Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা

বিএনপি মহাসচিবের সামনেই রাজকে হাতকড়া পরিয়ে জামাকাপড় ছিঁড়ে চ্যাংদোলা করে নিয়ে যায়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বিএনপির শান্তিপূর্ণ কোন কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হবে না। পুলিশ বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেবে না’ (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল)। ১৭ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর মানুষ ধরেই নিয়েছিল মাঠের বিরোধী দল বিএনপিকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হবে না। বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। বিএনপি ঘোষণা দিয়েছে শান্তিপূর্ণ কর্মসুচি পালনের; অথচ প্রতিটি কর্মসূচি পালনের সময় পুলিশী বাধার মুখে পড়ছে। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গত দুই দিন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি হিসেবে সারাবিশ্বে পরিচিত ‘মানববন্ধন’ ও ‘অবস্থান কর্মসূচিতে’ বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। এমনকি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাদা পোশাকের পুলিশের আতর্কিতে অস্ত্র উচিয়ে বিএনপির নেতাদের গ্রেফতার করার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ক্ষমতাসীন দলের সমর্থিত মিডিয়াতেও এ ধরণের ঘটনার তীব্র সমালোচনা করা হয়।
বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গতকাল ঢাকাসহ সারাদেশে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি শুরুও করেন দলের নেতাকর্মীরা। কর্মসূচির শুরু থেকেই বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে তা সমাবেশে রূপ নেয়। বিএনপির মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে বক্তব্যও দিচ্ছিলেন। কিন্তু বেলা ১১ টা ৫০ মিনিটে হঠাৎ করেই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অবস্থান কর্মসূচির ভেতরে ঢুকে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি মিজানুর রহমান রাজসহ কয়েকজন নেতাকে আটক করে। রাজ গ্রেফতার এড়াতে বিএনপি মহাসচিবকে জড়িয়ে ধরেন কিন্তু তাতেও তার রক্ষা হয়নি। সেখানে বিএনপি মহাসচিবের সামনেই রাজকে হাতকড়া পড়িয়ে জামা কাপড় ছিঁড়ে চ্যাংদোলা করে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে আটকের পরও বিএনপি নেতারা বক্তব্য দিতে চাইলে পুলিশ তিন দিক দিয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের ঘিরে ধরে এবং আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে বাঁশি বাজাতে বাজাতে এগিয়ে আসতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা কর্মসূচিকে ভন্ডুল করে দেয়। বিএনপি নেতারা পুলিশকে উস্কানি না দেয়ার জন্য বারবার আহ্বান করলেও তারা কর্মসূচির ভেতর থেকে আরও নেতাকর্মী গ্রেফতারের চেষ্টা করে। এ সসময় আতঙ্কিত নেতাকর্মীরা ছুটোছুটি করতে থাকেন। পুলিশের বাধার কারণে কর্মসূচি শেষ না করেই চলে যেতে বাধ্য হন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এর দু’দিন আগে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুকে গ্রেফতারের সময় সাদা পোশাকের পুলিশ হঠাৎ পিস্তল উঁচিয়ে এগিয়ে গেলে প্রেসক্লাবে সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই সাদা পোশাকের আইন শৃংখলা বাহিনীকে চিনতে না পেরে তাদের ওপর মোটরসাইকেলের হেলমেট ছুঁড়ে মারেন।
সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও আইনজীবীরা জানান, হাইকোর্টের নির্দেশনা আছে আটকাদেশ (ডিটেনশন) দেওয়ার জন্য পুলিশ কাউকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করতে পারবে না। কাউকে গ্রেফতার করার সময় পুলিশ তার পরিচয়পত্র দেখাতে বাধ্য থাকবে। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমও সাংবাদিকদের বলেছিলেন ‘সাদা পোশাকে কাউকে গ্রেফতার করতে হলে পুলিশের পরিচয় দেখানো উচিত। সাদা পোশাকে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা নিজেদের পরিচয় না দিয়ে পৃথিবীর কোথাও এভাবে গ্রেফতার করে না।’ বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে বলেন, দলের প্রতিটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতেই কখনো ছো মেরে, কখনো কর্মসূচি ফেরত, অস্ত্র উঁচিয়ে কিংবা কর্মসূচি চলাকালে সিনিয়র নেতা ও সাবেক মন্ত্রীদের সামনে থেকেই সাদা পোশাকে আটক করা হচ্ছে বিএনপি নেতাকর্মীদের। যে কোন কর্মসূচি করতে গেলেই নিষিদ্ধ সংগঠনের মতো কেড়ে নেয়া হচ্ছে ব্যানার, লিফলেট। করা হচ্ছে লাঠিচার্জ, গণগ্রেফতার। পন্ড হচ্ছে মানববন্ধন, লিফলেট বিতরণ, অবস্থান কর্মসূচি, ফুটপাথে দাঁড়িয়ে কালো পতাকা প্রদর্শনের মতো শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচিও। গতকালও (বৃহস্পতিবার) বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে তাÐব চালিয়েছে সাদা পোশাকের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অনুমতি দেওয়ার পরও কর্মসূচি থেকেই নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, পুলিশের আগ্রাসী ভূমিকার কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই পন্ড হয়ে গেছে কর্মসূচি। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতার সামনে থেকে ছাত্রদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান রাজসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে সাদা পোশাকের পুলিশ। এর আগে গত ৬ ফেব্রæয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের ভেতর থেকে সাদা পোশাকের ডিবি পুলিশ অস্ত্র উচিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুকে গ্রেফতার করে।
সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও আইনজীবীরা জানান, ২০১৬ সালের ২৪ মে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার সংক্রান্ত ৫৪ ধারা ও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৭ ধারার বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ে সরকারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল আটকাদেশ (ডিটেনশন) দেওয়ার জন্য পুলিশ কাউকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করতে পারবে না। কাউকে গ্রেফতার করার সময় পুলিশ তার পরিচয়পত্র দেখাতে বাধ্য থাকবে। গ্রেফতারের তিন ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে এর কারণ জানাতে হবে। বাসা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য স্থান থেকে গ্রেফতার ব্যক্তির নিকটাত্মীয়কে এক ঘণ্টার টেলিফোন বা বিশেষ বার্তাবাহক মারফত বিষয়টি জানাতে হবে। গ্রেফতার ব্যক্তিকে তার পছন্দমতো আইনজীবী ও নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে পরামর্শ করতে দিতে হবে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের (রিমান্ড) প্রয়োজন হলে ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশক্রমে কারাগারের অভ্যন্তরে কাচ নির্মিত বিশেষ কক্ষে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। কক্ষের বাইরে তার আইনজীবী ও নিকটাত্মীয় থাকতে পারবে। জিজ্ঞাসাবাদের আগে ও পরে ওই ব্যক্তির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠলে ম্যাজিস্ট্রেট সঙ্গে সঙ্গে মেডিকেল বোর্ড গঠন করবেন। বোর্ড যদি বলে ওই ব্যক্তির ওপর নির্যাতন করা হয়েছে, তাহলে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেট ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং তাকে দন্ডবিধির ৩৩০ ধারায় অভিযুক্ত করা হবে। আইনজীবীরা বলছেন, ফৌজদারি কার্যবিধির এই দুই ধারা নিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকায় তা মানার ক্ষেত্রে সরকারের প্রতি বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়েছে। আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম ওই রায়ের পর বলেছিলেন এই নির্দেশনাগুলো প্রতিপালন করা একটি রাষ্ট্রীয় কর্তব্য। আইনের শাসন রক্ষা করার জন্য সবচেয়ে প্রথম সারির দায়িত্ব প্রত্যাশা করি পুলিশের কাছ থেকে। এই রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সাদা পোশাকে যারা গ্রেফতার করবেন, তাদের কাজ হবে আসামিকে অনুসরণ করা, গতিবিধি লক্ষ্য করা। তাকে গ্রেফতার করার ব্যাপারে নিশ্চয়ই পরিচয় দেওয়া উচিত।
পুলিশের মারমুখী আচরণকে অগণতান্ত্রিক এবং বেআইনি অবিহিত করে নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী কারাগারে যাবার পর থেকে আমরা একেবারেই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করছি, সেই কর্মসূচিতে তারা (পুলিশ) অনুপ্রবেশ করে। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে তারা এটা করে, আমরা যেন ভবিষ্যতে আর কোনোভাবে কর্মসূচি করতে না পারি সেই পরিবেশ সৃষ্টি করছে। বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করায় সরকারের গাত্রদাহ হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন দলের মহাসচিব। তিনি বলেন, পুলিশ উস্কানি দিয়ে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বানচাল করে দিচ্ছে। বেআইনিভাবে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। যে কয়জনকে সম্প্রতি যে পদ্ধতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে, কোনো স্বাধীন দেশে এভাবে গ্রেফতার করা হয় বলে আমরা কখনো শুনেনি, দেখিনি। এর সাথে একমাত্র তুলনা হতে পারে সেই হিটলারের গেসটাপো বাহিনীর সাথে, বা অন্য ডিকটেটরদের সাথে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গত এক মাস ধরে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে আসছে দলটির নেতাকর্মীরা। দলীয় প্রধানের নির্দেশে শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন তারা। সেই কথাও রেখেছে বিএনপি। মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি, লিফলেট বিতরণ, গণস্বাক্ষর, কালো পতাকা প্রদর্শনের মতো অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে কোন ধরণের বিশৃঙ্খলাও করেননি নেতাকর্মীরা। বিনা উস্কানিতে কর্মসূচিতে গরম পানি নিক্ষেপ, লাঠিপেটা, কর্মসূচি শেষে গ্রেফতার করলেও কোন ধরণের আক্রমণাত্মক পরিবেশের সৃষ্টি করেননি তারা। তবে বিএনপির কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হলেও প্রতিদিনই মারমুখী অবস্থান নিচ্ছে পুলিশ। কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জ, গরম পানি নিক্ষেপ, রাস্তা থেকে গ্রেফতার, টিয়ারশেল ও গুলি ছোঁড়া এবং পিস্তল ঠেকিয়ে গ্রেফতারের ঘটনাও ঘটেছে। বিএনপির সিনিয়র নেতা, মহিলা কর্মী থেকে শুরু করে বাদ যাচ্ছেন কেউই।
গত ৮ ফেব্রæয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানোর পর তার মুক্তির দাবিতে ১৩ দিন কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। এর মধ্যে ঢাকায় পাঁচ দিনের কর্মসূচি পুলিশি বাধায় পন্ড হয়েছে। ঢাকায় সমাবেশ করার জন্য তিন দফা স্থান বরাদ্দ চেয়েও অনুমতি পায়নি দলটি। ঢাকার বাইরেও সমাবেশের অনুমতি না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন দলটির নেতারা। গতকালও সারা দেশে এক ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি ছিল। এর আগে খালেদা জিয়া কারাবন্দী হওয়ার পরদিন গত ৯ ফেব্রুয়ারি বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেইটে বিক্ষোভ করে বিএনপি। ১০ ফেব্রুয়ারি বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেইট থেকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে মিছিলটি দৈনিক বাংলা মোড় অতিক্রম করে ফকিরাপুল পানির ট্যাংকের কাছে এলে পুলিশি বাধায় পন্ড হয়ে যায়। কর্মসূচিতে কিছুটা পরিবর্তন এনে ১৭ ফেব্রুয়ারি নয়াপল্টন কার্যালয় থেকে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু করে। ১৮ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়, ২০ ফেব্রুয়ারি ফের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই পুলিশি বাধায় পন্ড হয়ে যায়। ফুটপাথের উপর দাঁড়ানো নেতাকর্মীদের উপর গরম পানি নিক্ষেপ করে পুলিশ। টিয়াশেল ছোড়া ও লাঠিপেটারও অভিযোগ করেন দলের নেতারা। আটক করা হয় প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মীকে। ২৬ ফেব্রæয়ারি ঢাকার থানাগুলোতে প্রতিবাদী মিছিল কর্মসূচি পালন করা হয়। এর আগে অবশ্য ২২ ফেব্রুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চেয়েছিল বিএনপি। তবে তাদের সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। এরপর কর্মসূচিতে আবার পরিবর্তন এনে ১ মার্চ সারা দেশে লিফলেট বিতরণ করে বিএনপি। সেদিন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের ব্যাপক তৎপরতার কারণে কেন্দ্রীয় নেতারা কার্যালয়ের সামনের সড়কে লিফলেট নিয়ে দ্রæত চলে যান। ৬ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধন থেকে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুকে আটক করা হয়। ওই দিন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অস্ত্র উঁচিয়ে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে শফিউল বারীকে আটকের ঘটনা ব্যাপক আলোচনায় আসে। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এসব কর্মসূচি সারা দেশেও পালিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশি বাধার মুখে কর্মসূচি পন্ড হওয়ার খবর গণমাধ্যমে এসেছে।
এদিকে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, সরকার শান্তিপূর্ণ সমাবেশ মিটিং সেটা রাজনৈতিক হোক, সামাজিক হোক কোনোটাতেই বাধা দিচ্ছে না। স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ম্যাডামের মুক্তির দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি। চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে জনসম্পৃক্ততা বেড়েছে। সরকার বিএনপির এমন কর্মসূচি দেখে হতাশও হয়েছে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমেও সরকারকে চাপে রাখা সম্ভব হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রামে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি। গতকাল নগরীর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় চত্বরে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রঘোষিত অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপি নেতৃবৃন্দ বেগম জিয়াকে মুক্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বলেন, সরকার বিএনপিকে সংঘাতময় রাজনীতির দিকে ঠেলে দিতে চাইছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম। বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপিসাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, বিএনপি নেতা এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, মোঃ আলী, হারুন জামান, সৈয়দ আহমদ, মাহবুব আলম, নিয়াজ মোহাম্মদ খান প্রমুখ।
উত্তর জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচি নাসিমন ভবনস্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মির্জা মোঃ আকবরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়–য়া। বক্তব্য রাখেন ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, শওকত আলী নূর, সরওয়ার আলমগীর প্রমুখ।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে রাজশাহীতে মহানগর বিএনপির অবস্থান কর্মসুচী পালিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্মসুচীর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টা থেকে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসুচী পালন করা হয়। বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর বিএনপি’র সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল-এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন ও বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পূনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক এবং মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, জাতীয় নিবাহী কমিটির কার্যকরী সদস্য শহিদুন্নার কাজী হেনা ও মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল হুদা। অন্যদের মধ্যে রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সভাপতি শওকত আলী, বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম মিলু, সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন দিলদার। শাহমুখদম থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, শাহমখদুম থানা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ বাবুসহ রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র ৩৭টি ওয়ার্ডের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
লক্ষীপুর সংবাদদাতা জানান, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে লক্ষীপুরে পৃথকভাবে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসুচি পালন করছে নেতাকর্মীরা। জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসুচি পালন করে জেলা বিএনপি নেতাকর্মরা। এসময় জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক নিজাম উদ্দিন ভূইঁয়া, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুল হাসান লিংকন,জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হারুনুর রশিদ.সাধারন সম্পাদক মাহাবুবুল আলম মামুন,লক্ষীপুর সরকারী কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন।
অপর দিকে একই দাবীতে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সমাজকল্যান সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাবুর নেতৃত্বে আজ বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর তেমুহনী এলাকায় সাহাবুদ্দিন সাবুর বাসভবনে এ কর্মসুচি পালন করে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসময় বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাবু, সহ-সভাপতি ছায়েদুর রহমান ছুট্টু,জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক এডভোকেট হারুনুর রশিদ ব্যাপারী,জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট হাসিবুর রহমান,জেলা যুবদলের সভাপতি রেজাউল করিম লিটন, সদর উপজেলা যুবদলের সভাপতি খালেদ মোহাম্মদ আলী কিরন ও পৌরসভার সাধারন সম্পাদক সৌরভ হোসেন ভূলু প্রমুখ।
মেহেরপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, মেহেরপুর জেলা বিএনপির অবস্থান কর্মসূচী পালিত। গতকাল সকাল ১০টায় কর্মসূচী শুরু হয়। জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে হাজারো নেতাকর্মীর কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করে। কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান, ইলিয়াছ হোসেন, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
মুন্সীগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, মুন্সীগঞ্জে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে জেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা।গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মুন্সীগঞ্জের সদরের মুক্তারপুর এলাকার মুন্সীগঞ্জ-ঢাকা সড়কের পাশে কেন্দ্রিয় কমসূচির অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। বিএনপি চেয়ারপারসের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই এর নেতৃত্বে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক শরাফত আলী সপু, বিএনপি নেতা আতাউর হোসেন বাবুল,আশ্রাফুল ইসলাম বাবু, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, মাহবুবুর রহমান খান, তারেক কাশেম খান মুকুল, সম্রাট ইকবাল, আওলাদ হোসেন উজ্জল, জামাল হোসেন, মনিরুল ইসলাম খান পল্টন, জাসাস নেতা সিরাজ ঢালী, আরিফুল ইসলাম, শফিকুল হাসান তুষারসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা।
নরসিংদী থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, বিএনপি’র যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেছেন, স্বাধীন দেশে উপনিবেশিক ধরনের সরকার চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ। অবস্থান ধর্মঘটে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, নরসিংদী জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি, সাবেক এমপি রোকেয়া আহমেদ লাকী, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনজুর এলাহী, সহ সভাপতি এড. আব্দুল বাছেদ, নরসিংদী শহর বিএনপির সভাপতি গোলাম কবির কামাল, সাধারণ সম্পাদক ফারুক উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা যুবদলের আহবায়ক মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ, স্বেচ্চাসেবক দলের সভাপতি কবির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ওসমান মোল্লা ছাত্রদল সভাপতি নজরুল ইসলাম ভ্ইূয়াসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
নীলফামারী সংবাদদাতা জানান, বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে অবস্থান কর্মসূচী পালিত হয়েছে নীলফামারীতে। জেলা বিএনপির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা থেকে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচী শুরু করে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। অবস্থান কর্মসূচী চলাকালে বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সভাপতি জহুরুল আলম, বিএনপি নেতা গোলাম মোস্তফা রঞ্জু, মাহাবুব রহমান, সাইফুল ইসলাম রুবেল, নুরুজ্জামান নুরু প্রমূখ।
শেরপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, শেরপুরে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করা হয়েছ। অনুষ্ঠিত এ অবস্থান কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেল, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক এডভোকেট আব্দুল মজিদ বাদল, আওয়াল চৌধুরী, প্রভাষক মামুনুর রশিদ পলাশ, ফজলুল হক লাভলু, এডভোকেট মোখলেছুর রহমান জীবন, ছামিউল ইসলাম আতাহার, জেলা আইনজীকি সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রকিব প্রমুখ।
গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে জেলা শহরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করা হয়। গাজীপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির ব্যানারে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুল, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শিল্পপতি মোঃ সোহরাব উদ্দিন, বিএনপি নেতা পীরজাদা মাওলানা এসএম রুহুল আমীন, শাহ রিয়াজুল হান্নান, কাজী মাহবুব উল হক গোলাপ, আব্দুল মোতালেব, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে টাঙ্গাইলে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইল শহরের ভিক্টোরিয়া রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ সামসুল আলম তোফা, সাধারণ সম্পাদক এডভোকটে ফরহাদ ইকবালসহ অনান্য নেতাকর্মীরা। এতে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি সহ সভাপতি আতাউর রহমান জিন্নাহ, মাহমুদুল হক সানু, জিয়াউল হক শাহীন, যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাসেম, আনিসুর রহমান, খন্দকার রাসেদুল আলম, মেহেদী আলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আঃ হামিদ তালুকদার প্রমুখ।
কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা জানান, অবস্থান কর্মসুচি পালন করেছে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি, অংঙ্গ ও সহযোগি সংগঠন। বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রামের জাহাজ মোড়ে সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপি এ অবস্থান কর্মসুচি পালিত হয়। অবস্থান কর্মসূচিতে এসময় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহি কমিটির সদস্য ও কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি’র সভাপতি তাসভীর উল ইসলাম, বক্তব্য রাখেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক, আলহাজ্ব আব্দুল আজিজ,সহ সভাপতি আমজাদ হোসেন।
মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে বিএনপির মাদারীপুর জেলার পুরান বাজারে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপিসাধারণ সম্পাদক জাহান্দার আলী জাহান পৌর বিএনপি এ্যাডঃ শরীফ সাইফুল কবীর সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডঃ জামিনুর হোসেন মিঠু সদর থানা বিএনপির সভাপতি এ্যাডঃ জাফর আলী মিয়া বিএনপি যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম লিটু প্রমুখ।
আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, বৃহষ্পতিবার সকালে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে অবস্থান কর্মসুচি পালন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি লুৎফর রহমান আব্দু, সাবেক বি আর ডি বি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন অনু, নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি নুরুন্নাহার,আড়াইহাজার থানা মহিলা দলের সভানেত্রী পারভীন আক্তার, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক জুয়েল আহমেদ।
ফুলপুর (ময়মনসিংহ)উপজেলা সংবাদদাতা জানান, বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে ময়মনসিংহ জেলা (উঃ) বিএনপি’র উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকালে ফুলপুরে অবস্থান কর্মসূচী পালিত হয়েছে।ময়মনসিংহ জেলা (উঃ) বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক ফুলপুর উপজেলা চেয়ারম্যান সাবেক এমপি এড. আবুল বাসার আকন্দ। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদ।
গাবতলী (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি মোঃ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু। জামিনপ্রাপ্তরা হলেন শাজাহানপুরের গোহাইল ইউনিয়ন বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম, চুপিনগর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম, খট্টাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আব্দুল হান্নান, আমরুল ইউনিয়ন বিএনপি নেতা জাহিদুল ইসলাম প্রমূখ।
ইসলামপুর (জামালপুর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচীর সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপি’র সহ সভাপতি আওয়াল খান লোহানী। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক মহিলা এমপি রহিমা খন্দকার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুল।



 

Show all comments
  • গনতন্ত্র ৯ মার্চ, ২০১৮, ১:৫০ এএম says : 0
    জনগনের ধারনা,” ৭ই মার্চের ভাষন শুনলে, খুলে যাবে বন্ধ আক্কেলের তালা ; ভিক্ষুকের মত রাস্তায় দাড়িয়ে, কোন দিনও হবেনা ফয়শালা ৷”
    Total Reply(0) Reply
  • আরমান ৯ মার্চ, ২০১৮, ৩:৪১ এএম says : 0
    আমার মাঝে মাঝে সন্দেহ হয়, এরা কী আসলেই পুলিশ ?
    Total Reply(0) Reply
  • Vubon Sarkar ৯ মার্চ, ২০১৮, ১:৪৭ পিএম says : 0
    সাদা পোশাকে পরিচয় না দিয়ে অস্ত্রবাজি করলে গণধোলাই দেওয়া উচিৎ।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Rashedul Islam ৯ মার্চ, ২০১৮, ১:৪৮ পিএম says : 0
    রাজনীতি করা যদি অপরাধ হয়। তাহলে রাজনীতিক দল গুলো নিষিদ্ধ করুন। দরকার কি প্রতিদিন এতো হামলা মামলা।
    Total Reply(0) Reply
  • আবু নোমান ৯ মার্চ, ২০১৮, ১:৪৯ পিএম says : 0
    অবশ্যই অাল্লাহ্ অাছে। তাদের বিচার করবেন
    Total Reply(0) Reply
  • বুলবুল আহমেদ ৯ মার্চ, ২০১৮, ১:৪৯ পিএম says : 0
    হায়রে ক্ষমতা!!!!
    Total Reply(0) Reply
  • MD Moshiul Alam ৯ মার্চ, ২০১৮, ১:৪৯ পিএম says : 0
    নিন্দা,জানানোর ভাষা নেই।:
    Total Reply(0) Reply
  • Himu Mojumdar ৯ মার্চ, ২০১৮, ১:৫১ পিএম says : 0
    এদের ধিক্কার দিই
    Total Reply(0) Reply
  • Romjan Ali Robin ৯ মার্চ, ২০১৮, ১:৫২ পিএম says : 0
    আরকতদিন চলবে হয়ত আর বেশিদিন নয়।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ