Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজসাংবাদিক খাজা ইয়াঘমা ইস্পাহানি

| প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম
সাংবাদিকতা পৃথিবীর আদিকাল থেকে শুরু হওয়া একটি বিষয়। খোদ আল্লাহতায়ালা তাঁর বাণী মানুষের কাছে পাঠানোর জন্য যে মহাপুরুষদের প্রেরণ করেছেন, তাঁরাই ছিলেন আল্লাহ মনোনীত সাংবাদিক। আল্লাহর ওহির জ্ঞানে ঋদ্ধ জ্ঞানী এসব মহাপুরুষকে আরবি ও পারসি ভাষায় বলা হয়ে থাকে ‘নবি’, ‘রাসূল’, ‘পয়গাম্বর’ ইত্যাদি। এ তিনটি শব্দেরই অর্থ হলো সংবাদ বহনকারী। আর যিনি সংবাদ বহন করেন, তিনিই সাংবাদিক। এ অর্থে তাঁরা ছিলেন আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের কাছে প্রেরিত সংবাদ বা বাণীবাহক তথা সাংবাদিক। তাওরাত, যবুর, ইঞ্জিল, কুরআন, ত্রিপিটক, বেদ, গীতা পৃথিবীর প্রধান প্রধান ধর্মগ্রন্থগুলোর সাথে রয়েছে পবিত্র সাংবাদিকতার পরশ। আর ধ্যানের মাধ্যমে যখন খোঁজা হয়েছে মানুষের মুক্তির নিয়ামক তখনি স্রষ্টার কাছ থেকে সৃষ্টির জন্য বর্ষিত হয়েছে এসব ধর্মগ্রন্থ। কখনো ওহির আকারে, ঈশ্বরের প্রত্যাদেশ আকারে, কখনো দৈববাণী আকারে আবার কখনো আকাশবাণী হয়ে ধরায় এসেছে পবিত্র সংবাদ। এভাবেই মানুষের কল্যাণের ব্রত নিয়ে সাংবাদিকতার আদি সূচনা ও বিকাশ।
আমাদের ভারতবর্ষে সাংবাদিকতার বিষয়টি রাষ্ট্রীয় এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গেজেটভুক্ত হয়ে কার্যকর হয় মোগল আমলে। সম্রাট আকবরের সময় (১৫৫৬-১৬০৫) তাঁর নওরতন সভার সদস্য আল্লামা আবুল ফজল কর্তৃক প্রণীত ‘আইন-ই-আকবরি’ নামক গ্রন্থের ১০ নং আইনে Regulations Regarding the Waqia Nawis শিরোনামে ‘ওয়াকিয়ানবিশ’ তথা সাংবাদিকের বিস্তৃত কর্মপরিধির উল্লেখ করা হয়েছে। আইনটির ভ‚মিকায় বলা হয়েছে, Keeping record is an Excellent thing for a government; it is even necessary for every rank of society. Though a trace of this office may have existed in ancient times, its higher objects were but recognized in the present reign. এ ভ‚মিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতার বিষয়টি যে প্রাচীনকাল থেকেই ছিল, তার স্বীকৃতির পাশাপাশি এর গুরুত্ব সম্পর্কে ইঙ্গিত প্রদান করা হয়েছে। সাংবাদিকদের জন্য আইন প্রণয়নকালে এ বিষয়ে সম্রাটের উদ্দেশ্য ব্যক্ত করার পাশাপাশি সাংবাদিকের গুণাবলির বর্ণনা করা হয়েছে। আইনটিতে বলা হয়েছে, 

His majesty’s object is, that every duty be properly performed; that there be no undue increase, or decrease in any deprtment; that dishonest people be removed, and trustworthy people be held in esteem; and that active servants may work without fear, and negligent and forgetful men be held in check.


এভাবে ওয়াকিয়ানবিশ নিয়োগের মাধ্যমে সম্রাটের উদ্দেশ্য ছিল, প্রতিটি কাজ যাতে যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়; অসৎ কর্মচারীরা যেন অপসারিত হয় এবং বিশ্বস্ত কর্মচারী যাতে যথাযোগ্য স্বীকৃতি পায়; সৎ এবং কর্মঠ কর্মচারীরা যাতে নির্ভয়ে কাজ করতে পারে, ফাঁকিবাজ এবং অমনোযোগী কর্মচারীদের উপর যেন নজর রাখা হয়, ইত্যাদি বিষয়গুলো বাস্তবায়নে রাজকীয়ভাবে এ সাংবাদিকের পদ সৃষ্টি এবং এতদসংক্রান্ত বিধিবিধান জারি করা হয়।
এ আইন পাসের মাধ্যমে সাংবাদিকের নিজের গুণাবলি ছাড়াও তিনি কোন কোন বিষয়ে দৃষ্টি দেবেন সে বিষয়গুলোতেও নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
সাংবাদিকতাকে বিধিবদ্ধ আইনের আওতায় আনয়নকারী সম্রাট আকবরে পুত্র সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময়কালে (১৬০৫-১৬২৭) বাংলাদেশ প্রকৃত অর্থে মোগল শাসনাধীনে আসে। ১৬০৮-১৬১৩ সময়কালে ইসলাম খান চিশতি বাংলায় মোগল কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চ‚ড়ান্ত অভিযান পরিচালনা করেন। ১৬১০ সালে ঢাকাকে রাজধানী ঘোষণা করে এর নতুন নামকরণ করা হয় জাহাঙ্গীরনগর। ইসলাম খান চিশতির বাংলায় অভিযানকালীন সে অভিযানেরই একজন সেনানায়ক ছিলেন মীর্জা নাথান। তিনি যুদ্ধ পরিচালনার পাশাপাশি সরাসরি যুদ্ধের ঘটনাপ্রবাহ তথা ইতিহাস রচনার কাজটিও করে যান। পরবর্তীতে তাঁর রচিত ইতিহাস গ্রন্থটি বাহারিস্তান-ই-গায়বি নামে প্রকাশিত হয়। তাঁর রচিত এ ইতিহাস গ্রন্থেই আমরা সে সময় বাংলায় ওয়াকিয়ানবিশ তথা সাংবাদিক প্রেরণের বিষয়টি জানতে পারি। ওয়াকিয়া শব্দটির অর্থ হলো- ঘটনা এবং নবিশ হলেন যিনি ঘটনাটির বিবরণ লিখেন। এভাবে সংঘটিত সকল ঘটনার বিবরণ যিনি লিপিবদ্ধ করেন, তিনি ওয়াকিয়ানবিশ নামে অভিহিত হন। সম্রাট জাহাঙ্গীর কর্তৃক বাংলায় প্রেরিত প্রথম বিবরণ লেখকের নাম ছিল আবদুল লতিফ। প্রথম ওয়াকিয়া নবিশের নাম ছিল খাজা ইয়াঘমা ইস্পাহানি। ইসলাম খান চিশতির সঙ্গী হিসেবে আবদুল লতিফ প্রথমদিকটায় থাকলেও ইসলাম খান চিশতির পুরো সময় ও আরো পরেও যিনি সাংবাদিকতার দায়িত্ব পালন করেন; তিনি হলেন খাজা ইয়াঘমা ইস্পাহানি। বাহারিস্তান-ই-গায়বির বর্ণনায় ‘বাংলায় ওয়াকিনবিশ প্রেরণ’ শিরোনামের লেখায় বলা হয়েছে, ‘ইয়াঘমা ইস্পাহানিকে নির্দেশ দেয়া হয় বাংলায় গিয়ে ওয়াকিয়ানবিশের (সংবাদ লেখক) কার্যভার গ্রহণ করার জন্য। প্রতি সুবাহতে (প্রদেশে) একজন সংবাদ লেখক নিয়োগ করা ছিল তখনকার সবচেয়ে প্রচলিত প্রথা। তাঁকে উপদেশ দেয়া হয় যে, প্রাদেশিক গভর্নরদের ঘটনা ও কার্যাবলির ধারাবাহিক রিপোর্ট শাহি দরবারে প্রেরণের জন্য। সেসব রিপোর্ট সুবাহদারদের না দেখানোর জন্যও তাঁকে উপদেশ দেয়া হতো। ইয়াঘমা তাঁর পদের উপযুক্ত সম্মানসূচক পোশাক প্রাপ্তির পর এক শুভ মুহূর্তে দ্রুত বাংলা অভিমুখে রওনা হন। এ সংবাদ ইসলাম খাঁর নিকট পৌঁছে।’
সম্রাট জাহাঙ্গীরের সাথে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল ইয়াঘমা ইস্পাহানির। একটি ঠুনকো ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকার সুবাহদার ইসলাম খান চিশতির সাথে সম্রাট জাহাঙ্গীরের বাদানুবাদ ঘটলে একপর্যায়ে চরম আকার ধারণ করে। এ সমুদয় ঘটনার সাক্ষী ছিলেন সে সময়ের রাজকীয় সাংবাদিক খাজা ইয়াঘমা ইস্পাহানি। সে সময় ঢাকায় যেসব গানের শিল্পী ও নর্তকি ছিল, তাদের খ্যাতি ছিল দিল্লি দরবার পর্যন্ত। সম্রাট জাহাঙ্গীর প্রেমরাঙ্গা নামক তাঁর দরবারের একজন সঙ্গীতজ্ঞকে ইসলাম খাঁর দরবারের শ্রেষ্ঠ গায়িকা ও নর্তকিদের নিয়ে যাওয়ার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন। ইসলাম খান সম্রাটের এ নির্দেশে ক্ষুব্ধ হন। বাহারিস্তানের বর্ণনায় দেখা যায়, ‘ইসলাম খাঁর উপর বিধিনিষেধ আরোপিত হওয়া সত্তে¡ও তিনি এ বিষয়ে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করেন। সংবাদ লেখক ইয়াঘমা ইস্পাহানি বহুভাবে তাঁকে সতর্ক করা সত্তে¡ও তিনি তা গ্রাহ্য করেননি। তিনি সম্রাট প্রেরিত প্রেমরাঙ্গাকে নির্জন স্থানে আবদ্ধ করেন এবং এমনভাবে তাকে পাহারা দেয়ার ব্যবস্থা করেন যাতে ইসলাম খাঁর অনুমতি ছাড়া কোনো পাখিও তাকে দেখতে না পায়। প্রহরীদের প্রতি হুকুম দেয়া হয়, তারা যেন তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য তাঁকে দিনে দু’বার তাঁর সামনে হাজির করেন।’
এ সমুদয় ঘটনা সাংবাদিক ইয়াঘমা ইস্পাহানি যখন সম্রাট জাহাঙ্গীরের নিকট রিপোর্ট করেন, তখন তাঁর এ রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে সম্রাট জাহাঙ্গীর ইসলাম খানের সুবাহদারশিপ বাতিল করে দেন। শাজাত খান রোস্তমে জামানকে সুবা বাংলার সুবাহদার নিয়োগ করে ইসলাম খাঁকে সুবাহদারী থেকে সরানোর ফরমান জারি করা হয়। ইসলাম খানের নিকট থেকে সুবাদারের দায়িত্ব বুঝে নেয়ার জন্য ঢাকায় আগমনরত শাজাত খান রুস্তমে জামান একটি মাদী হাতির উপর থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যুবরণ করায় ইসলাম খানের সুবাহদারী টিকে যায়। বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শাজাত খান রুস্তমে জামানকে দাফন করা হয় (বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রের নিকট যে কবর সেটিই শাজাত খানের কবর বলে অনুমান করা হয়)। কারণ সে এলাকাটি থেকে শুরু করে শিখ গুরুদুয়ারাসহ কলাভবন এলাকা ও আশপাশ এলাকা তখন থেকে তাঁর নামে শাজাতপুর নামকরণ হয় এবং ১৮৪০ সালে জেমস টেলরের লেখা ঢাকা বিষয়ক ইতিহাস গ্রন্থেও ‘শাজাতপুরের শিখ গুরুদুয়ারাটি’ বলতে গিয়ে শাজাতপুর নামটিই উল্লেখ করেছেন। একজন সাংবাদিকের রিপোর্টের ভিত্তিতে সম্রাট কর্তৃক প্রাদেশিক গভর্নরের গভর্নরশিপ বাতিল করে দেয়া একজন সাংবাদিকের কলমের শক্তির পরিচয় বহন করে।
ব্যবসায়িক, সামরিক ও রাজনৈতিক সকল দিক থেকে আমাদের আজকের কিশোরগঞ্জের উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছিল এগারসিন্দুর ও তৎসংলগ্ন টোক। ষোড়শ শতাব্দীর কবি নিত্যানন্দ দাশের লেখায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘এগারসিন্দুর আর দগদগা স্থানে/বাণিজ্য বিখ্যাত তাহা সর্বলোকে জানে’। ১৭৮৭ সালে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মমিনশাহী জেলার হেডকোয়ার্টার করতে চেয়েছিল দগদগায়। যাক যে কথা বলছিলাম, ইসলাম খান চিশতির সময়কার (১৬০৭-১৬১৩) সাংবাদিক খাজা ইয়াঘমা ইস্পাহানি হলেন সে সময়ে বর্তমান কিশোরগঞ্জে আগমনকারী প্রথম সাংবাদিক। তিনি এখানে সংঘঠিত অনেক যুদ্ধের ঘটনার সাক্ষী। একটি স্মরণীয় ঘটনা তাঁর কিশোরগঞ্জ এলাকায় আগমনকে ইতিহাসে স্থায়ী করে রেখেছে। ততদিনে সুবাহবাংলার সুবাহদার ইসলাম খান চিশতি কর্তৃক ঢাকাকে রাজধানী ঘোষণা করে এর নামকরণ করা হয়েছে তাঁর নিয়োগকর্তা সম্রাট জাহাঙ্গীরের নামে জাহাঙ্গীরনগর। ঈসাখানের পুত্র মুসাখান তখন অনেকটা রাজবন্দী (১৬১১) অবস্থায় ইসলাম খানের প্রাসাদবাটি ‘মহল্লা-এ-চিশতিয়ানে’র (বর্তমান হাইকোর্ট ও সংলগ্ন এলাকা) পাশে অবস্থিত ‘বাগে মুসাখানে (বর্তমান কার্জন হল ও শহীদুল্লাহ হলসহ নিমতলী এলাকায়) বসবাস করছেন। সারা বাংলায় ইসলাম খান চিশতির বিজয় অভিযান শেষের দিকে। ১৬১৩ সালের মধ্য জুলাইয়ে ইসলাম খান জাহাঙ্গীরনগর থেকে মৃগয়ায় (শিকারে) উদ্দেশ্যে আসেন ভাওয়ালের গড়ে এবং তিনি শিবির স্থাপন করেন টোক-এ। তখন টোকে সামরিক চৌকি এবং নদীর অপর পার এগারসিন্দুরে সামরিক ঘাঁটি ও মোগল থানা (পাকুন্দিয়ার এগারসিন্দুরে অবস্থিত থানার ঘাট আজো সেই স্মৃতি বহন করছে) বিদ্যমান। ইসলামখানের সে শিকারে আসার সাথে টোকে কোচবিহারের রাজা পরীক্ষিত এর আত্মসমর্পণের দিনক্ষণও নির্ধারিত ছিল। ভাওয়ালের টোক নামক চৌকিতে কোচবিহারের রাজা পরীক্ষিত এর আত্মসমর্পণের খবর সংক্রান্ত চিঠি এসে পৌঁছে। সেনাপতি মোকাররম খাঁ ও শেখ কামালের মাধ্যমে ইসলাম খাঁর নিকট এ চিঠি পৌঁছালে ইসলাম খান সংবাদ লেখক খাজা ইয়াঘমা ইস্পাহানিকে ১৬১৩ সালের ২০ জুলাই তাঁর কাছে ডেকে পাঠিয়ে বলেন, ‘আপনি আপনার ইতিকথায় লিখে রাখুন যে, যে কোচরাজ তাঁর বংশের এক শতাব্দীর স্বাধীন রাজত্বের দাবি করতেন, তাঁকে কি করে মুহূর্তের মধ্যে পদানত করা হয়েছে, এবং কি করে আমি তাঁকে বাদশার অধীনস্থ সামন্ত রাজে পরিণত করেছি।’ ইসলাম খানের এ নির্দেশনা যথাযথ প্রতিপালিত হয়েছিল। কিন্তু রাজা পরীক্ষিত কে তাঁর সামনে হাজির করার পূর্বেই ১৬১৩ সালের ২১ জুলাই রাতে ইসলাম খান হঠাৎ অসুস্থ হয়ে বর্তমান কাপাসিয়া উপজেলার টোক নামক স্থানে ইন্তেকাল করেন। বিষয়টি রাতে গোপন রেখে পরদিন সকালে তাঁর মৃত লাশের সামনে রাজা পরীক্ষিতকে নেয়া হয় এবং তিনি লাশের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে তাঁর আত্মসমর্পণ এবং আনুগত্য প্রকাশ করেন। এভাবে একজন প্রাদেশিক গভর্নরের মৃত্যুর পরও রাজকীয় রীতিনীতি অনুযায়ী আরেকটি রাজ্যের প্রধানের আত্মসমর্পণ কর্মটি শৃঙ্খলার সাথে সুচারুরূপে সম্পন্ন করা হয়। পরবর্তীতে ইসলাম খানের লাশ সুখপাল নামক বাহনে করে ঢাকায় এনে ‘বাগ-ই-শাহি’তে দাফন করা হয়। (যা বর্তমান হাইকোর্টের মাজার)। এসব কথা ইসলাম খানের আরেক সেনাপতি ও ইতিহাস লেখক মীর্জা নাথারের লেখা বাহারিস্তান-ই-গায়বিতে লেখা রয়েছে।
এভাবে কিশোরগঞ্জের ইতিহাসে রাজকীয় সাংবাদিক ইয়াঘমা ইস্পাহানির আগমন, একই সাথে রাজধানী ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা ইসলাম খান চিশতির মৃত্যু, কোচবিহারের রাজা পরীক্ষিতের আত্মসমর্পণ ইত্যাদি সংবাদ ও ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিয়েছে।
লেখক: আয়কর বিভাগে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা ও ইতিহাসবিদ

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সাংবাদিক

১৫ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন