নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : চতুর্থ রাউন্ডে এসে মিরপুরে ফিরেছে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ। রানের পাহাড় গড়ে ম্যাচটি জিতে নিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। দিনের বাকি ম্যাচে জয় পেয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ১৫৯ রানের বড় ব্যবধানে হারায় মোহামেডান। টানা দুই হার দিয়ে লিগ শুরু করা সাবেক চ্যাম্পিয়নদের এটি টানা দ্বিতীয় জয়। ব্যাটসম্যানদের দায়ীত্বশীল ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৩৫ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে মোহামেডান। জবাবে এর ধারে কাছেও যেতে পারেনি আব্দুর রাজ্জাকের দল। ৩৭.৪ ওভারে ১৭৬ রানে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন ধীমান ঘোষ। বল হাতে মোহামেডানের কোন বোলারই বিমুখ হননি। ২টি করে উইকেট নেন শুভাশিষ, অনিক, এনামুল হক (২) ও বিপুল শর্মা।
তবে জয়ের মঞ্চ গড়ে দেন ব্যাটসম্যানরাই। দুই ভাই রনি ও জনি তালুকদারের ৯.২ ওভারে ৭১ রানের ঝড়ো উদ্বোধনী জুটির পর সেই ধারা ধরে রাখেন বাকিরাও। ৮৩ বলে ৯২ রান করা উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ইরফান শুক্কুর ছিলেন বেশি আগ্রাসী। সাবেক জাতীয় দলের খেলোয়াড় রাকিবুল হাসান করেন ৭৭ রান। এছাড়া বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দুটি চল্লিশোর্ধো ইনিংস খেলেন জনি তালুকদার ও বিপুল শর্মা।
বিকেএসপির মাঠে শাইনপুকুরও ৭ উইকেটে ২৯৪ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে হারায় ৮৮ রানের বড় ব্যবধানে। লিগে তাদেরও এটি দ্বিতীয় জয়। শাইনপুকুরের ইনিংসের প্রাণ হয়ে ছিল ভারতীয় উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান উদয় কাউলের ১৩৬ বলে ১৩৭ রানের ইনিংসটি। অনাবদ্য ইনিংসে ১২টি চার ও ৩টি ছক্কা হাঁকান উদয়। আফিফ হোসেন করেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৩ রান।
জবাবে অধিনায়ক নাফিস ইকবালকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে খেলাঘর। ইনিংসে ব্যাটই করতে পারেননি জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার। কারণটা অবশ্য জানা যায়নি। আরেক ওপেনার রাফসান আল মাহমুদ করেন সর্বোচ্চ ৬২ রান। বাকিরা শুরু করেও ইনিংস টেনে লম্বা করতে পারেননি। তাই ২০৬ রানে শেষ হয় তাদের ইনিংস। ২২ রানে ৩ উইকেট নেন রায়হান উদ্দিন।
তবে ফতুল্লায় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে পরে ব্যাট করে ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় শেখ জামাল। তৃতীয় জয়ে পয়েন্ট তালিকাতেও তারা উঠে এসেছে দুই নম্বরে। চার ম্যাচে শতভাগ জয় পাওয়া আবাহনী এই তালিকার শীর্ষে।
প্রাইম ব্যাংক ২২৭ রান করে অল আউট হলেও খেলে পুরো ৫০ ওভার। ব্যাট হাতে প্রত্যেকেই ভালো শুরু কবে বটে, কিন্তু কেউই বড় স্কোর গড়তে পারেননি। সর্বোচ্চ ৪১ রান (৭৫ বলে) করেন অধিনায়ক মেহেদী মারুফ। জবাবে টপ অর্ডারদের দায়ীত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৩২ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় নুরুল হানানের দল। সর্বোচ্চ ৬৭ রান করা জিয়াউর রহমান হন ম্যাচ সেরা।
মোহামেডান-অগ্রণী ব্যাংক, মিরপুর
মোহামেডান : ৫০ ওভারে ৩৩৫/৭ (জনি ৪৩, রনি ২৬, রকিবুল ৭৭, ইরফান ৯২, বিপুল ৪১; আল-আমিন ২/৭০, সৌম্য ২/৩২, রাজ্জাক ২/৭২)।
অগ্রণী ব্যাংক : ৩৭.৪ ওভারে ১৭৬ (শাহরিয়ার ২২, রাফাতুল্লাহ ২২, ধীমান ৪০, রাজ্জাক ২৩; শুভাশিস ২/২৯, অনিক ২/৪২, এনামুল ২/৩৫, তাইজুল ১/২১, বিপুল ২/২২, শামসুর ১/২৪)।
ফল : মোহামেডান ১৫৯ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : ইরফান শুক্কুর (মোহামেডান)।
শাইনপুকুর-খেলাঘর, বিকেএসপি ৩
শাইনপুকুর : ৫০ ওভারে ২৯৪/৭ (সাব্বির হোসেন ৩৪, উদয় ১৩৭, আফিফ ৪৩; সাদ্দাম ২/৩৮, মইনুল ২/১৭)।
খেলাঘর : ৪৫.৪ ওভারে ২০৬ (রাফসান ৬২, অমিত ৪৩; রাইহান ৩/২২, সাউফউদ্দিন ২/৪৪, আফিফ ২/৪৯)।
ফল : শাইনপুকুর ৮৮ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : উদয় কাউল (শাইনপুকুর)।
প্রাইম ব্যাংক-শেখ জামাল, ফতুল্লা
প্রাইম ব্যাংক : ৫০ ওভারে ২২৭ (মারুফ ৪১, সাজ্জাদুল ৩৫, জাকির ২৭, দেলওয়ার ২৬; রবিউল ৩/৩৪, ইলিয়াস ২/৩৪, আবু জায়েদ ২/৬১)।
শেখ জামাল : ৪৪.৪ ওভারে ২২৯/৫ (সৌকত ৩৯, জিয়াউর ৬৭, রঙ্গি ৩৯; মনির ২/৩৮, দেলওয়ার ১/৩১, আরিফুল ১/৩৮)।
ফল : শেখ জামাল ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : জিয়াউর রহমান (শেখ জামাল)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।