পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : ৩৪ দিন কারাভোগের পর গতকাল (বুধবার) জামিনে মুক্তি পেয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন। বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হয়ে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ে যান। সেখানে তাকে বুকে জড়িয়ে ধরেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। পরে দলীয় কার্যালয় চত্বরে তাৎক্ষণিক এক সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া সরকারের একদলীয়, ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী শাসনের সবচেয়ে বড় শিকার। এই জুলুম থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরাও রেহাই পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, বিএনপির রাজনীতি গণতান্ত্রিক, নিয়মতান্ত্রিক ও বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে। আর আওয়ামী লীগ এক দলীয় শাসক ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারী ধারার রাজনীতি করছে। তারা অব্যাহতভাবে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করছে। এজন্য নিপীড়ন, নির্যাতন, গুম-খুন ও মিথ্যা মামলার মাধ্যমে তারা ভয়ভীতি সৃষ্টি করতে চায়। এর শিকার ডা. শাহাদাত হোসেন। সবচেয়ে বড় শিকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নগর বিএনপির সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান। প্রধান বক্তা ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম। বক্তব্য রাখেন শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর। সংবর্ধনার জবাবে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, জেল-জুলুম, হুলিয়া দিয়ে সরকার তার পতন ঠেকাতে পারবে না। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে গণআন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে।
গত ৮ ফেব্রæয়ারি খালেদা জিয়ার মামলার রায় ঘোষণার দিন দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ডা. শাহাদাত হোসেনসহ ২৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় পুলিশের কাজে বাধাদান ও সন্ত্রাস দমন আইনে দুটি মামলা হয়। উচ্চ আদালত থেকে ওই দুুটি মামলায় জামিন পাওয়ার পর পুলিশ ডা. শাহাদাত হোসেনকে অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার দেখায়। পরে উচ্চ আদালত থেকে ওই মামলায়ও জামিন পান তিনি।
চট্টগ্রামে বিএনপির জনসভা আজ
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আজ (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে বিএনপির জনসভা। চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি আয়োজিত এ জনসভায় প্রধান অতিথি থাকবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া দলের স্থায়ী কমিটির প্রায় সকল সদস্য উপস্থিত থাকবেন। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকে চট্টগ্রাম পৌঁছে গেছেন। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী গতকালও (বুধবার) চট্টগ্রামের নেতাদের সাথে জনসভার সর্বশেষ প্রস্তুতি নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। বিএনপির নেতারা বলছেন জনসভা সর্বাত্মক সফল করতে সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষ। পুলিশের অনুমতি পাওয়ার সাথে সাথে লালদীঘি ময়দানে মঞ্চ নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। শেষ সময়ে হলেও জনসভার অনুমতি পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী নেতারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।