পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আনসার বিদ্রোহে অংশ নেওয়ার অভিযোগ থেকে খালাস পাওয়াদের মধ্যে যাদের বয়স ও শারীরিক সক্ষমতা অনুযায়ী আরো ৬৭৪ জনকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে যাদের চাকরির বয়স শেষে হয়ে গেছে বা শারীরিক-মানসিকভাবে চাকরি করতে অক্ষম তারা যতদিন চাকরি ছিলেন ততদিনের পেনশন সুবিধা দিতে বলেছেন আদালত।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে আনসার সদস্যদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, অ্যাডভোকেট সাহাবুদ্দীন খান লার্জ ও অ্যাডভোকেট রাশেদুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সূচীরা হোসাইন।
এর আগেও দুই দফায় হাইকোর্টের একই বেঞ্চ ১ হাজার ৭৩৬ জন চাকরিচ্যুত আনসার সদস্যকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে আনসার বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়, যা পরবর্তীকালে বিদ্রোহের রূপ নেয়। পরে সেনাবাহিনী বিদ্রোহ দমন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার পর কিছু সংখ্যক আনসার সদস্য পলাতক হন। এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টের আলোকে বিদ্রোহে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ হাজার ৪৯৬ জন আনসার সদস্যকে অ-অঙ্গীভূত (চাকরিচ্যুত) করা হয়। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হয়। পরবর্তীকালে বিভিন্ন সময়ে মামলার অভিযোগ থেকে আনসার সদস্যরা খালাস পান।
২ হাজার ৪৯৬ আনসার সদস্যের মধ্যে ১ হাজার ৭৩৬ জন চাকরিচ্যুত আনসার সদস্য চাকরিতে পুনর্বহাল ও প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত বিভিন্ন সময়ে রুল জারি করেন।
সেই ধারাবাহিকতায় আদালত আজ ৬৭৪ জন চাকরিচ্যুতকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।