পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ছারছীনা থেকে মোঃ হাবিবুল্লাহ ও মোঃ আব্দুর রহমান : আমীরে হিযবুল্লাহ, ছারছীনা শরীফের পীর ছাহেব আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ বলেছেন- রসূলে পাক (সঃ) হলেন সমস্ত সৃষ্টিকুলের জন্য স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ নেয়ামত। তিনি দুনিয়া থেকে শিরক-কুফরীর অন্ধকার বিদুরিত করে সর্বত্র জুলুম ও অন্যায়ের অবসান ঘটিয়ে ইনসাফ ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করে এক শান্তি, নিরাপদ ও কল্যাণের সমাজ গঠন করেছিলেন।
পীর ছাহেব আরও বলেন, আল্লাহ প্রদত্ত শান্তির বিধান হলো ইসলাম। আর তা পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠাকারী হলেন হযরত মুহাম্মদ (সঃ)। আল্লাহর সন্তুষ্টি ও রাসূল (সঃ) এর মহব্বতের মধ্যেই রয়েছে পরকালীন মুক্তির নিশ্চয়তা রয়েছে। এ জন্য ব্যক্তি, পারিবারিক, সামজিক ও রাষ্ট্রীয় এককথায় জীবনের সর্বক্ষেত্রে প্রীয় নবী (সঃ) এর আদর্শ বাস্তবায়নের আহবান জানান।
আজ তিনদিনব্যাপী মাহফিলের দ্বিতীয়দিন। আগামীকাল মঙ্গলবার মাহফিলের শেষ দিন। এই দিন বাদ জোহর গুরুত্বপূর্ণ নসীহতের পর দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সার্বিক কল্যাণ কামনা করে হযরত পীর ছাহেব আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করবেন।
মাহফিলে গুরুত্বপূর্ণ আলেচনা করেন, ছারছীনা দারুচ্ছুন্নাত জামেয়া-এ নেছারীয়া দ্বীনিয়ার নায়েবে মুদীর মাও. মো. সফিউল্লাহ আল মামুন, মুদার্রিছ মাও. কামসুল আলম মোহেব্বী। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জমইয়তে হিযবুল্লাহর সিনিয়র নায়েবে আমীর ও হযরত পীর ছাহেবের বড় ছাহেবজাদা আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমদ হুসাইন, বাংলাদেশ জমইয়তে হিজবুল্লাহর নায়েবে আমীর মাও. মির্জা নূরুর রহমান বেগ, অতিরিক্ত নাজেমে আ’লা মাওলানা মোঃ আলী আকবর, ঢাবির সহকারী অধ্যাপক হাফেজ মাও. রুহুল আমিন, হযরত পীর ছাহেবের ছোট ছাহেবজাদা আলহাজ্ব শাহ্ আবু বকর মোহাম্মদ ছালেহ নেছারুল্লাহ, মরহুম পীর ছাহেবের সফরসঙ্গী আলহাজ্ব মাও. আবু জাফর মুহা. শামসুদ্দোহা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।