নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ফয়সাল আমীন : কথায় বলে, শেষ ভালো যার সব ভালো তার। তবে শেষ ভালো হলেই যে সব ভালো হয়ে যায় না, তা এখন বাংলাদেশ দলের চাইতে ভালো করে আর কে বুঝবে! তবু শেষটা ভালো করতে চায় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার সাথে দুঃস্বপ্নের এক সিরিজের শেষ প্রান্তে বাংলাদেশ দলের চাওয়া তাই রবীন্দ্রনাথের গানের মতো- ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও যাও যাও গো এবার যাবার আগে’। গতকাল দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসে মাহমুদউল্লাহ গান-টান গাইলেন না বটে। তবে কথা ঘুরে ফিরে সেই একই থাকলো। শেষটা রাঙাতে চান তিনি। শেষটা না শুরটা? আজই যে প্রথমবারের মত সিলেটের এই মাঠে পা রাখতে যাচ্ছে বাংরাদেশ দল!
আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়ে গেছে বছর চারেক আগে। কদিন আগে টইটম্বুর গ্যালারিতে বিপিএলের সাড়া জাগানো আয়োজনও হয়ে গেল। তবু একটি কমতি ছিল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের। নিজেদের জাতীয় দলের পা পড়েনি এখনও! এবার শেষ হচ্ছে সেই অপেক্ষার প্রহর। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি দিয়ে নয়নাভিরাম এই মাঠে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের পথচলা। সিলেটে শুরুর ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য সুযোগ হতাশার সিরিজের শেষটা ভালো করার। দুপুরে সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলনের আগে সংবাদ সম্মেলনে আসেন মাহমুদউল্লাহ। বলেন, ‘টেস্ট সিরিজ ও ওয়ানডে সিরিজে আমরা আশাবাদী ছিলাম, কিন্তু আশানুরূপ ফল পাইনি। আর টি২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ব্যাটসম্যানরা ভালো পারফর্ম করেছে, কিন্তু বোলাররা হয়তো ঠিকমতো কাজ করতে পারেনি। কিন্তু এখনো একটা ম্যাচ আছে, আমরা সেটার জন্য খেলব। এই ভেবে অনুপ্রাণিত হওয়ার চেষ্টা করছি যেন আমরা সিরিজটা জিততে না পারি, অন্তত ড্র করতে পারি। এটাই আমাদের লক্ষ্য। যেহেতু প্রত্যেকটা ম্যাচই আমরা খেলেছি জেতার জন্য। চেষ্টা থাকবে এটাই, যেন আমরা ভালো একটা রেজাল্ট করতে পারি। তবে টানা খারাপ খবরের মধ্যে গতকাল একটা ভালো খবর দিলেন মাহমুদউল্লাহ। ইনজুরি কাটিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ওপেনার তামিম ইকবাল। আজকের ম্যাচে সৌম্যর সঙ্গী হয়ে তাঁর ওপেনিংয়ে নামার জোর সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানালেন দলনেতা।
চাপের সময়ে অধিনায়ক হওয়ার অভিজ্ঞতা মাহমুদউল্লার একেবারেই নতুন। অধিনায়ক সাকিব ইনজুরিতে। এতে সহ-অধিনায়ক তামিমকে টপকে অধিকায়ত্বের দায়িত্ব চাপে তার কাধে। প্রথম অভিজ্ঞতা খুব একটা যে সুখকর হয়নি তা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবু শেষ ম্যাচে নিজেরা সেরাটা দিয়ে এই সযোগের সদ্বব্যবহার করতে চান মাহমুদউল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা (অধিনায়ক হওয়া) দারুণ সুযোগ, দারুণ গর্বের বিষয়। এটা প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের জীবনেই দারুণ সুযোগ। আমি সুযোগটা পেয়েছি এবং আশা করি, আমার সেরাটা পরের ম্যাচে আরেকবার দিতে পারব।’
প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে নিজেদের সর্বোচ্চ স্কোর করেও হেরেছিলো বাংলাদেশ। তাই পরের ম্যাচে আর ঝুঁকি নিতে চান না দলনেতা। বললেন- ‘এখানে চেজ করা ভাল। তাই টসটা গুরুত্বপূর্ন।’ সঙ্গে এও যুক্ত করলেন- ‘টি-টোয়েন্টিতে আমার মনে হয়, প্রত্যেকটি বিভাগেই আপনাকে ভালো করতে হবে। আপনি ব্যাটিং করেন আগে বা বোলিং করেন। আপনি যদি আপনার স্কিল এক্সিকিউট করতে পারেন, তাহলে এটাই যথেষ্ট। কে আগে ব্যাটিং আগে করল বা বোলিং আগে করল তা বড় ফ্যাক্টর না। কন্ডিশন যদি একটু ভিন্ন থাকে তাহলে টসের ইস্যুতে বিবেচনার বিষয় থাকে। আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর যে তাগিদটা ওটা সবার মাথায় কাজ করছে। আশা করি, আমরা আশানুরূপ কিছু একটা মাঠে করে দেখাতে পারব। যেটা আমি আগেই বললাম যে, নিজেরা অনুপ্রাণিত হওয়া, বাংলাদেশ দলকে কিছু দেওয়ার জন্য বাড়তি কিছু করা। এই জিনিসগুলো নিয়ে আমরা চেষ্টা করছি। নিজেরাও ওই জিনিসটা অনুভব করছি। এবং আশা করছি, আমরা ভালো একটা শো দেখাতে পারব।’
মাহমুদল্লাহর মতো পুরো দেশবাসীরই প্রত্যাশা শেষ ম্যাচে অন্তত ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। সিলেটের মাঠে প্রথম ম্যাচে ‘ভালো একটা শো’ দেখাতে পারবে। যা আগামীর জ¦লুনী হয়ে থাকবে। এই সিরিজের পরই তো শ্রীলঙ্কায় ত্রিদেশীয় সিরিজ!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।