প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
আন্তর্জাতিক নারী দিবস ও নবীকন্যা হযরত ফাতিমা যাহরার জন্মদিবস উপলক্ষে সম্প্রতি রাজধানী ঢাকায় ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস এবং ইসলামে নারীর মর্যাদা ও অধিকার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও যাহরা এসোসিয়েশন, বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনার ইউনিভার্সিটির কনভেনশন হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মিসেস জাহানারা পারভীন। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূতের পত্নী মিসেস যায়নাব ভায়েজী ও ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. ফারহানা হেলাল মেহতাব। সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন আল মোস্তফা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ শাখার প্রধান হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসিলিমীন শাহাবুদ্দীন মাশায়েখী রাদ। অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যাহরা এসোসিয়েশনের চেয়ারপার্সন মিসেস সেলিনা পারভীন। অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, নারীরা দীর্ঘ ইতিহাসে খুব একটা সুবিধাজনক ও মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে ছিল না এবং বিভিন্নক্ষেত্রে প্রায়ই নানা রকমের নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হতো। ইসলাম ধর্ম নারীকে সেই অবস্থা থেকে মুক্ত করে। ইসলাম নারীকে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অংশগ্রহণের অধিকার দিয়েছে। ইসলামের সুনির্দিষ্ট বিধিবিধান, পবিত্রতা ও শালীনতা বজায় রাখার মধ্য দিয়ে তারা এসব ক্ষেত্রে সক্রিয় ভ‚মিকা পালন করতে পারে। বক্তরা আরো বলেন, ইসলামি শিক্ষার বিপরীতে পশ্চিমা বস্তুবাদীদের পক্ষ থেকে নারীদের স্বাধীনতা ও অধিকার নিয়ে সর্বদা ব্যাপক প্রচারণা চলছে। তারা নারীর হারানো অধিকারকে ফিরিয়ে দিতে চায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত অবাধ স্বাধীনতার নামে নারীকে কেবল এক ধরনের পণ্যে পরিণত করা হচ্ছে। তারা নারীকে আধুনিক দাসত্বের দিকে নিয়ে আসছে। তাই অত্যাধুনিক এই যুগে নারীর প্রকৃত্ব ব্যক্তিত্ব ও অবস্থান তুলে ধরা ইসলামের মহান লক্ষ্য বাস্তবায়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে আমরা মনে করি। ইরানে নারীর অবস্থান সম্পর্কে বলেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান গত ৪ দশকে নারীর অধিকার ও সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইরানের নারীরা আজ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষকরে জ্ঞান-বিজ্ঞান, সংস্কৃতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, সমাজ ও রাজনীতি, খেলাধুলা, শিল্পকর্মসহ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। উল্লেখ্য, ইরানে ইসলামি বিপ্লবের বিজয়ের পর ২০ জামাদিউস সানী মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর কন্যা ও মহাবিশ্বের নারীদের সর্বোত্তম আদর্শ হযরত ফাতিমা যাহরা (সা. আ.)-এর জন্মের দিনটিকে ‘নারী দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয় এবং এরপর থেকে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশটিতে নারী দিবস উদ্যাপিত হয়ে আসছে। সভায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘নারী’ কবিতা থেকে আবৃত্তি করেন আমেনা বেগম লাবনী ও হযরত ফাতিমার শানে নজরুল সংগীত পরিবেশন করেন জনাব শাহ নওয়াজ তাবীব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।