Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আনোয়ারায় ২ মাসে ১২ অগ্নিকান্ড অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি

| প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) থেকে জাহেদুল হক: চট্টগ্রামের আনোয়ারায় জানুয়ারি ও ফেব্রæয়ারি মাসে ছোট-বড় ১২টি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে নষ্ট হয়েছে প্রায় অর্ধকোটি টাকার সম্পদ। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় পরিবার মধ্য ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির। প্রতিটি আগুন লাগার সূত্রপাত রান্নার চুলা বা ছেঁড়া বৈদ্যুতিক তার থেকে শর্টসার্কিট। মূলত অসাবধানতার কারণে এসব অগ্নিকান্ড ঘটছে বলে উপজেলার বিভিন্ন স্থানের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের হেটিখাইন গ্রামে। গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে সৃষ্ট এ আগুনে পুড়ে যায় ওই গ্রামের হাজীবাড়ি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় চারটি পরিবার। ফায়ার সার্ভিসের সূত্রমতে, ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ৫ লাখ টাকা হলেও স্থানীয় চেয়ারম্যানের দাবি ক্ষতির পরিমাণ ১৯ লাখ টাকা। ২৪ ফেব্রæয়ারি বিকেলে আগুনে পুড়ে যায় বারখাইন ইউনিয়নের উত্তর হাজীগাঁও গ্রামের এক বিধবার বসতঘর। ২৩ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে দক্ষিণ সরেঙ্গা গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পুড়ে ছাই হয় ৫ পরিবারের বসতঘর। ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে বরুমচড়া গ্রামের শাহজীপাড়ায় একটি সিএনজি গাড়িসহ পুড়েছে দুই সহোদরের বসতঘর। ১ ফেব্রুয়ারি রাতে বারশত ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে পুড়েছে তিন পরিবারের বসতঘর। এসব অগ্নিকান্ডের ঘটনাই ঘটেছে বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা।
এছাড়া জানুয়ারিতে চাতরী চৌমুহনী বাজারে তুলার গোডাউন, তৈলারদ্বীপ সরকার হাটে গরুর ফার্ম, হাজীগাঁওয়ে খরের গাদা, বটতলী হলদিয়াপাড়ায় তিনটি বসতঘর, উত্তর ইছাখালীতে রাসেল সেনের বসতঘর, সাদমুছা শিল্পপার্কের সূতা কারখানা আগুনে পুড়ে গেছে। এসব ঘটনায় ১১ লাখ টাকার সম্পদ নষ্ট হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসব দুর্ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোর অসাবধানতাকে দায়ী করেছেন। তাদের অভিমত,ঘরের ছেঁড়া ও জোড়াতালির বৈদ্যুতিক তার বাদ দিয়ে মানসম্মত তার ব্যবহার এবং রান্না শেষে চুলার আগুন নিভিয়ে দিলে আগুন লাগার ঘটনা অনেক কমে আসবে।
আনোয়ারা ফায়ার সার্ভিসের লিডার লিটন বৈষ্ণব ইনকিলাবকে জানান, আগুনের কবল থেকে রক্ষা পেতে জনসচেতনতা প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট সবার উচিত আগুন লাগার সাথে সাথে দমকল বাহিনীকে খবর দেওয়া। ঘরের পুরোনো ছেঁড়া তার পরিবর্তন ও চুলার আগুন প্রয়োজন শেষে ভালোভাবে নেভানো হয়েছে কি না দেখার অভ্যাস করলে অগ্নিদুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে। ফায়ার সার্ভিসের হিসাব অনুযায়ী গত দুই মাসে আনোয়ারার বিভিন্ন গ্রামে আগুনে সাড়ে ১০ লাখ টাকার সম্পদ পুড়ে গেছে। এছাড়া ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের তৎপরতায় ৬৭ লাখ টাকার সম্পদ রক্ষা পেয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অগ্নিকান্ড


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ