পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : রাজধানীর মহাখালীর দক্ষিণপাড়া বড় মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় দুর্বৃত্তরা গুলি করে নাসির কাজী (৪৮) নামে এক ঠিকাদারকে হত্যা করেছে। গতকাল রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল রাত পর্যন্ত পুলিশ এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। নাসির খিলক্ষেত এলাকায় বিএম খালেক হত্যা মামলার আসামি ছিলো বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
নিহত নাসির উত্তরার দক্ষিণখানের মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কার্যালয়ের পাশে দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছিলেন। স¤প্রতি ঠিকাদারের কাজে তিনি মহাখালীতে পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় ওঠেন। তার গ্রামের বাড়ি শরিয়পুর ঘোষাইরহাট উপজেলার মাচুয়াকান্দী। বাবা সাত্তার কাজী। নিহতের ছোট ভাই মামুন কাজী জানান, ২০০৭ সালে দিকে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় খুন হওয়া সাবেক চেয়ারম্যান বিএম খালেক হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে এ কারণেও তাকে হত্যা করা হতে পারে। ওই হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ছিলেন নাসির কাজী। ওই মামলায় নাসিরকে ১৪ মাস জেলও খাটতে হয়। জেল থেকে বের হয়ে নাসির পরিবার নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। স¤প্রতি চেয়ারম্যানের স্বজনরা আমার ভাইকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। এ ব্যাপারে থানায় জিডি করার প্রস্তুতি নেয়া হয়। কিন্তু জিডি করার আগেই আমার ভাইকে মেরে ফেলা হলো। হুমকির বিষয়টি ভাই তার স্ত্রীর কাছে জানিয়ে গেছেন বলেও দাবি করেন নাসিরের ভাইরা-ভাই জসিম। তিনি বলেন, স¤প্রতি কারা কারা আমার ভাইরা-ভাইকে হুমকি দিয়েছিল, সে তথ্য আমার শালিকার (নাসিরের স্ত্রী) কাছে আছে। তবে নিহতের স্ত্রী সেলিনা আক্তার এ ব্যাপারে কোনো কিছু বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, এখন আর তাদের কথা বলে কী লাভ? তারা অনেক টাকা-পয়সার মালিক। তাদের সঙ্গে আমরা পারবো না। এ হত্যার বিচার কি প্রধানমন্ত্রী করবেন? আমরা গরীব, আমাদের দিকে কি কেউ তাকাবেন?
বনানী থানার এসআই আহসান হাবিব জানান, নাসির পেশায় ঠিকাদার ছিলেন। গতকাল রোববার সকালে সে শ্রমিকদের দিয়ে দক্ষিণপাড়া বড় মসজিদে টাইলসের কাজ করাচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ দুর্বৃত্তরা নাসিরকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের দেয়া খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে। তিনি আরও বলেন, নাসিরের মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।