পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দীর্ঘ দিন ধরে চাল ও পেঁয়াজের ঊর্ধ্বমুখী দাম ক্রেতাদের অস্বস্তিতে রেখেছে। বিক্রেতারা বারবার পণ্য দু’টির দাম কমার আশ্বাস দিলেও এর সুফল পাচ্ছেন না ক্রেতারা। বরং সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দাম। পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও তা এখনও আসেনি ক্রেতার ক্রয় সীমার মধ্যে। খুচরা বাজারে পেঁয়াজের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে খুচরা বিক্রেতাদের তথ্য অনুযায়ী, নাজিরশাইল কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭৩ টাকা, ১ নম্বর মিনিকেট ৬৫, সাধারণ মিনিকেট ৬২, বিআর-২৮ চাল ৫৫ টাকা, স্বর্ণা এবং পারিজা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজিতে।
গতকাল শুক্রবার যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।
যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজারের পেঁয়াজের খুচরা বিক্রেতা জামাল বলেন, পেঁয়াজের দাম এই কমছে এই বাড়ছে। বাজারের মতিগতি আমরা নিজেরাও বুঝতে পারছি না। পাইকারি ব্যবসায়ীরা এখনো পেঁয়াজের ফলন নষ্ট ও আমদানি সমস্যার কথা বলে যাচ্ছেন। ফলে বেশি দামে কিনে আমাদেও বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
চালের খুচরা বিক্রেতা কবির হোসেন বলেন, চালের দাম দ্রæত কমার সম্ভাবনা নেই। অনেকে বলেন বাজারে বোরো মৌসুমের চাল এলে নাকি দাম কমে। তবে এর থেকে দাম আর খুব বেশি কমবে বলে মনে হচ্ছে না।
এদিকে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সবজি বাজারে ক্রেতাদের স্বস্তি থাকলেও চলতি সপ্তাহে কয়েকটি সবজির দাম বেড়ে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে বেগুন, শসা, করলা, বরবটি ও ঢেঁড়স। এদিন প্রতি কেজি টমেটো ১০-১৫ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, মূলা ১৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০ টাকা, ধনিয়াপাতা ৬০ টাকা, লাউ প্রতিপিস ৩০ টাকা, গাঁজর ৩০ টাকা, আলু ১৫-২০ টাকা, প্রতি জোড়া বাঁধাকপি ও ফুলকপি ১৫ টাকা, শসা ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, লাল শাক, পালং শাক ও ডাঁটা শাক দুই আঁটি ১৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
সবজির সরবরাহ ভাল থাকলেও কিছু সবজির দাম বাড়তি। আমদানি করা রসুনের বাজারেও স্বস্তি নেই ক্রেতাদের। কেজি প্রতি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া আমদানি করা রসুন এ সপ্তাহে এসে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। এছাড়া দেশি রসুন ৬০-৭০ টাকা, চিনি ৫৫-৬০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১০০-১২০ টাকা ও আমদানি করা মসুর ডাল ৬০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে।
যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজারে ছুটির দিনে সাপ্তাহিক বাজার করতে আসা ক্রেতা মামুন ও রিপন জানান, বাজারে কোনো পণ্যই এখন খুব বেশি ক্রেতাদের হাতের নাগালে নেই। পেঁয়াজ, চাল ও বেশ কয়েকটি সবজির দাম ক্রেতাদের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিন দিন মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা নাজেহাল। মাছ ও গোশতের দামও রয়েছে গত সপ্তাহের মতোই। প্রতি কেজি কাতল মাছ ২২০ টাকা, পাঙ্গাশ ১২০ টাকা, রুই ২৩০-২৮০ টাকা, সিলভারকার্প ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, শিং ৪০০ টাকা ও চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতি কেজি গরুর গোশহত ৪৫০-৫০০ টাকা, খাসির গোশত ৭০০-৭৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালি মুরগি প্রতিপিস সাইজ অনুযায়ী ১৫০-২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।