Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

বৌদ্ধদের নিজস্ব ফেসবুক রোহিঙ্গাসহ সংখ্যালঘু বিরোধী ঘৃণা উস্কে দিচ্ছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বৌদ্ধদের নিজস্ব ফেসবুক রোহিঙ্গাসহ সংখ্যালঘু বিরোধী ঘৃণা উস্কে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে গঠিত জাতিসংঘের তদন্ত দল। তারা অভিযোগ করে বলেছে, মিয়ানমারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক অনেকটা পশুতে পরিণত হয়েছে। রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াতে এটি নিয়ামকের ভূমিকা পালন করছে। তদন্ত দল তাদের এ সংক্রান্ত অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতেই এ কথা বলা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান মারজুকি দারুসমান বলেছেন, রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে জনসাধারণের মধ্যে বিদ্বেষের মাত্রা বাড়াতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের স্বতন্ত্র ভূমিকা রয়েছে। বিদ্বেষপূর্ণ কথাবার্তা অবশ্যই তার অংশ। মিয়ানমারের পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক এবং ফেসবুক হচ্ছে সামাজিক গণমাধ্যম।’ জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াংহি লি বলেছেন, ‘আমরা জানি উগ্র জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধদের নিজস্ব ফেসবুক রয়েছে এবং তারা সত্যিকারার্থে ব্যাপক সহিংসতা উস্কে দিচ্ছে এবং রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণা উস্কে দিচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমি ভীত যে, ফেসবুক এখন পশুতে পরিণত হয়েছে এবং এটি সত্যিকারার্থে যা হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি।’ ফেসবুক কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে, সামাজিক এই যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্বেষপূর্ণ বার্তা ছড়ানোর কোনো জায়গা নেই। ফেসবুকের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, আমরা এই বিষয়টি অতি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি এবং নিরাপত্তা উপকরণের উন্নয়ন ও পাল্টা বক্তব্য প্রচারের জন্য কয়েক বছর ধরে মিয়ানমারের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করেছি। মিয়ানমারের জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক তথ্যানুসন্ধান মিশনের চেয়ারম্যান মারজুকি দারুসমান সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গা নিধনে সামাজিক মাধ্যম ‘নির্ধারণী ভূমিকা’ পালন করেছে। তিনি বলেন, ‘এটি জনগণের মধ্যে বিরোধ, অশান্তি ও দ্ব›েদ্বর মাত্রা বাড়িয়েছে বিপুল পরিমাণে। নিশ্চিতভাবেই বিদ্বেষী প্রচারণা সেই দ্ব›দ্ব-বিরোধ-অশান্তির একটা অংশ।’ মিয়ানমারে ফেসবুকের জনপ্রিয়তার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় সামাজিক মাধ্যম হলো ফেসবুক আর ফেসবুক মানে হলো সামাজিক মাধ্যম। বিবিসি।



 

Show all comments
  • NN ১৫ মার্চ, ২০১৮, ৫:৫৬ এএম says : 0
    Thein Sen handed his military power to Min Aung Hlaing. Suu Kyii is in full cooperation with the military. The irony is Thein Sen is still behind the military dictator from his monastic life and still grooming the army general. Suu Kyii's aim is also to cleanse the Myanmar Rohynags.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফেসবুক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ