পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) একে একে ব্যর্থতার ফর্দ ফের তুলে ধরলেন স্বয়ং মন্ত্রী। তাও স্বঘোষিত ‘কর্মবীর’ সিডিএ চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করেই। গতকাল (সোমবার) এখানে-সেখানে আলাপে-আড্ডায় চট্টগ্রাম নগরবাসীর আলোচনায় উঠে আসে জমজমাট একটি সভায় মন্ত্রীর মুখেই উচ্চারিত সিডিএর নানামুখী অনিয়ম, ব্যর্থতা ও হতাশার কথাগুলো। সিডিএ-‘কর্মবীরে’র জনদুর্ভোগ বাড়িয়ে তোলা বিভিন্ন কর্মকাÐের সেসব ফিরিস্তি। অবশ্য অনেকে সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন তুলেছেন, ‘কর্মবীরে’র অপরিকল্পিত এমনকি লাগামহীন ‘উন্নয়ন’ কিংবা ‘সেবা’র কর্মযজ্ঞ সংশ্লিষ্ট সিনিয়র এই মন্ত্রীর কথার পর থামবে কিনা। আর চাটগাঁবাসী অনাহুত দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পাবেন কিনা। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) হচ্ছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চট্টগ্রামের অন্যতম সেবা ও উন্নয়নমূলক সরকারি সংস্থা। সিডিএর জবাবদিহিতাও মূলত সেই মন্ত্রণালয়ের কাছেই। অথচ দীর্ঘদিন জবাবদিহিতার কোনো বালাই না থাকার কারণেই সেই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীকে ক্ষোভ-অসন্তোষ ঝাড়তে হলো! যা সমগ্র চট্টগ্রামবাসীর মনের কথারই প্রতিফলন।
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন গত রোববার চট্টগ্রামে নাগরিক সেবা ও উন্নয়নে সম্পৃক্ত সরকারি সংস্থা, বিভাগসমূহের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় সিডিএর তাবৎ অনিয়ম, ব্যর্থতার আংশিক চিত্র তুলে ধরেন। তিনি ইতিপূর্বেও সিডিএর অপরিকল্পিত কর্মকাÐে জনদুর্ভোগের কারণে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। মন্ত্রী সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘সিডিএর অনিয়ম হচ্ছে। সিডিএর অনুমতি ছাড়া অনেকেই স্থাপনা করছে। কিন্তু আপনারা সেটা (অনুমোদিত স্থাপনা) নিশ্চিত করছেন না। আমি কি জিজ্ঞাসা করতে পারি, আপনারা তাদেরকে কোনো নোটিশ দিয়েছেন কিনা? না, আমি তা মনে করি না। আপনারা কাউকে কিছুই না জানিয়ে বৃহস্পতিবার দিন এগুলোর তালিকা করেন এবং শনিবার বিকেলে শেষ করে দেন’।
সিডিএর পানিবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের মনিটরিং কমিটির উক্ত সভায় পূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ চট্টগ্রামে সিডিএর খামখেয়ালীতে নির্বিচারে পাহাড়-টিলা নিধন করে অবৈধ বসবাস বন্ধের নির্দেশ দেন। তিনি চেয়ারম্যান ছালামকে বলেন, ‘সিডিএর ওপর আপনার একটা দায়িত্ব আছে বিরাট। সেই দায়িত্ব হলো, পাহাড় কাটা বন্ধ করা। নালা থেকে মাটি আসে সেটা থেকে বালি হয়। আমাদের এলাকাটা পাহাড়ি অঞ্চল। আমাদের পাহাড়গুলো বালির পাহাড়। যখন বৃষ্টিপাত হয় তখন বালি ধুয়ে আসে। কেন আসে? পাহাড় কাটে মানুষ। ওরা সেখানে থাকে। আমি কেন পাহাড় কেটে মানুষদের থাকতে দেবো। আমার সিডিএর লোক থাকে না, সিডিএর পরিদর্শক যায় না, পাহাড় কাটায় বাধা দেয় না। এমনও পাহাড় আছে যেখানে বুলডোজার দিয়ে পাহাড় কাটছে। অথচ সিডিএর লোক সেখানে যায় নি। এতে দেখা যায়, যখন বৃষ্টি হয়, অনেক লোক মারা যায় পাহাড়ধসে। তাছাড়া বালুময় পাহাড় থেকে বালু এসে নালা-নর্দমাগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এতে করে পানি উপচে পড়ে। সেখানে সিটি কর্পোরেশন কতো নালা-নর্দমা আর বালু পরিষ্কার করবে। মানুষকে পাহাড় কেটে দখলে না আসতে দিলেই তো হয়’। তিনি বলেন, নগরীতে অনেক অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। সিডিএর অনুমতি ছাড়াই সেসব স্থাপনা নির্মিত হয়েছে। সিডিএর অনুমতি না নিয়ে ভবন নির্মিত তা উচ্ছেদ করা দরকার। পাহাড়কাটার বালু গিয়ে খালে পড়ছে। খাল ভরাট হয়ে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এসব পাহাড়কাটা বন্ধ করতে হবে। সিডিএর ইন্সপক্টেররা এসব কাজে বাধা দেয় না কেন’?
পানিবদ্ধতা নিরসন কবে
দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ‘বার মাইস্যা’ সমস্যা পানিবদ্ধতা। বৃষ্টি আর সামুদ্রিক জোয়ারের পানি একাকার হয়ে বছরের প্রায় অর্ধেক সময়জুড়ে নগরীর ব্যাপক এলাকা তলিয়ে যায়। সিডিএর নাকের ডগায় পাহাড়-টিলা নির্বিচারে কেটে-খুঁড়ে সাবাড় করার কারণে পাহাড়-ধোয়া বালু মাটি সমগ্র নগরীর নালা-নর্দমা, খালে-ছরায় এমনকি সড়ক ও রাস্তাঘাট, বসতঘর, দোকানপাট, গুদামে ছড়িয়ে পড়ে। বেদখল করে নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ সারি সারি বসতঘরের উপর পাহাড়-টিলা ধসে গিয়ে বেঘোরে মারা যায় নিরীহ দরিদ্র বস্তিবাসী মানুষ। কিন্তু পাহাড়-আগ্রাসীরা সবসময়ই থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। সেই সঙ্গে বেদখল, ভরাট ও দূষণে ‘চট্টগ্রামের দুঃখে’ পরিণত হয়েছে চাক্তাই খালসহ ৩৬টি খাল-ছরা। পানি নিষ্কাশনের স্বাভাবিক পথ রুদ্ধপ্রায়। এ অবস্থায় মহানগরীর কমপক্ষে ২৫ লাখ মানুষ পানিবদ্ধতার কারণে নানামুখী দুর্ভোগের শিকার। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিগত ৯ আগস্ট’১৭ইং একনেক কর্তৃক সরকারি অর্থায়নে ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার একটি মেগাপ্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। ‘চট্টগ্রাম শহরের পানিবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণকল্পে খাল পুনঃখনন, স¤প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক এ মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রথমে এককভাবে দায়িত্ব দেয়া হয় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (সিডিএ)। তবে সিডিএর কোনো ধরনের প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই কিংবা কারিগরি সমীক্ষা ছাড়াই সংস্থাটিকে (সিডিএ) একতরফা দায়িত্ব দেয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে তাৎক্ষণিক চট্টগ্রামের সচেতন নাগরিকমহল, পরিকল্পনাবিদ ও বিশেষজ্ঞদের মাঝে প্রবল সমালোচনা, প্রশ্ন-সংশয়-হতাশা ব্যক্ত করা হয়। অবশেষে সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগকে সিডিএ, সিটি কর্পোরেশনসহ নাগরিক সেবা ও উন্নয়ন সংস্থা/বিভাগসমূহের সাথে সমন্বয় করে মেগাপ্রকল্পের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা হয়েছে। বন্দরনগরীর পানিবদ্ধতা সঙ্কট নিরসনে সাড়ে ৫ হাজার টাকার মেগাপ্রকল্পটি ২০২০ সালের জুন নাগাদ বাস্তবায়নের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়।
অন্যদিকে চলতি বছরে চট্টগ্রামের পানিবদ্ধতা নিরসনে অতিসম্প্রতি একনেক-এর কাছ থেকে ৫শ’ কোটি টাকা ছাড়করণ সম্ভব হয়েছে। এর মাধ্যমে চট্টগ্রামের ৩৬টি খালের মধ্যে মাত্র ১৬টির পুনঃখনন, সংস্কার ও সম্প্রসারণের টার্গেট রাখা হয়েছে। বর্ষা মওসুম ঘনিয়ে আসছে। আগামী দুয়েক মাসের মধ্যে খাল-ছরা সংস্কার, বেদখলমুক্ত করাসহ মহানগরীকে পানিবদ্ধতামুক্ত করা বাস্তবিক পক্ষে সম্ভব কিনা তা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। তাছাড়া পাহাড়-টিলা কাটা বন্ধ ও পাহাড়ের কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা হাজারো অবৈধ স্থাপনা, বসতঘর উচ্ছেদ করে বিকল্প স্থানে পুনর্বাসনে সিডিএ, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আপাতত কোনো সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নেই। নেই কোনো সমন্বয়। অবশ্য এবারের বর্ষায় চট্টগ্রাম নগরীতে পানিবদ্ধতা ‘সহনীয়’ (দূরীভূত নয়) থাকবে এমনটি আশ্বাস দিয়ে গেছেন পূর্তমন্ত্রী নিজেও।
সমাজে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় সকলকে নবী (সা.)-এর তরিকা অনুসরণ করতে হবে পীর ছাহেব ছারছীনা
ইসলামের শান্তির বাণী তরুণ ও যুব সমাজে ছড়িয়ে দিতে হবে -এ এম এম বাহাউদ্দীন
বরিশাল ব্যুরো
ঐতিহ্যবাহী ছারছীনা দরবার শরিফের বার্ষিক ইছালে সওয়াব মাহফিলের লাখো মুসল্লিদের উপস্থিতিতে জমিয়াতুল মোদার্রেছীন-এর সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেছেন, ইসলাম যে শান্তির বাণী বহন করছে তা আমাদের তরুণ ও যুবসমাজের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। আমাদের তরুণ ও যুবসমাজকে ইসলামের পথে আনতে তাদেরকে হক্কানী দরবারমুখী করতে হবে। নচেৎ দেশ ও সমাজের এ বড় অংশ বিপথগামী হবার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি গতকাল যোহর নামাজের আগে ছারছীনা দরবার শরিফের বার্ষিক মাহফিলে সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখছিলেন। বিশাল এ মাহফিলের দ্বিতীয় দিনে বাদ যোহর সংক্ষিপ্ত বয়ানে ছারছীনার পীর ছাহেব আলহাজ হজরত মাওলানা শাহ মো. মোহেব্বুল্লাহ দেশ ও সমাজে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার তাগিদ দিয়ে সকলকে নবী (সা.)-এর সত্য ত্বরিকা অনুসরণের আহŸান জানান। তিনি বলেন, ছারছীনা দরবার শরিফে কোন বিদআতের স্থান নেই। এখানে পবিত্র কুরআনের আলোকে নবীজী (সা.)-এর আদর্শের শিক্ষা দেয়া হয়। পরে দরুদ শেষে পীর ছাহেব উপস্থিত মুসল্লিয়ানসহ দেশ এবং মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত করেন।
মাহফিলে মুসল্লিদের উদ্দেশে আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, ছারছীনা দরবার শরিফে আসলে দিল শান্ত হয়, মনে অনাবিল শান্তি আসে। তাই এখানে ছুটে আসি বার বার। ইনকিলাব সম্পাদক স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমার মরহুম আব্বাজান, আলহাজ এমএ মান্নান ছাহেব এ দরবার শরিফের ভক্ত ছিলেন। এখানে এলে তার কথাও মনে পড়ে যায়। তাই হৃদয়ের টানে এখানে ছুটে আসি। তিনি বলেন, আমার পরিবারসহ গোটা ইনকিলাব পরিবার ও দেশের মাদরাসার শিক্ষকগণ ছারছীনা দরবার শরিফের ভক্ত। দেশের মাদরাসা শিক্ষা উন্নয়নে ছারছীনার মরহুম পীর ছাহেবের অবদানের কথাও তিনি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
জমিয়াতুল মোদার্রেছীন সভাপতি আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, দেশে কিশোর অপরাধ বাড়ছে, শুধু আজকের পত্রিকাতেই চট্টগ্রাম ও সিলেটের দুটি ভয়াবহ অপরাধের কথা ছাপা হয়েছে, যার সাথে কিশোররা জড়িত। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের কিশোর ও যুবসমাজ ধর্ম থেকে দূরে সরে যাবার কারণেই অবক্ষয় বাড়ছে। এ থেকে উত্তরণে তিনি সবার সন্তানকে কাছে টেনে নেয়াসহ তাদেরকে ধর্মের অনুসারী ও দরবারমুখি করারও আহবান জানান। নচেৎ যুবসমাজ হয় জঙ্গী হবে অথবা মাদকাসক্ত হবে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। যা দেশ, সমাজ ও সংসারের জন্য ভয়াবহ ভীতিকর হতে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা ব্যক্ত করেন। তিনি দেশে দ্বীনিয়া মাদরাসা বাড়ছে বলে জানিয়ে ধর্মীয় শিক্ষা স¤প্রসারণসহ তার পৃষ্ঠপোষকতার জন্যও সকলের প্রতি আহবান জানান। এ প্রসঙ্গে তিনি দেশে দ্বীনি শিক্ষা বিস্তারে ছারছীনা দরবারের বিশাল ভূমিকার কথাও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।
ছারছীনা শরিফের তিনদিনব্যাপী এ বার্ষিক মাহফিলে সারা দেশ থেকে লাখ লাখ মুরিদান ও মুসল্লি সমবেত হয়ে দিন-রাত নামাজ আদায়সহ বিভিন্ন ধরনের ইবাদত বন্দেগীতে অংশ নিচ্ছেন। এ মাহফিলকে ঘিরে বরিশাল-বানারীপাড়া-ছারছীনা, ঝালকাঠী- পিরোজপুর-কাউখালী- ছারছীনা মহাসড়ক ছাড়াও নৌপথেও হাজার হাজার মুসল্লি ছারছীনা দরবার শরিফে সমবেত হয়েছেন। তিন দিনের এ মাহফিল শেষে আজ বাদ যোহর পীর ছাহেব হজরত মাওলানা শাহ মো: মোহেব্বুল্লাহ ছাহেব বয়ানের পরে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন।
ছারছীনার এ মাহফিলে গতকাল আলহাজ হযরত মাওলানা মুফতি মো. রেজাউল করিম পীর ছাহেব চরমোনাই তার বিপুলসংখ্যক মুরিদান ও ভক্তবৃন্দকে নিয়ে যোগ দেন। পীর ছাহেব চরমোনাই ছারছীনা দরবার শরিফে আছর নামাজের জামাতেও অংশ নেন।
এদিকে ঈসালে সওয়াব মাহফিলের আলোচনায় আমীরে হিযবুল্লাহ, ছারছীনা শরিফের পীর ছাহেব আলহাজ হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ বলেছেন, মুমিন মুসলমানের ঈমানের পরিপূর্ণতা লাভ করবে তখনই যখন তার আকীদা হবে বিশুদ্ধ এবং জীবন হবে নেক আমলে ভরপুর। মহান আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি, নৈকট্য ও তাঁর দিদার লাভের জন্য সহীহ আকীদা এবং নেক আমলের বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে একটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে, শুধু নেক আমল করলেই হবে না, নেক আমলকারীকে দেখতে হবে তার মধ্যে রিয়া বা লৌকিকতা আছে কিনা। লোক দেখানো ইবাদত শিরকের অন্তর্ভুক্ত, যা মহান আল্লাহ তাআলার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। ইবাদত বা আমলের মধ্যে রিয়া বা লৌকিকতা দূর করে খাঁটি ইবাদত করতে হলে প্রত্যেক মুসলমানের উচিত ইসলামী শরীয়তের পাশাপাশি মারেফতের কঠোর অনুশীলন করা এবং আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য প্রয়োজন হাক্কানী পীর-মাশায়েখদের সোহবতে জীবন অতিবাহিত করা। কেননা আল্লাহ ওয়ালাদের সোহবাত ছাড়া আল্লাহ ও তার রাসূল (সা.) এর সন্তুষ্টি এবং ভালোবাসা অর্জন করা সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, তিনদিনব্যাপী এ মাহফিলে অংশ নিতে দেশের দূর-দূরান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ এসে মাহফিল ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে।
মাহফিলে বাংলাদেশ জমইয়তে হিযবুল্লাহর সিনিয়র নায়েবে আমীর ও হযরত পীর ছাহেব বড় ছাহেবজাদা আলহাজ হযরত মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দিন আহমদ হুসাইন বলেন- ছারছীনা দরবার একটি অরাজনৈতিক দরবার। ইসলামের জন্য সকল কাজে এ দরবার সকলের জন্য উন্মুক্ত। তাই সুনির্দিষ্ট ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনে আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো।
মাহফিলের দ্বিতীয় দিনে চরমোনাই দরবার শরিফের পক্ষ থেকে নায়েবে আমীরুল মুজাহিদীন সৈয়দ মুফতি মো: ফয়জুল করীম উপস্থিত হয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা সকলে মুসলমান। হাদীস শরিফে আছে এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই ভাই। তাই আমরা আজ থেকে ইসলামের ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকবো।
মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- বরিশাল পুলিশের ডিআইজি মো: শফিক, বাংলাদেশ জমইয়তে হিযবুল্লাহর নাজেমে আ’লা আলহ্জা মির্জা নূরুর রহমান বেগ, ঢাবির সহকারী অধ্যাপক ড. হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন, সোনাকান্দা দরবারের পীর ছাহেব মাওলানা মাহমুদুর রহমান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।