Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভয়নগরে শিক্ষকদের মাঝে বাড়ছে ক্ষোভ

আট বছরেও প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচন না হওয়ায়

| প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

অভয়নগর (যশোর) থেকে নজরুল ইসলাম মল্লিক : গত ৮ বছরেও অভয়নগরে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলছে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাজ। অধিকাংশ শিক্ষক দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে থাকলেও গুটি কয়েক স্বার্থনেষী শিক্ষককের জন্য নির্বাচন হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে করে সাধারন শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাধতে শুরু করেছে।
জানা যায়, ২০০৮ সালে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির অভয়নগর শাখার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে উপজেলার হিদিয়া সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বক্কার সভপতি ও মধ্যপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইকবল হোসেন সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৩ বছরের জন্য নির্বাচিত ওই কমিটির মেয়াদ ২০১১ সালে শেষ হয়ে যায়। এরপর অদ্যাবধি আর কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। এরমধ্যে ২০১২ সালে সমিতির সভাপতি আবু বক্কার চাকরি থেকে অবসরে গেলে তার স্থলে ১নং সহ-সভাপতি গোপিনাথ পুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহন করেন। অপর দিকে সাধারন সম্পাদক মোঃ ইকবল হোসেন ২০১৪ সালে চাকরি থেকে অবসরে গেলে তার স্থলে নাউলি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মুজিবর রহমান ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদকের দায়িত্বভার গ্রহন করেন। সেই থেকে অদ্যবধি সভাপতি সাধারন সম্পাদকের গুরুত্বপূর্ন পদ ২টি ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলছে। তাছাড়া প্রতি ৩ বছর পরপর নির্বাচন হওয়ার নিয়ম থাকলেও গত ৮ বছরে কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। এতে করে সাধারন শিক্ষকদের মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষোভ দানা বাধতে শুরু করেছে। অধিকাংশ শিক্ষকরা নির্বাচনের পক্ষে থাকলেও গুটি কয়েক স্বার্থনেষী শিক্ষকের কারনে নির্বাচন হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচন হলে পদে থাকা ওই শিক্ষকরা পদ হারাতে পারেন এই আশংকায় নির্বাচনে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে বলে জানা যায়। এর মধ্যে নামের প্রথম অক্ষর অ ও প্রা রয়েছে। যারা নিজেরদের ক্ষমতাধর শিক্ষক নেতা হিসেবে জাহির করে থাকেন। এ বিষয় সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক নাউলি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে শিক্ষকদের ক্ষোভের কথা স্বীকার করে বলেন, নির্বাচনের জন্য বারবার চেষ্টা করেও অজ্ঞাত কারনে আর সম্ভাব হয়ে উঠেনি। তবে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে তিনি প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্ষোভ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ