Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিএনপি অফিসের সামনে বাক্স রাখলে এক ঘণ্টায় দুই কোটি টাকা জমা হতো

| প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

-নজরুল ইসলাম খান
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, খালেদা জিয়া তার স্বামীর নামে গঠিত ট্রাস্টের টাকা আত্মসাতে সহযোগিতা করেছেন এটা দেশের কোনো মানুষ বিশ্বাস করে না। কারণ এ টাকা ব্যবহার বা ব্যাংক হিসাবে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এমনকি বাদী পক্ষ খালেদা জিয়া জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া যদি বলতেন তার কোন কাজে ২ কোটি টাকা লাগবে তাহলে বিএনপি অফিসের সামনে দুটি বাক্স রাখলে ১ ঘণ্টায় তার চেয়ে বেশি টাকা জমা হত। তিনি যদি কখনো বলতেন, তার টাকার দরকার যদি তাকে অবরুদ্ধ করে রাখাও হতো তাহলেও দেশের মানুষ তাকে লাইন ধরে এসে এর চেয়ে বেশি টাকা দিয়ে যেতো। আসলে টাকা আত্মসাৎ কিছু নয় নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে এবং উদ্দেশে এটি করা হয়েছে। গতকাল (শনিবার) খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক দল আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে বিএনপি ও জনগণকে দুর্বল করা যাবে না। সামনের দিনে ভোটের ফলাফল পাল্টানো যাবে না। জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে আছে আগামী দিনে খালেদা জিয়াকে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বানাবে। এখন সুযোগ শুধু ভোট দেয়ার। প্রধানমন্ত্রীর মামলার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা এক এগারোতে শুনেছি বাক্স করে ৩ কোটি টাকা আর চেকের মাধ্যমে ৫ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। এসবের ঘটনায় মামলা হয়েছে, অথচ সে সব মামলায় রাজনৈতিক বিবেচনায় বাতিল করা হয়েছে। আবার কোনটা নিজেদের পছন্দের বিচারক নিয়োগ করে খারিজ করা হয়েছে। কিন্তু খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে দায়ের হওয়া মামলাগুলো চলমান রেখেছে।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে এই সরকার জেলে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষ পর্যন্ত জানে, বেগম জিয়া টাকা মেরে খাননি। ব্যাংকে টাকা রাখার ব্যাপারে বেগম জিয়ার কোনো অনুমোদন ছিল না। ব্যাংকে টাকা যেমন ছিল, তেমনি আছে। সেই টাকা এখন ছয় কোটি টাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরো বলেন, ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতা এখন দেশের বাইরে সেকেন্ড হোম বানিয়ে রেখেছে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে, সুইসব্যাংকে টাকা রাখছে। ৬৯ সালে কোনো নেতা জেলের বাইরে ছিলেন না। তারা প্রত্যেকেই জেলে ছিলেন। তাই বলে কি তারা ৭০ এর নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারেননি। দেশের মানুষ এখন যা সিদ্ধান্ত নেয়ার নিয়ে ফেলেছেন। আমরা ২০১৮ সালের এই নির্বাচনে বেগম জিয়াকে সাথে নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিব।
ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, বেগম জিয়া আইনি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। এই অবৈধ সরকার অন্যায়ভাবে তিনবারের এই প্রধানমন্ত্রীকে কারাগারের ভেতর আটকিয়ে রেখেছে। দেশে ৫ জানুয়ারির মতো আর কখনোই একতরফা নির্বাচন হবে না। আমরা বেগম জিয়াকে নিয়েই আগামী নির্বাচনে অংশ নিব। সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো, আবু জাফর, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নাসিম প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ