পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির মন্ত্রীদের পদত্যাগে অনুমতি দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধের পর দলের চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বলেছেন, আমি জাতীয় পার্টির মন্ত্রীরা খুব শিগগিরই পদত্যাগ করবো। গতকাল শুক্রবার রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন। তিনি বলেন, বর্তমান মন্ত্রিসভায় আমিসহ জাতীয় পার্টির তিনজন মন্ত্রী আছেন। আমরা কিছুদিনের মধ্যেই মন্ত্রিসভা থেকে একযোগে পদত্যাগ করবো। এ ব্যাপারে আমরা ইতোমধ্যেই আলোচনা করেছি। পদত্যাগ করার বিষয়টি এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। মন্ত্রিসভায় আমাদের দলের লোক থাকায় দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে এবং এটা বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ সংসদে বলেছেনও। সুতরাং আমি বলব, আমাদের কাউকেই মন্ত্রিসভায় নেওয়া ঠিক হয়নি। এর আগে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে এসে পৌঁছালে দলের নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান। এ সময় দলের মহাসবিচ রুহুল আমিন হাওলাদার, কো চেয়ারম্যান জিএম কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহাম্মেদ বাবলু, রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদ বলেন, আমরা অনেক সমালোচিত হয়েছি। তবে সরকারি দলের সঙ্গে মন্ত্রিসভায় যোগদান করার বিষয়টি ছিল রাজনৈতিক কৌশল। জার্মানিসহ অনেক দেশে এ নজির আছে। তবে আমরা আর মন্ত্রিসভায় থাকতে চাই না। বিএনপির সঙ্গে জাতীয় পার্টির জোট করার কোনই সম্ভাবনা নেই জানিয়ে এরশাদ বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি আসবে কিনা সে ব্যাপারে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তারপরও সরকার চেষ্টা করছে। আমরাও মনে করি তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিত। তবে বিএনপি এখন নেতৃত্বহীন হয়ে পড়েছে। তাদের দলে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কোনও নেতা নেই। কে নেতৃত্ব দেবে কার নেতৃত্বে নির্বাচন হবে এসব সমস্যা আছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এরশাদ বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না গেলে তো নির্বাচন বন্ধ হবে না। তাদের না যাওয়ায় কিছুই যায় আসে না। জাতীয় পার্টি আর আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচনে যায়, বিএনপি না গেলেও সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে। খালেদা জিয়ার জামিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি ৬ বছর ২ মাস কারাগারে ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে সব মামলাই ছিল জামিনযোগ্য। তার পরেও আমি জামিন পাইনি। হাইকোর্ট আদেশ দেওয়ার পরেও আমাকে সংসদে আসতে দেওয়া হয়নি। পৃথিবীর কোনও দেশে কোনও নেতাই আমার মতো নির্যাতন ভোগ করেনি। আমার প্রতি যে অবিচার করা হয়েছে তার কোনও নজির নেই। তিনি আরো বলেন, আমরা আগামী ২৪ মার্চ ঢাকায় মহাসমাবেশের তারিখ ঘোষণা করেছি। আশা করছি সেখানে পাঁচ লাখ মানুষের সমাবেশ হবে। আমরা দেখাতে চাই জাতীয় পার্টি কতটা শক্তি সঞ্চয় করেছে। আগামীতে আমরা জনগণের রায় নিয়ে এককভাবে ক্ষমতায় যেতে চাই। আমাদের মূল লক্ষ্য হবে মহাসমাবেশের মাধ্যমে দেশের মানুষকে দেখানো আমরা নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।