পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতীয় ত্রিপুরা রাজ্যের বিধান সভা নির্বাচনে চাঁদপুরের কচুয়ার কৃতি সন্তান বিপ্লব কুমার দেব এর নেতৃত্বে জনতা পার্টি (বিজেপি) অভাবনীয় জয় পেয়েছে। এতে করে তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পথ সুগম হয়ে যাচ্ছে। বিপ্লব কুমার দেবের পৈত্রিক নিবাস কচুয়া উপজেলার পূর্ব সহদেবপুর ইউনিয়নের মেঘদাইর গ্রামে। তার দলের এই বিজয়ের সংবাদে কচুয়ায় আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। আগামী বুধবার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে বিজেপি কেন্দ্রীয় কমিটি।
বিপ্লব কুমার দেব এর বাবা-মা মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে চলে যায়। এরপর সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে যান তারা। তবে তার আত্মীয়-স্বজন অনেকেই এখনও কচুয়ায় বসবাস করেন। তার চাচা প্রানধন দেব কচুয়া উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি।
প্রাণধন দেব ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বিধান সভা নির্বাচনে বিপ্লব কুমার এর নেতৃত্বে বিজেপি ৬০টি আসনের মধ্যে ৪৩টি আসন পায়। বিপ্লব কুমার দেব নিজেও একটি আসনে বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করেন। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি।
বিপ্লব দেবের অভাবনীয় জয়ের খবর পেয়ে গতকাল শনিবার কচুয়ায় মিষ্টিমুখ করেছে তার আত্মীয়স্বজন ও অনুরাগীরা। তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় চাঁদপুর-১ কচুয়ার সাংসদ ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, আমার এলাকার সন্তান ত্রিপুরা রাজ্যের বিধানসভায় জয়ী হওয়ায় আমি তাকে অভিনন্দন জানাই।
চাচা প্রাণধন দেব জানান, বিপ্লব দেব তিন বোনের একমাত্র ভাই। তার বাবা হিরুধন দেব। মায়ের নাম মিনা রানী দেব। তার বাবা-মা বাংলাদেশে থাকাকালে গর্ভধারণ করেছিলেন তা মা। তবে ত্রিপুরার মাটিতেই জন্মগ্রহণ করেন বিপ্লব দেব।
বিপ্লব দেব গত বছর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে বিজেপির প্রতিনিধি দলের প্রধান হয়ে যোগদান করেন। সম্মেলন শেষে তিনি তখন তার গ্রামের বাড়ি কচুয়ায় হেলিকপ্টারযোগে আসেন। ওইদিন কচুয়া প্রেসক্লাব তাকে সংবর্ধনা প্রদান করে।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার সিনিয়র অফিসার নীতি রানী দেব। তখন তিনি বলেছিলেন, আমার প্রকৃত ভূমিতে এসে যে সম্মান পেয়েছি তা আমার জীবনে একটি স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে। সেই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্রপরিচালনার ভূঁয়শী প্রশংসাও করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।