পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফারুক হোসাইন : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে নিলেই দলটি ভেঙে যাবে বলে প্রচার ছিল রাজনৈতিক মহলে। সরকারের মন্ত্রী থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের অনেকেই প্রকাশ্যে বলেছিলেন বিএনপি ভেঙে যাবে। কয়েকজন নেতা জাতীয় পার্টিতেও যোগ দেবে বলে ছড়ানো হয়েছিল। তবে এই প্রচারণাটি হিতে বিপরীত হয়ে দেখা দিয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কারাগারে পাঠানোর পর পর দলটি এখন অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত হয়েছে বলে দলের নেতারই স্বীকার করেন। আগের ছোট-খাটো দ্ব›দ্ব ও স্বার্থের কথা ভুলে সকলে এখন ঐক্যবদ্ধভাবেই দলটি পরিচালিত করছেন। সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন সকলে একসাথে বসে। বাস্তবায়নও হচ্ছে সবার অংশগ্রহণে। তৃণমূল থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও সংযুক্ত থাকছেন রাজপথের আন্দোলনে। মূল দলে ভাঙন সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়ে সরকার এখন নানা অপকৌশল ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির নেতারা। বিশেষ করে গত রোববার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন না দিয়ে নি¤œ আদালতের মামলার নথি চেয়েছে হাইকোর্ট।
আদালতের এই স্বাভাবিক নিয়মকেও ব্যবহার করে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টির জন্য বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা। বিএনপি নেতারা বলেন, উচ্চ আদালতের উপর আমাদের আস্থা রয়েছে। আদালত তার স্বাভাবিক নিয়মে মামলার নথি চাইতেই পারে। কিন্তু সেটিকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাজিয়ে আমাদের আইনজীবীদের বিপক্ষে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে এবং উস্কানি দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি অনলাইন পোর্টালের কথা উল্লেখ করে বিএনপি নেতারা বলেন, সরকারের উচ্ছিষ্টভোগী কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল আইনজীবীদের মধ্যে ঐক্য বিনষ্ট করার জন্য তাদেরকে নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এসব চিহ্নিত উচ্ছিষ্টভোগী ও অর্থলোভীদের সংবাদ থেকে দলের তৃণমূল থেকে সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার আহŸান জানিয়েছেন তারা।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, নি¤œ আদালত এখন সরকারের কব্জায়। তাদের নির্দেশেই চলে নি¤œ আদালত। তবে উচ্চ আদালতের প্রতি আমাদের আস্থা আছে। আশা করছি আদালত মিথ্যা ও প্রতিহিংসামূলক মামলায় কারাগারে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দেবে। তবে গত রোববার জামিন না দিয়ে মামলার নথি চাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আদালত তার স্বাভাবিক নিয়মে এই নথি চাইতেই পারে। সেটিই করা হয়েছে। কিন্তু সরকারের কিছু উচ্ছিষ্টভোগীরা এটিকে ব্যবহার করে বিএনপির আইনজীবীদের মধ্যে ঐক্য বিনষ্ট করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষকে সকল অপপ্রচার থেকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান। রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়াপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের তত্ত¡াবধানে দল পরিচালিত হচ্ছে। দলের সকল নেতাকর্মীরাই বিএনপি, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান প্রশ্নে এক ও ঐক্যবদ্ধ। এখানে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে কোন লাভ হবে না। বেগম জিয়া যে নির্দেশনা দিয়েছেন এবং তারেক রহমান যে নির্দেশ দিচ্ছেন সে অনুযায়ি দলের আইনজীবী থেকে শুরু করে দলের সবাই কাজ করছেন।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, গত রোববার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানিতে মামলার নথি চেয়েছে। এরফলে ওই নথি না আসা পর্যন্ত খালেদা জিয়াকে জেলেই থাকতে হচ্ছে। এটিকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অত্যন্ত রসাত্মকভাবে কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল সংবাদ পরিবেশন করেছে। এসব সংবাদে বেগম খালেদা জিয়ার জামিন না হওয়ার জন্য বিএনপিপন্থী আইনজীবী এবং বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের দায়ি করা হয়। বলা হয় তাদের মধ্যে বিভেদের কারণেই জামিন হচ্ছে না। একই বক্তব্য আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারাও দিচ্ছেন। তাদের এই বক্তব্য ও সংবাদকে একই সূত্রে গাঁথা বলে মনে করছেন বিএনপির নেতারা। বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এটিকের আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের রাজনীতির অংশ উল্লেখ করে বলেন, এটি নিছক প্রপাগান্ডা ও ষড়যন্ত্র। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের তত্ত¡াবধানে জাতীয়তাবাদী মনা সকল আইনজীবী এক ও ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন। সবার মতামতের প্রেক্ষিতেই যে কোন আইনি প্রক্রিয়া ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। খালেদা জিয়ার আপিল দায়েরকারী এই আইনজীবী বলেন, আইনজীবীদের নিয়ে যেসব বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে। আমাদের বিষয়ে এসব প্রপাগান্ডা না ছড়িয়ে আমরা তাদেরকে বলতে চাই নিজের ঘরের বিবাদ মিটান।
বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, আওয়ামী লীগ বরাবরই মিথ্যাচার করে থাকে। এজন্য তারা বিভিন্ন মাধ্যমকে গ্রহণ করে। তাদের কিছু উচ্ছিষ্টভোগী চিহ্নিত লোক থাকে যারা টাকা-পয়সা খেয়ে নানা ষড়যন্ত্রের নেতৃত্ব দেয়। তবে আমরা তাদেরকে সতর্ক করে দিয়ে বলতে চাই, বিএনপি কারো কোন পাতা ফাঁদে পা দেবে না। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলের কর্মী, তৃণমূলের নেতা থেকে শুরু করে শীর্ষ নেতারা ঐক্যবদ্ধ আছেন। বিএনপির ঐক্য বিনষ্ট করার চেষ্টা করলে তারা বার বার ব্যর্থই হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আইনজীবীদের নিয়ে যেসব বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে তা বোগাস। সম্পূর্ণ অসত্য কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। সত্যকে ভিন্ন দিকে নেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু দেশের মানুষ সবই দেখছে, কি হচ্ছে? কারা কি করছে? তারা সবই জানে। আমরা এসব অপপ্রচারের গুরুত্ব দেই না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।