বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হাজত থেকে হাজিরার জন্য পুলিশ প্রহরায় আদালতে নেয়ার পথে সংরক্ষিত এলাকা থেকে হাতকড়াসহ পালিয়ে গেছে কাউছার নামে এক ডাকাতি ও জঙ্গী মামলার আসামী। গতকাল রোববার সকালে নরসিংদী জজ কোর্ট বিল্ডিংয়ে এই ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে আসামী কাউছার কখন যে পালিয়ে গেছে তা ঠাহরই করতে পারেনি পুলিশ। জজ কোর্টের কাঠগড়ায় নিয়ে গনণা করে দেখতে পায় এক আসামী কম অর্থাৎ জঙ্গী আসামী কাউছার নেই। আর তখনই হৈচৈ শুরু হয় যে কোর্ট থেকে জঙ্গী আসামী পালিয়ে গেছে। পুলিশ যখন খোজাখুজি শুরু করে ততক্ষণে আসামী পগার পার। পলাতক জঙ্গী আসামী কাউছারের বাড়ী সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী থানার বিনানুই গ্রামে।
জানা গেছে, ২০১৬ সালে সেপ্টেম্বর মাসে নরসিংদী থানা পুলিশ শহরের বাসাইলের একটি বাড়ী থেকে প্রথমে ডাকাতির ঘটনায় কাউছারকে তার ৪ সহযোগীসহ গ্রেফতার করে। সে সময় তার নিকট থেকে ২ টি বিদেশী পিস্তল, ২ টি ম্যাগজিন ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পরে কাউন্টার টেরিরিজমের সদস্যরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, কাউছার জঙ্গী তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। এ অবস্থায় থানা পুলিশ তাকে ডাকাতি ও জঙ্গী মামলার আসামী হিসেবে কারাগারে প্রেরণ করে। দীর্ঘ ২ বছর যাবত সে নরসিংদী কারাগারে আটক রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় আরো ৮ টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নিয়মিত হাজিরার জন্য কোর্ট পুলিশ সদস্যরা সকাল পৌনে ১০ টার দিকে নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে আসামী কাউছারকে কোর্ট হাজতে নিয়ে রাখে। বেলা ১১ টায় কাউছারসহ আর ৯ আসামীকে হাজতখানা থেকে বের করে এজলাসের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। এ সময় কাউছার হাতকড়া অবস্থায়ই পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায়। নরসিংদীর পুলিশ সুপার আমেনা বেগম সাংবাদিকদেরকে জানান, কোর্ট থেকে আসামী পলায়নের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে নরসিংদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।