পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : সন্ত্রাসী অর্থায়নের আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ তালিকায় ইসলামাবাদকে রাখার ট্রাম্প প্রশাসেনর প্রচেষ্টা অকার্যকর করতে পাকিস্তানের তিন ঘনিষ্ট সহযোগী চীন, সউদী আরব ও তুরস্ক ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। মার্কিন গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
পাকিস্তান যখন এক্ষেত্রে বিজয় দাবি করছে, তখন জাতিসঙ্ঘের প্রস্তাব অনুসারে যারা সন্ত্রাসী অর্থায়নের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি সেসব দেশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার জন্য প্যারিসে ফাইনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স এফএটিএ’র চলমান সভার পশ্চাতে থেকে কাজ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ের অগ্রগতি প্রশ্নে প্রথম রিপোর্ট প্রকাশ করা ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, এটা হচ্ছে সউদী আরব ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে প্রথম ‘বিরল মতবিরোধ’।
এতে বলা হয়, উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ জিসিসির পক্ষে কাজ করছে সউদী আরব।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্যারিসের বৈঠকে গতকালও একটি সিদ্ধান্তের ব্যাপারে চেষ্টা চালিয়ে গেছে। পাকিস্তান গত বুধবার দাবি করেছে, তারা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী অর্থায়ন পর্যবেক্ষণ তালিকায় অন্তর্ভুক্তির মার্কিন প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে যখন প্যারিস ভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা এফএটিএফ’র পক্ষ থেকে তারা তিন মাসের ছাড় লাভ করে।
বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী অর্থায়ন ও অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত বৈশ্বিক সংস্থা এফএটিএফ প্যারিসে এক বৈঠকে মিলিত হয়েছে যখন সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যে, কিছু ইউরোপীয় সহযোগীকে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা করছে পাকিস্তানকে আর্থিকভাবে সন্ত্রাসীদের সহায়তাকারী রাষ্ট্রের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে।
কর্মকর্তারা বলছেন, সউদী আরবের ওপর চাপ সৃষ্টিসহ মার্কিন উদ্যোগের ফলে বিষয়টি গতকাল বৃহস্পতিবারই একটি ভোট হবার সম্ভাবনা দেখা দেয়। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান সমর্থন আদায়ের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল।
দৈনিকটিতে বলা হয়, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অপর্যাপ্ত প্রচেষ্টার কারণে ট্রাম্প প্রশাসন রাগান্বিত এবং তারা ইসলামাবাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে চায়। গত মাসে তারা পাকিস্তানে বিলিয়ন ডলার নিরাপত্তা সহায়তা স্থগিত করে দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, পাকিস্তান হাক্কানি নেটওয়ার্ক এবং তালিবান মত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। ইসলামাবাদ বরাবর এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সর্বাবস্থায় পাকিস্তানের সহযোগী চীন, জেএম প্রধান মাসুদ আজহারকে সন্ত্রাসী আখ্যা দেয়ার মার্কিন ও ভারতীয় প্রচেষ্টা সব সময় নস্যাৎ করে দিয়েছে। পাকিস্তানের সন্ত্রাসী অর্থায়নের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ার কারণে সন্ত্রাসী অর্থায়ন পর্যবেক্ষণ তালিকায় ‘উচ্চ ঝুঁকির’ অন্তর্ভুক্ত হলে দেশটি চরম আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়বে।
এই অন্তর্ভুক্তির ফলস্বরূপ, ব্যাংক, অন্যান্য ঋণদাতা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি পাকিস্তানের সঙ্গে ব্যবসার স¤পর্কের বিষয় পুনর্বিবেচনা করতে পারে। এটা আগে থেকেই ধুঁকতে থাকরা দেশটির অর্থনীতির উপর আরো চাপ ফেলতে পারে- জানায় দৈনিকটি। এফএটিএফ সভা আজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত বুধবার মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র হিথার নুরেত বলেছেন, এফএটিএফ পাকিস্তানকে সন্ত্রাসী তহবিলের নিয়মাবলী মেনে চলার জন্য পর্যাপ্ত না করায় দেশটির ‘ধূসর তালিকা’তে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সূত্র : পিটিআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।