টায় কারখানায় প্রবেশ করেন। এরপর রাত ১২ টার দিকে আকস্মিকভাবে তিনি বমি করার পাশাপাশি ঘামতে থাকেন। পরে তাকে স্থানীয় হাবিব ক্লিনিকে নেয়া হলে তিনি বাসায় হালুয়া খাওয়ার কথা জানান। ঠিক একই সময় আব্দুল মোতালেব, জিল্লুর রহমান এবং শামীমকে হাসপাতালে নিয়ে আসে তাদের স্বজনরা। তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখানকার চিকিৎসকরা চারজনকেই এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। এনাম হাসাপাতালের ডাক্তার দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, মন্ডল কলোনির ম্যানেজার নুরু মিয়া ও লুৎফর রহমান নাসির নামে একজন ভণ্ড কবিরাজকে বাসায় রেখে ব্যবসা করেন। রাতে ওই কবিরাজ চার জনকে যৌন উত্তেজক হালুয়া তৈরি করে খাওয়ান। কিছুক্ষন পর থেকেই তারা অসুস্থ হতে শুরু করেন। সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক গৌতম ঘোষ জানান, প্রাথমিকভাবে খাদ্য বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আশুলিয়ার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহিনুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।