পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম নগরীতে পাহাড়ধস ঠেকাতে ‘জাদুর ঘাস’ খ্যাত বিন্না ঘাস লাগাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে থাইল্যান্ড। থাই রাজা চট্টগ্রাম সফরকালে নিজহাতে বিন্না ঘাস লাগানো উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। গতকাল (রোববার) সিটি কর্পোরেশনের সম্মেলন কক্ষে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে মতবিনিময়কালে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত পানপিমন সুবন্নাপংসে এ তথ্য জানান। মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর ৪৭ ভাগই পাহাড়। প্রতিনিয়ত পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। অন্যদিকে পাহাড় থেকে নেমে আসা বালিতে নালা-নর্দমা দ্রæত ভরে গিয়ে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এসব সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পাহাড়ে বিন্না ঘাস লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে কর্পোরেশনের। এ কাজে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
মেয়র বলেন, আমাদের বাঙালি বিজ্ঞানি ড. শরীফুল ইসলামের উদ্ভাবন বিন্না ঘাস থাইল্যান্ডে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে। সেখানে থাইল্যান্ডের রাজকন্যা ওই প্রফেসরকে নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রদূত চট্টগ্রামেও বিন্না ঘাস প্রকল্প বাস্তবায়নের পক্ষে আমাকে পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে সহযোগিতা দিতে থাইল্যান্ডের একটি বিশেষজ্ঞ টিম চট্টগ্রাম আসে। বিশেষজ্ঞ দল প্রাথমিকভাবে গরীবউল্লাহ শাহ, আকবর শাহ এবং মতিঝর্ণা এলাকার পাহাড় পরিদর্শন করবেন। একই সাথে অন্যান্য পাহাড়ি এলাকাও পরিদর্শন করবেন। তবে আমরা প্রাথমিকভাবে একটি পাহাড়ে এই ঘাসের পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করবো। ফলাফল দেখে পরবর্তীতে বড় পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চিন্তা-ভাবনা করা হবে। গতকাল সন্ধ্যায় এ বিষয়ে ওই টিমের সাথে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক হয়। আজ (সোমবার) টিমের সদস্যরা হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রামের পাহাড় দেখবেন। আগামী ২৮-৩১ মে থাইল্যান্ডের রাজা বাংলাদেশে আসবেন, ৩০ মে তিনি চট্টগ্রামে রাতযাপন করবেন। তখন তিনি বিন্না ঘাস প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন পিএইচপি ফ্যামিলির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন, কাউন্সিলর ইসমাইল বালি, চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ড. মুস্তাফিজুর রহমান, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা নাজিয়া শিরিন, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি রেজাউল করিম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।