পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
![img_img-1720112508](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678114576_20.jpg)
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : শ্রীলংকা মধ্যাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া মুসলিম বিরোধী দাঙ্গার বিষয়ে তদন্ত করার কথা জানিয়েছে দেশটির সরকার। সেখানে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার পর দ্রুততার সাথে প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। সিরিসেনার কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, অবসরপ্রাপ্ত তিনজন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত একটি প্যানেল এ দাঙ্গার ঘটনা তদন্ত করবেন। দেশটিতে চারদিনের দাঙ্গায় তিনজন নিহত ও অপর ২০ জন আহত হয়। এছাড়া দাঙ্গার সময় ২শ’র বেশী ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ভাংচুর করা হয়। এদিকে, সরকারি কর্মকর্তারা জানান, রাজধানী কলম্বো থেকে ১১৫ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত ওই জেলার কারফিউ গতকাল শনিবার ভোর থেকে তুলে নেয়া হলেও সেখানে পুলিশের পাশাপাশি সেনা টহল অব্যাহত রয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানায়, নতুন করে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার আশংকায় এ দ্বীপ রাষ্ট্রে সামরিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে সংখ্যালঘু মুসলিমদের জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। দেশটিতে কয়েকশ’ উগ্রপন্থী বৌদ্ধ ভিক্ষু ও মানবাধিকার কর্মী মুসলমানদের ওপর হামলার ঘটনার শুক্রবার কঠোর নিন্দা এবং তারা অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। পুলিশ জানায়, এ দাঙ্গার ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশটির তিন দশকের যুদ্ধের অবসানের পর থেকে বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদী ও মুসলিমদের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বৌদ্ধদের নেতৃত্ব দিছেন সন্ন্যাসী বোদু বালা সেনা। বৌদ্ধ এ সন্ন্যাসীর সঙ্গে মায়ানমারের কট্টরপšী উগ্র বৌদ্ধ গোষ্ঠীগুলোর সম্পর্ক রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের গবেষক আলান কিনান বলেন, শ্রীলঙ্কা এখন খাঁদের কিনাড়ে। এ হামলা সুসংগঠিত এবং সু-পরিকল্পিত এবং এটি বিশ্বাস করার যথেষ্ঠ ভালো কারণ আছে যে, তারা মুসলিমদের সহিংসতায় পরিকল্পিতভাবে উসকে দিছে; যাতে পরবর্তীতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে আরো বেশি সহিংসতা চালানো যায়। ২৭ বছর বয়সী সুকরি কাশিমের চারটি শোয়ার ঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। ওয়েলেকাদার বাড়ির গ্যারেজে পুড়ে যাওয়া গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ভয়ে স্তব্ধ হয়ে গেছেন তিনি। ‘আমরা নিরাপদ বোধ করছি না। আমাদের সব শিশুই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। আমরা জানি না কোথায় যাবো অথবা কার ওপর আস্থা রাখবো।’ এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।