Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গোপালগঞ্জে বারি সরিষার বাম্পার ফলন

| প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

মোঃ অহেদুল হক, গোপালগঞ্জ থেকে : গোপালগঞ্জে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট উদ্ভাবিত বারি ১৪ ও ১৭ জাতের সরিষা হেক্টরে ২ টন উৎপাদত হয়েছে। এ জাতের সরিষা আবাদ সম্প্রসারিত হলে দেশে সরিষার আমদানী নির্ভরতা কমবে। প্রতি কেজি বারি এ দু’জাতের সরিষা থেকে ৫০০ গ্রাম তেল পাওয়া যায়। আবাদের মাত্র ৯০ দিনের মাথায় ক্ষেত থেকে এ সরিষা কাটিং করা যায়। তারপর ক্ষেতে ইরি-বোর আবাদ করা যায়। বারি সরিষা আবাদ করে গোপালগঞ্জের কৃষক বাম্পার ফলনের পাশাপাশি বিশাল মুনাফা করছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদীঘলিয়া গ্রামে বারি ১৪ ও ১৭ জাতের সরিষার উন্নত উৎপাদন প্রযুক্তির উপর মাঠ দিবস থেকে কৃষি বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য প্রদান করেন। বাংলাদেশ তেলবীজ ও ডাল ফসলের গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পের আর্থায়নে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউটের গোপালগঞ্জ সরেজমিন গবেষণা বিভাগ আয়োজিত এ মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রকল্প পরিচালক ড. আব্দুল লতিফ আকন্দ। অন্যান্যের মধ্যে গোপালগঞ্জ বিএডিসির ডিডি দিপংকর রায়, জেলা কৃষি সম্প্রসারনের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা হরলাল মধু, কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউটের উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এইচ. এম খায়রুল বাসার, কৃষক কবিরুল ইসলাম সহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন। এ বছর গোপালগঞ্জ জেলায় ১৭ হেক্টরে বারি ১৪ ও ৩ হেক্টরে বারি ১৭ জাতের সরিষার ৩০টি প্রদর্শনী প্লট করা হয় বলে কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউটের গোপালগঞ্জ সরেজমিন গবেষণা বিভাগ জানিয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদীঘলিয়া গ্রামে কৃষক মোঃ আবু সরদার বলেন, আমি অক্টোবরের ২য় সপ্তাহে বারি ১৪ জাতের সরিষা আবাদ করে ফেব্রæয়ারীর মাঝামাঝি কেটেছি। স্থানীয় জাতের সরিষা হেক্টরে ৬০০ কেজি বরাদ্দে ফলে। কিন্তু বারি সরিষা প্রতি হেক্টরে ২ টন ফলেছে। স্থানীয় জাতের তুলনায় তিনগুনেরও বেশি বারি সরিষা ফলায় আমি ব্যাপক মুনাফা করেছি। আমার এ সাফল্য দেখে আগামী বছর আমাদের গ্রামের অনেক কৃষক এ জাতের সরিষা আবাদের আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
ওই গ্রামের কৃষক আসাদ খাঁ, কবিরুল ইসলাম বলেন, বিগত ১০ বছরের মধ্যে আমদের জমিতে এ বছরই দেখার মতো বারি ১৪ ও ১৭ জাতের সরিষা ফলেছে। জমির সরিষা দেখে কৃষক ও পথচারি উদ্বুদ্ধ হয়েছে। তারা এ জাতের সরিষা আবাদে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা এ সরিষা আবাদ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছি। তেলবীজ ও ডাল ফসলের গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক ড. আব্দুল লতিফ আকন্দ বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় গোপালগঞ্জের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। একদিকে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে আবাসনের জন্য দিনদিন কৃষি জমি কমছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ কৃষককে দিয়ে আবাদ করিয়ে আমরা এ প্রকল্পের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধির চেষ্টা করে যাচ্ছি। গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা হরলাল মধু বলেন, বারি ১৪ ও ১৭ জাতের সরিষা আবাদ করে কৃষক কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপশি লাভবান হয়েছেন। এ জাতের সরিষা আবাদ সম্প্রসারিত হলে দেশে সরিষার আমদানী নির্ভরতা কমবে। এ সরিষার তেলের গুনগত মানও বেশ ভালো। এ ভাবেই কৃষকে বারি জাতের বিভন্ন ফসল আবাদে উদ্বুদ্ধ করে তেলবীজ ও ডাল ফসলের গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে গোপালগঞ্জের ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফলন

২৮ জানুয়ারি, ২০২৩
২৬ নভেম্বর, ২০২২
৬ ডিসেম্বর, ২০২১
৩০ নভেম্বর, ২০২১
১৩ অক্টোবর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ