পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ সব সময় লাঠিসোটা নিয়ে মারামারি করে নির্বাচন জিতে এসেছে এজন্য বিএনপিকে আরও কৌশলী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল অলি আহমদ। তিনি বলেন, প্রত্যেক দিন প্রেসক্লাবে বক্তব্য বা অবস্থান ধর্মঘটের মাধ্যমে খলেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয়।
আপনার প্রতিপক্ষকে দেখতে হবে। বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন একটা রাজনৈতিক দল, যারা সব সময় লাঠিসোটা নিয়ে মারামারি করে নির্বাচনে জিতে এসেছে। মঞ্চ করে নির্বাচনে জিতে এসেছে। তারা আপনার প্রতিপক্ষ। তাদের বিরুদ্ধে কিভাবে অগ্রসর হতে হবে সেটা চিন্তা করতে হবে। অনেক বেশি কৌশলী হতে হবে। গতকাল (সোমবার) জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন নামে একটি সংগঠন আয়োজিত বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং সংকটে আগামী জাতীয় নির্বাচন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
কর্নেল অলি আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগ যেভাবে নির্বাচনে বিজয়ী হয়, লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তায় নামে সেভাবে আমরা করতে চাই না। আমরা ওই পন্থা অবলম্বন করতে চাই না, আমরা শান্তিপূর্ণ পন্থায় এগোতে চাই। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ঢাকাসহ সারাদেশ অবরোধ করেছে। আমি সেদিন মন্ত্রী ছিলাম। তাদেরকে দমন করা কোনো কঠিন বিষয় ছিল না। কয়েকজন লোককে গ্রেফতার করলে সবকিছু দমন হত। আমি যেহেতু মুক্তিযোদ্ধা, গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করেছিলাম, আমাদের হাতে গণতন্ত্র হত্যা হোক সেটা আমরা চাইনি। নির্বাচন কমিশন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, স্যুট-কোট পরে এয়ারকন্ডিশন রুমে দিন কাটাচ্ছেন তারা। মাঝে মাঝে বিএনপিকে তাড়িত করে বক্তব্য রাখেন। এটা ধোঁকাবাজি, বিএনপি প্রতিনিয়ত এই ধোঁকার শিকার হচ্ছে।
বিগত সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিতদের সবাইকে ডাকার পরামর্শ দিয়ে অলি বলেন, তাদেরকে বলতে হবে- আইনসম্মত ও সাংবিধানিকভাবে আওয়ামী লীগ যেভাবে অবরোধ করেছিল বা অবস্থান ধর্মঘট করেছিল সে ধরনের কর্মসূচির দিকে যেতে। যে ভাল করবে আগামী দিন তাকেই পুরস্কৃত করা হবে, নমিনেশন দেওয়া হবে। একটা পদ্ধতিগতভাবে চলতে হবে। ২০ দলীয় জোটের অন্যতম এই শীর্ষ নেতা বলেন, ২০০৭-০৮ সালে আর্মির সময় যতগুলো মামলা হয়েছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে সব মামলা নিষ্পত্তি করা উচিত। যারা দুর্নীতি করেছে তাদের অবশ্যই শান্তি চাই। বেগম জিয়া ও তারেক জিয়াকে যে মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে সেখানে তারা সম্পৃক্ত নন। তৎকালীন সেনা সমর্থিত সরকারের সময় অনেক রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বর্তমান সরকারের অনেক নেতার বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছিল কিন্তু রাজনৈতিক বিবেচনায় তাদের মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হয়েছে। আর খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলাগুলো চালু রেখে হয়রানি করা হচ্ছে। সংগঠনের সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির সাভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম, এলডিপির যুগ্ম সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।