Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশ-ত্রিপুরা শিগগিরই পানিপথে যোগাযোগ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ জুন, ২০১৯, ১২:০৮ এএম

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের গোমতী নদী ও বাংলাদেশের মেঘনা নদীকে সংযুক্ত করে বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রিপুরার পানিপথে বাণিজ্য বা পণ্য স্থানান্তর শিগগির শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। দিল্লি সফর শেষে গত মঙ্গলবার ত্রিপুরা রাজ্যে ফিরে স্থানীয় গণমাধ্যমকে তিনি এমনটাই জানিয়েছেন।

রাজ্যের গণমাধ্যমকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রিপুরার নৌ-পরিবহন সেবা শুরু করতে আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রস্তাবিত প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে। নতুন এ পানিপথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে দুই দেশের বাণিজ্য ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বাড়বে। একই সঙ্গে যোগাযোগ ও চলাচলের পথ সুগম হবে। নৌপথসহ বিভিন্ন মাধ্যমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সংযোগ বাড়ানোকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করছে ভারত। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দিল্লির ওই বৈঠকে রাজ্য উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন আলোচনায় বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়া পর্যন্ত নৌ যোগাযোগ চালুর বিষয়ে গুরুত্বসহকারে অলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, নদীর পাড়ে স্থায়ী জেটি নির্মাণসহ অন্যান্য কাঠামো উন্নয়নে আড়াই থেকে তিন বছর সময় লাগে। যেহেতু উভয় দেশ নৌপথে যোগাযোগ বিষয়ে সম্মত হয়েছে, তাই আপাতত অস্থায়ী জেটি নির্মাণ করে আগামী তিন মাসের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে নৌপরিবহন সেবা শুরু করা হবে। পাশাপাশি স্থায়ী জেটি নির্মাণ কাজ চলবে।
বিপ্লব কুমার দেব বলেন, চলতি বছরের ১২ ও ১৩ মার্চ হাইড্রোগ্রাফিক অনুসন্ধান চালানো হয়। তার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে জয়েন্ট টেকনিক্যাল কমিটির রিপোর্ট। রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত পানিপথ কর্মক্ষম করতে হলে ১৩ কিলোমিটারে ড্রেজিং করতে হবে। ১৫ কিলোমিটার এই পানিপথের মধ্যে এই ১৩ কিলোমিটার পড়েছে বাংলাদেশ অংশে। বাকি অংশ ভারতের ত্রিপুরা অভ্যন্তরে। এই পানিপথ কার্যকর হলে এর মধ্য দিয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকৃতির নৌযান চলাচল করতে পারবে। তিনি বলেন, পানিপথে এই পরিবহন সেবা চালু হলে বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার জনগণ সড়ক পথের পাশাপাশি নৌপথেও গোমতী নদী দিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন। সেই সঙ্গে চলবে পণ্য পরিবহন বাণিজ্য। এতে উভয় দেশের মানুষ আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। পাশাপাশি দুই দেশের মানুষের মধ্যে আন্তরিকতার বন্ধনও আরো সুদৃঢ় হবে। বাড়বে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক।

উল্লেখ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া নৌবন্দর থেকে বাংলাদেশের আশুগঞ্জ নৌবন্দরটি ব্যবহার করে ত্রিপুরার পালাটানা বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণে ১২০ চাকার ট্রেইলরে করে সড়কপথে আখাউড়া স্থলবন্দর সীমান্ত পথে ভারি ভারি সরঞ্জাম পরিবহন করেছে ভারত। পরবর্তীতে ওই পালাটানা থেকে উৎপাদিত বিদ্যুত উচ্চমূল্যে আসছে বাংলাদেশে।

এ ছাড়াও হলদিয়া নৌবন্দর থেকে জাহাজ ও স্টিমার করে ত্রিপুরাসহ পূর্ব-উত্তর ভারতের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে সড়কপথে আখাউড়া স্থলবন্দর সীমান্ত পথ ব্যবহার করে ত্রিপুরায় সরবরাহ করা হচ্ছে যুগ যুগ ধরে। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।

 



 

Show all comments
  • ash ২১ জুন, ২০১৯, ১১:৫৪ এএম says : 0
    ETE BANGLADESH ER LAV TA KI HOBE??? BANGLADESH KI PODDAR PANI PABE ??????????? AMI BUJI NA ... SHOB KISU AMON KORE MELE DICHE KENO VAROTKE???
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ-ত্রিপুরা শিগগিরই পানিপথে যোগাযোগ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ