বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নীলফামারী সংবাদদাতা : নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে তিস্তা সেচ প্রকল্পের এস সেভেটি ক্যানেল সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তরিঘরি করে নিম্নমানের কাজ করায় চলতি বোরো মওসুমে ক্যনেলটির বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা করছেন কৃষকরা। সূত্র মতে , তিস্তা সেচ প্রকল্পের প্রধান ক্যানেলের কিশোরগঞ্জ উপজেলার জুড়াবান্দা সুঁইচগেট থেকে টারসিয়ারী এস সেভেনটি ক্যানেল নিতাই ইউনিয়নের বেলতলী ব্রীজ হয়ে সৈয়দপুর উপজেলায় ধাবিত হয়েছে। ওই টারসিয়ারী ক্যানেলের চেইন এজ ৫৫০২ থেকে ৬৫০০ চেইনএজ চলতি সেচ মওসুমে সংস্কারের জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়। ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৩০০ টাকা ব্যায়ে ক্যানেল সংস্কারের কাজ পায় মেসার্স হারুন এন্টার প্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মিজান ঠিকাদারের সাথে চুক্তি করে নিজে কাজটি সম্পন্ন করার দায়িত্ব নেয়। ওই প্রকৌশলী বড়ভিটা এলাকার ফজু নামে এক শ্রমিক সর্দারকে ঠিকাদার পরিচয় দিয়ে নামমাত্র কাজ করে ক্যানেলের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে মর্মে অফিসে প্রত্যয়ন দেয়। শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে , সিডিউল অনুযায়ী ক্যানেলের দুই বাঁধের গর্তে ও ভাঙ্গা স্থানে মাটি ভরাট করার কথা থাকলেও তা না করে শুধুমাত্র খোলাহাটি পাড়া সংলগ্ন স্থানে ১শ’গজ ৬ ইঞ্চি বেড কাটিং করা হয়েছে। ক্যানেলের দুই বাঁধে ঘাস লাগানোর কথা থাকলেও তার কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। নিতাই খোলাহাটি এলাকার আবুল কালাম, এয়াকুব আলী ও মজিবর রহমান জানান, দূর থেকে মাটি এনে ক্যানেলের দুই বাঁধের ভাঙ্গা স্থান ও গর্ত মেরামত করার নিয়ম থাকলেও প্রকৌশলী মিজান শ্রমিক সর্দার ফজুকে দিয়ে গুটি কয়েক শ্রমিক এনে ক্যানেলের বেড থেকে মাটি তুলে দুই বাঁধে ছড়িয়ে দিয়েছে। শ্রমিক সর্দার ফজু বলেন ক্যানেল সংস্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মিজান আমার সাথে চুক্তি করেছিল, কিন্তু চুক্তির ১০ হাজার টাকা এখনও আমাকে দেয় নাই। এদিকে বাঁধের ভাঙ্গা গর্তগুলো ভরাট না করে তরিঘরি করে ক্যানেলে পানি ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ফলে গত বছরের ন্যায় এবারেও ক্যানেলের বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তৃর্ণ এলাকার ফসল বিনষ্ট হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ওই এলাকার কৃষকরা। এব্যাপারে সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মিজানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে এস সেভেনটি ক্যানেল সংস্কার কাজে কোন অনিয়ম হয়নি বলে জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।