বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা : মাদারীপুর সদর উপজেলার ২নং শকুনী-হাজির হাওলা এলাকায় গত শুক্রবার রাতে ক্রিকেট খেলা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় আওয়ামীলীগের একটি শাখা অফিসে হামলা চালিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পাভেলুর রহমান শফিক খানের ছবিসহ এলাকায় কয়েকটি বসতঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়। এ হামলা দুই মহিলা আহত হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ২নং শকুনী-হাজির হাওলা এলাকায় শুক্রবার বিকালে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আহম্মেদ-জাকির গ্রুপের সমর্থকদের সাথে আওয়ামীলীগের অপর গ্রুপ দেলোয়ার মুন্সী-কালাম দারোগার সমর্থকদের সাথে বাকবিতান্ড হয়। পরে রাত ৯টার দিকে ইলিয়াস-জাকির গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে দেলোয়ার মুন্সীর সমর্থকদের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় আতাউর মুন্সী ও আমিনুল সরদারের বসতঘর ভাংচুর করা হয়। শনিবার সকালে পুনরায় ইলিয়াস-জাকির গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে হাজির হাওলা এলাকার মিজু জমাদ্দার, মোশারফ জমাদ্দার, মুজিবর জমাদ্দার, বাচ্চু জমাদ্দার, আতিকুর জমাদ্দার, নূর জমাদ্দার, হালান দারোগা, জয়নাল দারোগা, মেহব্বত আলী দারোগার বসতঘ সহ ১০-১২টি দোকান ভাঙচুর করা হয়। এ সময় রাশিদা বেগম (৩৫) ও নাজমা বেগম (২৭) আহত হয়। আহতরা মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আহম্মেদ বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কিছু বাড়িঘর ভাঙচুর হয়েছে। আমি এ মারামারির সাথে সরাসরি জড়িত নয়। একটি পক্ষ আমাকে ব্যবহার করছে। তবে কোনো লোক আওয়ামীলীগ অফিসে হামলা চালায়নি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করেনি। অপর পক্ষ রাজনৈতিক সুবিধা নেয়ার জন্য নিজেরা ভেঙ্গে আমাদের নামে বদনাম ছড়াচ্ছে। আমি ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙ্গার প্রশ্নই আসে না। মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. কামরুল হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে দ্ব›দ্ব চলে আসছিল। আওয়ামীলীগ অফিসসহ কিছু বাড়িঘর ভাঙচুর হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কোনো পক্ষ এখন পর্যন্ত মামলা করতে আসেনি। মামলা হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নিব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।