Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতিগত নিধন চালানো হয়েছে রোহিঙ্গাদের ওপর -কানাডা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০১৮, ৮:৪৫ পিএম

মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর যেভাবে দমন পীড়ন চালানো হয়েছে তা স্পষ্টত জাতিগত নিধন বলে মন্তব্য করেছেন কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী খ্রিস্টীয় ফ্রিল্যান্ড। গত বৃহস্পতিবার জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈঠকে ফ্রিল্যান্ড রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর চালানো হত্যাযজ্ঞ ও নৃশংসতাকে তিনি জাতিগত নিধন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এদিকে, রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন চালানোর কথা অস্বীকার করেছে মিয়ানমার। দেশটি দাবি করেছে, রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কেবল বৈধ অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের উপর সেনাবাহিনীর নির্যাতন নিয়ে সংবাদ সংগ্রহের কিছু দলিল জোগাড় করার দায়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে আটকের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সত্যিকারের গণতন্ত্র বিকাশের জন্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। আর এ কারণেই রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতন ও নৃশংসতার খবর যোগাড় করার অভিযোগে রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে আটকের ঘটনায় কানাডা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’ রয়টার্স।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ২ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম says : 0
    কানাডা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ সোসাইটির সভাপতি হিসাবে সংগঠনের ও আমার নিজের পক্ষ থেকে আমি কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী খ্রিস্টিয় ফ্রিল্যান্ডের বক্তব্য সমর্থন করে এর প্রতিকার চাচ্ছি জতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের কাছে। সাথে সাথে আমি এটাও দাবী করছি যে, বাংলাদেশে শরণার্থী হিসাবে আগত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের কাজ অতি দ্রুততার সাথে সমাধান করা হউক। এজন্য মায়ানমার সাথে সাথে ভারত, চীন ও রাশিয়ার উপরও চাপ সৃষ্টি করা হউক যাতে করে ভারত, চীন ও রাশিয়াও মায়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টি করে অতি অল্পসময়ের মধ্যে মায়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিকত্বার মর্যাদা দিয়ে তাদেরকে তাদের জন্মভূমির দেশে ফিরে যাবার সুযোগ করে দেয়। আমি মনেকরি ভারত, চীন ও রাশিয়ার মদদ পেয়েই মায়ানমার বিশ্বের অন্যসব রাষ্ট্রের অনুরোধ উপেক্ষা করে তাদেরকে কোন রকম তোয়াক্কাই করছেনা এটাই সত্য। আমি কোন ধর্মেই এধরনের নৃশংসতা চালানোর কোন বিষয় দেখিনাই, বিশেষ করে বোদ্ধ ধর্মে এসব হত্যা নিধন অত্যাচার ব্যাভিচারের কোন যায়গাই নেই তারপরও দেখা যাচ্ছে মায়ানমারের সামরিক যান্তারা বিশ্ব বাসীকে এড়িয়ে তাদের অত্যাচার অবিচার চালিয়েই যাচ্ছে। আবার তাদের এসব গর্হিত কাজে সহযোগিতা করছে ভারত, চীন ও রাশিয়া। সত্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য লোক সংখ্যা যতই কম হউকনা কেন আল্লাহ্‌ তাদের পক্ষেই থাকেন এটাই সত্য। আমীন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ