Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আগামী মাসে চীনের সঙ্গে সীমান্ত আলোচনায় বসছে ভুটান

| প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : আগামী মাসে থিম্পুতে ২৫তম রাউন্ডের সীমান্ত আলোচনায় বসতে যাচ্ছে ভুটান ও চীন। দুই পক্ষে নেতৃত্ব দিবেন ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিওনপো দামশো দর্জি এবং চীনা ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোং জুয়ানইউ। দোকলাম সমস্যার কারণে গত বছর সীমান্ত আলোচনা বাতিল করা হয়েছিল। সে সময় ভারত ও চীনের সেনাবাহিনী প্রত্যন্ত হিমালয় অঞ্চলের ওই এলাকায় ৭৩ দিন ধরে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছিল। ভুটান ও চীন দুই দেশই দোকলামকে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করে। অবশেষ দুই দেশই তাদের সেনা সরিয়ে নিলে এবং চীন তাদের সড়ক নির্মাণ বন্ধ করলে দোকলামের অচলাবস্থার অবসান ঘটে।
ভারতের নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক শীর্ষ তিন ব্যক্তি- ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজর অজিত দোভাল, পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলে এবং সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াতের ভুটান সফরের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চীন-ভুটান সীমান্ত আলোচনা আয়োজনের অর্থ হলো বেইজিংয়ের সাথে থিম্পুর আলোচনার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে দিল্লীর সম্মতি রয়েছে।
সফরের সময় ভারতীয় প্রতিনিধি দল রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক, তার পিতা এবং সাবেক রাজা জিগমে সিঙ্গে ওয়াংচুক, প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগেসহ সিনিয়র মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন।
সূত্র জানিয়েছে, সংলাপ বন্ধ করে দেয়ার চেয়ে চীনের সাথে আলোচনায় জড়িত থাকা ভালো। বিশেষ করে ভারত যখন দোকলামে তাদের কৌশলগত অবস্থান পরিস্কার করেছে। দিল্লী ও ভুটানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এবং দুই দেশের কূটনীতিক সম্পর্ক পূর্তির ৫০তম বার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থিম্পু সফরের মধ্যে দিয়ে এই সম্পর্ক আরও গভীর হবে। ভুটানের রাষ্ট্রব্যবস্থায় রাজা জিগমে ওয়াংচুক দেশের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতি নিয়ন্ত্রণ করেন আর তারা পিতা এ ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান উপদেষ্টা। ভারতীয় প্রতিনিধি দল ও ভুটানের অভিযাতবর্গের মধ্যে বৈঠক তাই এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বাস্তবতা হলো, দোকলামের ঘটনার পরও ভুটানের সাথে সীমান্ত সমস্যার সমাধান করতে চায় চীন। আলোচনার সময় থিম্পুকে হয়তো আবার এ ব্যাপারে চাপ দেবে তারা। তারা হয়তো ভুটানের সাথে ভূমি বিনিময়ের প্রস্তাব দেবে। দক্ষিণ দোকলাম মালভূমি যেটা ভারতের শিলিগুরি করিডোরের কাছাকাছি, সেটার বিনিময়ে হয়তো উত্তর ও পূর্বদিকের জায়গা ভুটানকে দেয়ার প্রস্তাব দেবে চীন, ভুটান যেটা চায়। তবে এটাও একইভাবে সত্য যে, এ মুহূর্তে হয়তো এ ধরনের সমাধানের চিন্তা হয়তো তাদের নেই।
ভুটানের বিতর্কিত এলাকায় ভারতীয় বাহিনী চীনা বাহিনীর মুখোমুখি হয়েছিল- এর অর্থ হলো ভবিষ্যতেও এ বিষয়ে দিল্লী ও থিম্পু সহযোগিতা বজায় রাখবে। বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র বিষয়ক পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটিতে দোকলামের প্রসঙ্গ উঠেছিল। কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট ও কমিটির সদস্য রাহুল গান্ধী জানতে চান ভুটান ও চীন সম্ভাব্য ভূমি বিনিময়ের ব্যাপারে যে আলোচনা করেছে, সে ব্যাপারে সরকার অবগত রয়েছে কি না।
পররাষ্ট্র সচিব গোখলে এবং প্রতিরক্ষা সচিব সঞ্জয় মৈত্র তাদের উদ্বেগের বিষয়ে আশ্বস্ত করে পার্লামেন্টারি কমিটিকে জানান যে, ভুটান ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রক্ষা করছে। এবং সেখানে স্থিতিশীলতা ব্যাহত হবে না। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভুটান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ