পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা, যশোর ব্যুরো প: যশোর হাউজিং এস্টেট সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভুত ভাবে উপশহর স্কুল মাঠের জমিতে প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যশোর হাউজিং এস্টেট এ ব্যাপারে সদুত্তর দিতে পারেনি। নিরুপায় এলাকাবাসী বাদ প্রতিবাদের পথ বেছে নিয়েছেন। এলাকাবাসীর সহায়তায় স্কুলটির শিক্ষার্থীরা সোমবার সকাল ১১টায় যশোর শহরের উপশহর এলাকায় ঢাকা-মাগুরা মহাসড়কে এ মানববন্ধন করে। তারা আগামীকাল ২৮ ফেব্রæয়ারি যশোর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচী ঘোষণা করেছে। মানববন্ধনে স্কুলের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী অংশগ্রহন করেন। মানববন্ধনে অংশ গ্রহনকারীরা স্কুলের মাঠ দখলমুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। মানববন্ধন ছাড়াও সংবাদ সম্মেলন করেন স্কুলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন দোদুল ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক, আওয়ামীলীগ নেতা সুখেন মজুমদার, ৭ নম্বর সেক্টরের মেম্বার হাসান জহির ও প্রাক্তন ছাত্র হাবিবুর রহমান বাবুল।
জানা যায়, এলাবাসীর প্রচেষ্টায় উপশহর ৭ নম্বর সেক্টরে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৭১ সালে শহীদদের স্মরণে বিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয় ‘শহীদ স্মরণী বিদ্যালয়’। বিদ্যালয়ের ১ ও ২ নম্বর প্লটে বিদ্যালয়ের শিশুদের দৈনিক সমাবেশ ও খেলাধুলাসহ স্থানীয়রা ঈদের নামাজ আদায় করেন। কিন্তু জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ১৯৭৮ সালের ৮ এপ্রিল ১ নম্বর প্লটটি হাসিনা বেগম নামে এক নারীকে বরাদ্দ দেন। যার স্মারক নং-৪৫৬/এইচ,ই তাং-০৮/০৪/১৯৭৮। এরপর ১৯৮৪ সালে বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ হওয়ার পর বিদ্যালয়ের সামনের ১ ও ২ নম্বর প্লটটি বরাদ্দ পাওয়ার জন্য আবেদন করা হয়।
তৎকালীন বিদ্যালয়ের সভাপতি এ্যাডভোকেট রফিউদ্দিন এ আবেদন করেন ঢাকার জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ও যশোর জেলা প্রশাসক অফিসে। এর প্রেক্ষিতে ১৯৮৯ সালের ৩১ মার্চ জাতীয় গৃহায়নের খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী এবং রাজশাহীর গৃহায়নের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী ও তৎকালীন যশোর জেলা প্রশাসক বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন। তারা প্লট মালিককে দু’টি প্লটের পরিবর্তে যশোর হাউজিং এস্টেটের অধীনে নতুন প্লট বরাদ্দের আশ্বাস দেন। ওই সময় সংসদ সদস্য আব্দুল হাই বিদ্যালয় পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসককে বিদ্যালয়ের পক্ষে প্লট দুটি বরাদ্দ দেয়ার সুপারিশ করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৯ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীন বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মনিরুজ্জামান ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রবিউল আলমের মধ্যস্থতায় প্লট মালিক ও বিদ্যালয় র্কর্তৃপক্ষের সাথে আপোশনামায় স্বাক্ষর করা হয়। কিন্তু ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি প্লট মালিক হাসিনা বেগম প্লটটি এনামুল হক নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন। ওই সালে প্লট মালিক তার প্লটে নির্মাণ কাজ শুরু করলে স্থানীয় জনগণের বাঁধায় কাজ বন্ধ করে দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।