পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা প্রচার করে বেড়াচ্ছে। কিন্তু একটি রায়ের সার্টিফাইড কপি ৫ দিনের মধ্যে পাওয়ার কথা থাকলেও পেতে লেগেছে ৯ দিন। হাইকোর্ট নথি তলব করার পর ১০ দিন কেটে গেছে। ৩ কিলোমিটার পথ নথি আসতে কত সময় লাগে? এতেই বুঝা যায়, সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে আটকিয়ে রেখেছে। গতকাল (শনিবার) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী ওলামা দল আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মোশাররফ বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়ে সরকার মনে করেছিল খালেদা জিয়াকে ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করবে। বাংলাদেশের মানুষ কেউ এটা বিশ্বাস করেনি। বিশ্বাস করেনি বলে এটা বুমেরাং হয়ে গেছে। বেগম জিয়া ৮ ফেব্রæয়ারি সাজা পাওয়ার পরে বাংলাদেশের মানুষের কাছে আরও জনপ্রিয় হয়েছেন। ভাবমূর্তি আজ সর্বোচ্চ পর্যায়ে। সাজা দেয়ার কারণে খালেদা জিয়া আন্তর্জাতিক নেতায় পরিণত হয়েছেন। জাতিসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, আমেরিকা করেছে, যুক্তরাজ্য করেছে, এবং সব বড় বড় দেশ ইউরোপিয় ইউনিয়ন করেছে। তাই তিনি আজকে আন্তর্জাতিক নেতায় পরিণত হয়েছেন। আপনারা (সরকার) যে স্বপ্ন দেখছেন তা বাস্তবায়ন করতে পারবেন না উল্লেখ করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, এদেশের জনগণকে বারবার ধোকা দেয়া যাবে না। আমাদের যারা বন্ধু রাষ্ট্র রয়েছে তাদেরকেও বারবার ধোকা দেয়া যাবে না। এবার ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন এদেশে হবে না। হতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে সরকার আগামী নির্বাচনে যেতে চায়। কিন্তু তারা আধা পথও যেতে পারবে না। জনগণ খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচন মেনে নিবে না।
বিএনপির আন্দোলনের বিষয়ে স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। ১২ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ফের সমাবেশের আয়োজন করেছি। আমরা জানি এর আগে এরশাদের জাতীয় পার্টি ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমাবেশ করবে। তিনি বলেন, আজকে আমাদেরকে সেই জনসমাবেশ করতে দিতে হবে। খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে গত ১২ নভেম্বর স্মরণকালের সেরা যে সমাবেশ হয়েছিল আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস আগামী ১২ মার্চের সমাবেশে তার থেকে বেশি জনসমাগম হবে। এবং এটা দেখার জন্য সরকারের সাহস থাকতে হবে। আমরা আজকে এই সমাবেশকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছি। বলা হচ্ছে, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিয়ে আমরা মাঠ গরম করতে পারছি না, তাই আমাদেরকে সমাবেশ করার সুযোগ দিতে হবে। তা না হলে বোঝা যাবে এক দেশে দুই আইন চলছে। তিনি বলেন, আমরা বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ শুরু করেছি। ১০ মার্চ খুলনা বিভাগে আমাদের সমাবেশ আছে। সব বিভাগীয় শহরে আমরা পর্যায়ক্রমে সমাবেশ করব। জেলা পর্যন্ত সমাবেশ করব। তিনি আরও বলেন, গণস্বাক্ষরের মতো কর্মসূচিতেও সরকার বাধা দিচ্ছে। লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতেও তারা বাধা দিচ্ছে। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ২০০৬ সালে বিদ্যুতের দাম গড়ে ২ টাকা ৮০ পয়সা ছিল, আজকে সেটা গড়ে ১০ টাকা হয়েছে। একইভাবে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। সরকার তাদের পকেট ভারি করার জন্য গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পায়তাঁরা করছে। গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো যুক্তি নেই। শুধু লুটপাট করার জন্যই দাম বাড়ানো কথা বলছে। এসময় সভায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ওলামা দলের সভাপতি আবদুল মালেক, সাধারণ সম্পাদক নেছারুল হক, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।