মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে ৬ মার্চ যখন কৃষকদের যাত্রা শুরু হয়েছিল, তখনই মিছিলে চাষিদের সংখ্যা ছিল ২০ হাজার। এখন তা ৩০ হাজারে ছাপিয়ে গিয়েছে। সবার কাঁধেই হাজারে হাজারে কাস্তে-হাতুড়ি আঁকা লাল ঝান্ডা উড়ছে। বিশাল এ লাল মিছিলে বিজেপির কপালে ভাঁজ পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। খবরে বলা হয়, প্রায় ২০০ কিলোমিটার হেঁটে কৃষকেরা যখন মুম্বাইয়ে পৌঁছবে সংখ্যাটা তখন ৫০ হাজারে পৌঁছে যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ঋণ মওকুফ, ফসলের ন্যায্য দাম, লাঙল যার, জমি তার থেকে আদিবাসীদের অরণ্যের জমির উপরে অধিকারের মতো একগুচ্ছ দাবি নিয়ে আজ সোমবার মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভবন ঘেরাও করবেন কৃষকরা। পশ্চিমবঙ্গ বা কেরালা নয়। ত্রিপুরার দুর্গে ধস নামার পরে বামেরা কোণঠাসা। তখন বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্রেই সিপিএমের কৃষক সভা আন্দোলনের নতুন বার্তা বহন করছে। টনক নড়েছে মহারাষ্ট্র সরকারের। সোমবার মুম্বাইতে আজাদ ময়দানের কাছেই কৃষকদের পদযাত্রা আটকে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু যে ভাবে চাষিরা কৃষক সভার ঝান্ডা হাতে রাস্তায় নেমেছেন, তাতে উদ্বিগ্ন বিজেপি নেতৃত্ব। বুলেট-ট্রেন-সুপার হাইওয়ের মতো প্রকল্প করে বিজেপি সরকার চমক দিতে চাইছিল। সেই প্রকল্পের নামেই জমি অধিগ্রহণের বিরোধিতায় চাষিরা পথে নেমেছেন। মহারাষ্ট্র সরকার আগেই ৩৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ মওকুফের কথা ঘোষণা করে দিয়েছিল। কিন্তু কৃষক সভার যুগ্ম সম্পাদক বিজু কৃষ্ণনের যুক্তি, ‘সরকার এমন সব শর্ত রেখেছে যে ঋণের খুব সামান্য টাকাই মকুব হবে। প্রধানমন্ত্রী ঘটা করে ফসল বিমা যোজনা ঘোষণা করেছেন। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসল নষ্ট হলেও ক্ষতিপূরণ মিলছে না। বুলেট ট্রেন-সুপার হাইওয়ের নামে আদিবাসীদের জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।’ কৃষক সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, তাঁদের উদ্যোগে রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে আন্দোলনে সাফল্য মিলেছে। এবার মহারাষ্ট্রে আন্দোলনকে সমর্থন করতে বাধ্য হয়েছে বিরোধী দলগুলি। কিন্তু এই আন্দোলন থেকে কি সিপিএম ভোটে ফায়দা তুলতে পারবে? বিজু কৃষ্ণনের জবাব, ‘আমরা ভালো ফল করব কি না জানি না। কিন্তু বিজেপির হারের পথ যে মসৃণ করা যাবে, সেটা নিশ্চিত।’ এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।