Inqilab Logo

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

শেষ সময়ে ওয়েঙ্গারের ‘পাঞ্চ’!

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

এক যুগের বেশি সময় হয়ে গেল লিগ জিততে পারেনি আর্সেনাল। মাঝে কয়েক দফা এফএ কাপ ও কমিউনিটি শিল্ড জিতলেও সমালোচনা পিছু ছাড়েনি আর্সেন ওয়েঙ্গারের। কিন্তু আর্সেনালে ওয়েঙ্গারের ২২ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে এবারের মতো বাজে সময় কি আর এসেছে? ‘না’- জবাবটার সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জেতার কথা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের শীর্ষ চার দূরের কথা, পাঁচেও নেই! ছয়ে রয়েছে আর্সেনাল। অর্থাৎ গতবারের মতো এবারও মুঠো ফসকে বেরিয়ে যেতে পারে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার স্বপ্ন। অবশ্য সেই স্বপ্ন পিছু ধাওয়া করতে তো ভালো পারফরম্যান্স লাগবে? গেলপরশু রাতের আগে চার ম্যাচে তা আর দেখা গেল কোথায়? চার ম্যাচেই হেরেছে আর্সেনাল। এদিন সান সিরোয় ইউরোপা লিগ শেষ ষোলোর প্রথম লেগে তারা দাঁড়িয়ে ছিল টানা পঞ্চম হারের সামনে। ১৯৭৭ সালের পর গানাররা প্রথমবারের মতো এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল। কিন্তু মিলানের মাঠে ২-০ গোলের জয়ে ওয়েঙ্গার এই বাজে ফর্ম কাটিয়ে আবারও ইঙ্গিত দিলেন ঘুরে দাঁড়ানোর।
সান সিরোয় ওয়েঙ্গারের শিষ্যরা প্রথমার্ধেই ম্যাচের ভাগ্য লিখে দিয়েছে। ১৫ মিনিটে গোল করে ইংলিশ ক্লাবটিকে এগিয়ে দেন আর্মেনিয়ান উইঙ্গার হেনরিখ মিখিতারিয়ান। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে মেসুত ওজিলের ডিফেন্সচেরা পাস থেকে গানারদের জয়ের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অ্যারন রামসি। আর্সেনালের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এ নিয়ে ১০০ গোলে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ অবদান রাখলেন জার্মান এ মিডফিল্ডার (৩৭ গোল, ৬৩ অ্যাসিস্ট)।
টানা ১৩ ম্যাচে অপরাজিত থাকা মিলানকে হারিয়ে আর্সেনালের এই জয়ের পথে ফেরা নিঃসন্দেহে ক্লাবটির ভক্তদের জন্য দারুণ স্বস্তির। গত ১৬ বছরের মধ্যে প্রথম দল হিসেবে ইউরোপা লিগ/উয়েফা কাপের কোনো ম্যাচে মিলানকে তাদেরই ঘরের মাঠে হারাল আর্সেনাল। ফিরতি লেগ ১৫ মার্চ। ফিরতি লেগ ঘরের মাঠে হওয়ায় আর্সেনালই ফেবারিট। তবে গানার ভক্তদের কাছে ওয়েঙ্গার আর ফেবারিট কোচ নেই। কিছুদিন আগে আর্সেনাল সাপোটারস ট্রাস্টের (এএসটি) ৮৮ শতাংশ সদস্য মৌসুম শেষেই ওয়েঙ্গারকে বিদায় করার পক্ষে ভোটদান করেছে। তবে এই ম্যাচে ইতালিয়ান ক্লাবটির মাঠে আর্সেনালের প্রায় ২০০০ সমর্থকের চোখে ওয়েঙ্গার কিন্তু পাশ করে গেছেন। অবশ্য ব্যাপারটা শুধু ইঙ্গিত পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকবে কি না, তা সময়ই বলে দেবে। তবে ওয়েঙ্গারের চোখে আপাতত এ জয় বক্সিংয়ে প্রায় নকআউট হয়ে যাওয়া থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর মতো। জয়ের পর তার ভাষ্য, ‘এটা অনেকটাই বক্সিং ম্যাচের মতো। যখন প্রায় নকআউট হয়ে গেছেন, ঘুরেও দাঁড়াতে পারছেন না, একটার পর একটা আসছেই। কিন্তু একটা সময়ে গিয়ে ঘুরে দাঁড়াতেই হয়। সম্মানবোধ এবং জেতার ইচ্ছা থাকলে তা খেলার মধ্যে ফুটে উঠবেই।’
ইউরোপা লিগের শেষ ষোলোয় অন্য ম্যাচে নিজেদের মাঠে রাশিয়ার ক্লাব লোকোমোটিভ মস্কোকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। গোলাদাতা সাউল, কেকের যোগানদাতা হুয়ানফ্রান। বাকি গোলটি ডিয়াগো কস্তার একার কৃতিত্বে। এছাড়া সিএসকেএ মস্কোর মাঠে ১-০ গোলে লিওঁ ও জেনিতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ২-১ গোলে জয়লাভ করেছে লাইপজিগ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওয়েঙ্গার
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ