পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘এতক্ষণে --অরিন্দম কহিলা বিষাদে’ (মেঘনাদ বদ) জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের বক্তব্য শুনে দেশ-বিদেশের মানুষ কবি মাইকেল মধুসুদন দত্তের এই পংক্তি মনে করেছেন। এতোদিনে বুঝতে পারলেন আত্মপরিচয়হীনতায় ভুগছেন তিনি! রাজনীতিতে যেমন আদর্শ-দর্শনের প্রয়োজন হয় তেমনি জরুরী নীতি-নৈতিকতা-আত্মপরিচয়।
তাঁর (রওশন) ভাষায় ‘জাপা সরকার ও বিরোধী দলে
থাকায় দেশ-বিদেশে পরিচয় দিতে পারেন না, লজ্জা লাগে। সবাই জানতে চায় জাতীয় পার্টি সরকারি দল না বিরোধী দল? এভাবে টানাটানি করে বিরোধী দল হওয়া যায় না’। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি জাতীয় পার্টির মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের মন্ত্রী সভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি বলতেন ঠিক আছে জাতীয় পার্টির সবাই মন্ত্রীত্ব ছাড়ো। মন্ত্রীত্বে থাকার দরকার নেই। এটা যদি আপনি করতেন জাতীয় পার্টি বেঁচে যেত। জাতীয় পার্টি সম্মানের সঙ্গে রাজনীতিতে থাকতে পারতো। বর্তমানে জাতীয় পার্টি সম্মানের সঙ্গে নেই। ---’। সেলুকাস! কি বিচিত্র এই দেশ!! সোয়া চার বছর ক্ষমতার মধু খাওয়ার পর ক্ষমতাসীনদের বেহাল অবস্থা দেখে এমন প্রস্তাব! রওশন এরশাদের এই বক্তব্য নিয়ে সর্বত্রই হচ্ছে আলোচনা-সমালোচনা তর্ক-বিতর্ক। বলা যায় সাবেক ফাষ্টলেডির বক্তব্য ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। প্রশ্ন হলো হঠাৎ নেত্রীর এই বোধোদয় কেন? ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনের আগে এরশাদের ভোট বর্জনের ঘোষণা এবং হঠাৎ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি; পরবর্তীতে মনোনয়ন প্রত্যাহার করা প্রার্থীদের কয়েকজন এমপি হওয়া এবং রওশন এরশাদের ‘আলাউদ্দিনের আশ্চার্য প্রদীপের’ মতোই বিরোধী দলীয় নেতা হওয়ার কাহিনী সবার জানা। ক্যারিকেচার ওই নির্বাচনের বদৌলতে হোটেল বয়, মুদি দোকানদারও এমপি হয়েছেন। সিএমএইচএ চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকে এরশাদের গোপনে এমপি হিসেবে শপথ নেয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত দুই দফায় তিনি দলের মন্ত্রীদের পদত্যাগের কথা প্রচার করেছেন। প্রেসিডিয়ামের সভার পর ‘জাপার মন্ত্রীদের পদত্যাগ করতে পারেন’ এমন বক্তব্য দেয়ায় দলের ভিতরে জ্বলন্ত কড়াইয়ের ফুটন্ত পানি টগবগ করেছে। এরশাদের মামলার ফাইল লাফালাফি করেছে। হায় হায়! এরশাদের কপাল যায় যায় অবস্থা হয়। দলের মহাসচিব পদে রদবদল আবার প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের পদ থেকে সরে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়াসহ জাপায় অনেক কাÐকারখানা ঘটে। এতো কিছুর মধ্যে দলের এমপি ও কিছু সুবিধাবাদী ক্ষমতার ‘মধু পান’ করলেও দলের যারা এরশাদের নির্দেশ মেনে নির্বাচন থেকে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন তারা হয়ে পড়েন ‘না ঘরকা না ঘাটকা’। নেতাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়ে নিজেও তা প্রতাহার করে আশ্চার্যজনক ভাবে এমপি হয়ে এরশাদ ক্ষমতার স্বাদ গ্রহণ করেছেন ঠিকই; কিন্তু ২১ ফেব্রæয়ারী, ১৬ ডিসেম্বর, ২৬ মার্চ স্ত্রী রওশন এরশাদ সংসদের বিরোধী দলের নেতা হিসেবে যখন শহীদ মিনার ও জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে যান; তখন এরশাদ মনের দুঃখে ঢাকা ত্যাগ করে কোথাও না কোথাও সফরে যান। এখন আত্মপরিচয় ঠিক করতে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা দলের মন্ত্রীদের মন্ত্রি সভা থেকে বাদ দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন; অথচ এই মন্ত্রীত্ব দেয়া-নেয়া ইস্যুতে ‘টাকার খেলার’ রসগল্প কে না জানে! শুধু কি তাই সংরক্ষিত মহিলা এমপি পদের জন্য কি কম টাকার খেলা হয়েছে; স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ? একজন মহিলা এমপি (কক্সবাজার) কাকরাইলের দলের এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় বলেছিলেন, আড়াই কোটি টাকা খরচ করে এমপি হয়েছি কী মিটিং মিছিলে যাওয়ার জন্য! কর্মীদের দেখতে হবে কেন?
রওশন এরশাদ আত্মপরিচয় নিয়ে যতই মর্মবেদনায় থাকুক; মানুষের সেদিকে ভ্রæক্ষেপ নেই। মানুষ এখনো এরশাদকে দেখতে চায় ‘অন্যরকম’। তাই রাজনীতিতে এরশাদের ইতিহাসের দায় আছে। সেনা বাহিনী থেকে রাজনীতিতে এলেও রাজনীতি ও দেশের জন্য এরশাদের অবদান কম নয়। সেই ’৮৮ বন্যায় ‘তোমাদের পাশে এসে/ বিপদের সাথী হয়ে’ এরশাদের হাটু পানিতে দাঁড়িয়ে ত্রাণ বিতরণের দৃশ্য মানুষ মনে রেখেছে। এরশাদের সময়ে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে দেশের মধুর সম্পর্ক কূটনীতিকরা কে না জানেন? মানুষ তাই বার বার এরশাদকে ভোট দিয়েছে; দুর্দিনে পাশে থেকেছে। দেশের মানুষ এরশাদকে দিয়েছে কিন্তু এরশাদ কী জীবনের পড়ন্ত বেলায় নিজেকে দেশের মানুষের কাছে স্মরণীয় করে রাখার চেষ্টা করবেন না? আল্লাহর রহমতে ৮৮ বছর বয়সে এখনো রাজনীতি করছেন। এমন ভাগ্য ক’জনের হয়? ‘জন্মিলে মরিতে হইবে’ প্রবাদটি চিরন্তন সত্য। আবার ‘মানুষ বেঁচে থাকে তার কর্মের মধ্যে, বয়সের জন্য নয়’ এ প্রবাদও সর্বই সত্য। মানুষ মরণশীল হলেও কর্মগুণে কেউ কেউ অমরত্ব লাভ করেন। পৃথিবীতে কত রাজনীতিক, মনিষী, বরেণ্য ব্যাক্তি এসেছেন। তাদের কতজনকে মানুষ মনে রেখেছে! তারা ভেসে গেছেন কাল¯্রােতে। তবে কীর্তিমান ব্যক্তিবর্গ মৃত্যুবরণ করেও থাকেন অমর। নশ্বর পৃথিবীতে মানুষ অবিনশ্বর হয়ে থাকেন কর্মগুণে। জীবনে কোনোদিন ক্ষমতায় না গিয়েও মানবাধিকারকর্মী মার্টিন লুথার কিংকে গোটা বিশ্ব মনে রেখেছে। ভারতের মহত্মা গান্ধী কী কম স্মরণীয়? ইতিহাসে সব নেতার নাম লেখা থাকে। নবাব সিরাজ উদ দৌল্লা এবং মীর জাফর কর্মগুনে ইতিহাসে একই পাতায় আসন পেয়েছেন। এরশাদ নিজেকে কোথায় রাখবেন?
বাংলাদেশের রাজনীতির যে অবস্থান বহমান তা খুবই স্পর্শকাতর। দেশের অভিভাবক হিসেবে পরিচিত সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা (মনীষী, বিজ্ঞানী, বু্িদ্ধজীবী, জ্ঞান তাপস) সুবিধাবাদিতার কারণেই অনেক আগেই গুরুত্ব হারিয়েছেন। নীতি নৈতিকতার বদলে সুবিধাবাদিতাই যেন রাজনীতির ধর্ম হয়ে গেছে। সমাজে যারা মুরুব্বীস্থানীয় তাদের মধ্যে অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ, এইচ এম এরশাদ, অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী, অধ্যাপক রেহমান সোবহান, অধ্যাপক বদরুদ্দীন উমর প্রমূখ আছেন। এদের মধ্যে এরশাদই আছেন রাজনীতিতে শক্ত অবস্থানে। তার দল জাতীয় পার্টিকে মনে করা হয় ক্ষমতায় যাওয়ার নিয়ামক শক্তি। দেশের ক্রান্তিকালে রাজনীতিক এবং রাজনীতির অভিভাবক হিসেবে যে ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া প্রয়োজন এরশাদ কী সে দায়িত্ব পালন করবেন? জাতীয় পার্টির উপর যখন সুমানী এবং নিজেও ছিলেন বন্দী; তখন দেশের মানুষ তাকে ভোট দিয়েছেন। বাধা-প্রতিবন্ধকতার মধ্যে যারা তাকে বার বার ৫টি করে আসনে বিজয়ী করেন; সেই জনগণ ভোটের অধিকার হারিয়েছে। ওই মানুষগুলোর জন্য কী এরশাদের কিছুই নেই করণীয়?
নিন্দুকেরা যাই বলুক না কেন এরশাদ শুধু দেশে নয় আন্তর্জাতিক পরিমÐলেও ইতিহাসের নাম। বিশ্বে তিনিই একমাত্র ব্যাক্তি যিনি গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে বন্দী থেকে বার বার বিজয়ী হন। তাকে যারা স্বৈরাচারের তকমা দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে নামিয়েছেন; তারা এখন ক্ষমতাসীনদের কর্মকাÐে লজ্জিত হন। যারা জনগণকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে সেদিন রাজপথ কাপিয়েছেন; এখন আক্ষেপ করে বলেন এরশাদের শাসনামল ভাল ছিল। এরশাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে যারা ডজন ডজন মামলা করেন; ‘এক দফা এক দাবী/ এরশাদ তুই কবে যাবি’ শ্লোগান দিয়ে রাজপথ কাঁপিয়েছেন; তাদের অনেককেই ‘এরশাদ তুমি এগিয়ে চলো’ শ্লোগান দিতে শোনা যায়। ’৯২ ভাগ মুসলমানের এই দেশে মাদরাসা শিক্ষার প্রসার এবং সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করায় এরশাদের প্রতি মানুষের রয়েছে অন্যরকম দুর্বলতা। সেই এরশাদ শেষ জীবনে যখন ক্ষমতার যাওয়ার লোভে আউল-ফাউল কথাবার্তা বলেন মানুষ তখন হন হতাশ।
’৯০-এর পর রাজনীতির পরতে পরতে জ্বলে-পুড়ে খাঁটি রাজনীতিক হিসেবে রুপান্তর ঘটেছে এরশাদের। কিন্তুু জেল ভীতিতে নিজের সিদ্ধান্তে ঠিক থাকতে না পারায় তিনি হন ‘আনপ্রেক্টিবল’ এর দুর্নামের ভাগিদার। ২০০১ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি; কিন্তু ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারী নির্বাচনে তার মনোনয়ন বাতিল করায় ‘নো এরশাদ নো ইলেকশন’ আওয়াজ পাল্টে দেয় রাজনীতির দৃশ্যপট। মাঝে মাঝে সবিরোধী এবং বালখিল্য কথাবার্তার কারণে ‘হাসির খোরাক’ হলেও তার কিছু বক্তব্য-সিদ্ধান্ত-কথাবার্তা দেশের রাজনীতির জন্য হয়ে যায় টার্নিং পয়েন্ট। ’৯০ পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শাসনামলের চিত্র দেখে অনেকেই বলতে শুরু করেন ‘এরশাদই ছিলেন খাঁটি সোনা; অন্যেরা হচ্ছেন পানির লোনা’। মামলার ক্যারিকেচায় চিড়ে-চ্যাবটা এরশাদ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী বিতর্কিত নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়ায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে যান। দেশের সাধারণ মানুষ-রাজনীতিক-পেশাজীবী-সুশীল সমাজ-ঢাকায় কর্মরত বিদেশী কুটনীতিক সবার মুখে মুখে উচ্চারিত হয় তাঁর নাম। দেশের গ্রাম-গঞ্জ, শহর-বন্দর, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সর্বত্রই এরশাদ। ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর হঠাৎ তাকে কৃতিম অসুস্থ দেখিয়ে হাসপাতালে থাকতে বাধ্য করা ফুঁসে ওঠে জনতা। কিন্তু ততদিনে ‘ঘরের শত্রæ বিভীষণ’ প্রবাদকে বাস্তবে রুপ দিয়ে স্ত্রী রওশন এরশাদ কার্যত জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনে পরিণত করে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে কয়েকটি এমপিত্ব ভাগবাটোয়ারা করে নেন। স্বামীকে ল্যাং মেরে রওশন হয়ে যান বিরোধী দলীয় নেতা। এখন তিনি করছেন হায় আফসোস! আত্মপরিচয়ের জন্য করছেন বিলাপ।
এদিকে ‘বিএনপি নেতাদের অর্ধেক জাপায় আসবে’সহ কয়েকটি বালখিল্য কথাবার্তায় এরশাদের ইমেজ নীচে নামছে। অথচ এরশাদের প্রতি দেশের মানুষের প্রত্যাশা সাগর-মহাসাগরের সমান। সাগর-মহাসাগরের প্রতি মানুষের যেমন প্রত্যাশা অসীম; তেমনি এরশাদের কাছেও। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দোহাই দেয়া হলেও দেশ পরিচালনায় ‘সমতা, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার’ অনুপস্থিত। একই সঙ্গে জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করা হয়েছে। জনগণের ভোট দেয়ার অধিকার খর্ব হওয়ায় বিশ্বের দু’চারটি দেশ ছাড়া অধিকাংশ দেশ বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে সন্দিহান। জাতিসংঘ, আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ দাতাদেশ ও সংস্থা চায় সব দলের অংশগ্রহণে একাদশ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা। অথচ ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে সংবিধানের দোহাই দিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে করছে তালবাহনা। এখন এরশাদের মতো রাজনৈতিক মুরুব্বীর উচিত জনগণের পাশে দাঁড়ানো। প্রয়োজন জনগনের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। জীবনের শেষ বারের মতো নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্নের চেয়ে ‘ইতিহাস’ হয়ে মানুষের মাঝে বেছে থাকাই উত্তম। ক্ষমতা দীর্ঘায়িত, শেষ জীবনে ক্ষমতা যাওয়া বা আয়ুর দীর্ঘতা দ্বারা অমরত্ব লাভ করা যায় না। রাজনীতিকরা তার কর্মের ভিতর দিয়েই পৃথিবীতে বেঁচে থাকেন; ইতিহাস হন। একমাত্র কর্মই জীবনের সাফল্যের চাবিকাঠি। এ কর্ম করতে গিয়ে অনেক কষ্ট, ভয়ভীতি এমনকি মৃত্যুর আশঙ্কাও থাকে; তবুও পিছু হটলে চলে না। সামনে এগিয়ে চলাই জীবন। ক্ষমতার লোভ-স্থবিরতা রাজনীতিকের জন্য মৃত্যুর শামিল। মানব কল্যাণ এবং জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ব্যয়িত জীবন মানুষের মনে বেঁচে থাকে অনন্তকাল। রাজনীতিকদের বেঁচে থাকার মানে জৈবিকভাবে বেঁচে থাকা নয়, অমরত্ব লাভ করা। রাজনীতিকদের ক্ষণস্থায়ী জীবনকে ইতিহাসে বাঁচিয়ে রাখতে হলে তথা স্মরণীয়-বরণীয় করে রাখতে হলে কল্যাণকর কর্মের কোনো বিকল্প নেই। মৃত্যু অনিবার্য। যে নেতা নিঃস্বার্থভাবে জনগণের অধিকার আদায়ে নিজেদেরকে বিলিয়ে দেন- মৃত্যুর পরেও সে অমর হয়ে থাকেন দেশের মানুষের মাঝে। দেশের মানুষ তাদেরকে শ্রদ্ধায় স্মরণ করে। ’৯০ এ শুধু রক্তপাত এড়াতে যিনি দলীয় নেতাকর্মীদের প্রস্তাব তুচ্ছজ্ঞান করে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে পারেন; সেই প্রবীণ রাজনীতিক এরশাদের কাছে মানুষের প্রত্যাশা থাকতেই পারে। আর ইতিহাসের দায় বলে তো একটা কথা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।