২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
বছরের পর বছর ব্যথায় ভুগেছেন, প্রচুর ব্যথার ওষুধ সেবন করেও কোন উপকার পাননি। মাত্র তিন সপ্তাহ ফিজিওথেরাপি নিয়ে এখন দিব্যি সুস্থ আছেন। এমন রোগীর যেমন অভাব নেই, তেমনি মাসব্যাপী ফিজিওথেরাপি নিয়েও কোন লাভ হয়নি এমন রোগীও আছেন। কেন এমনটি হচ্ছে তা বিশ্লেষণ প্রয়োজন। বিশ্লেষণের আগে জেনে নেই ফিজিওথেরাপি প্রয়োজন
এমন কয়েকটি কমন রোগ ও তাদের উপসর্গ :
কোমর ব্যথা
রোগের নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে মেরুদ-ের কোমরের অংশে ব্যথা হলে তা কোমর ব্যথা। তবে, এই কোমর ব্যথাই নানা কারণে হতে পারে। থাকতে পারে নানা ধরনের উপসর্গ। লাম্বার স্পন্ডাইলোসিস, পিএলআইডি কোমর ব্যথার অন্যতম প্রধান কারণগুলোর দুটি। অনেকে শুধু কোমরেই ব্যথা অনুভব করেন। অনেকের ব্যথা কোমর থেকে পায়ের দিকে চলে যায়, পা ঝি ঝি করে। অনেকে কোমরে কোন ব্যথাই অনুভব করেন না, ব্যথা হয় শুধু পায়ে। পা চিবায় বা ঝি ঝি করে। হাঁটতে গেলে ব্যথা শুরু হয়, বসে বা শুয়ে থাকলে কোন ব্যথাই থাকে না এমন অভিযোগও আমরা পাই রোগীর কাছ থেকে।
তো বিষয়টা অনেকের কাছেই গোল মেলে মনে হতে পারে! হ্যাঁ, কোমর ব্যথার যেমন নানা রূপ চিকিৎসার ক্ষেত্রেও এর ভিন্নতা রয়েছে।
ইদানিং ফিজিওথেরাপি খুব ভালো ব্যবসা, দু’চারটা মেশিন কিনে চেম্বার দিলেই কি ফিজিওথেরাপি? মোটেই না! ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা দেবার প্রথম শর্ত হলো রোগ নির্ণয়। আর এই রোগ নির্ণয়ের সময়েই ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক নির্ধারণ করবেন রোগীর ঠিক কি ধরনের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা লাগবে। অনেক রোগীর জন্য আউট ডোর চিকিৎসাই যথেষ্ট, অনেকের আবার প্রোয়জন ইনটেনসিভ ফিজিওথেরাপি। সিদ্ধান্তটা বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের।
ঘাড় ব্যথা
মাথা ঘুরছে অভিযোগ অনেক দিনের। ভার্টিগোর ওষুধ সাময়িক মুক্তি দিলেও পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেননি, বলছিলেন ৫৫ বছর বয়সী সাফিউল্লাহ সাহেব। একটি এক্স-রে করে দেখা গেল তিনি সারভাইক্যাল স্পন্ডাইলোসিসে আক্রান্ত। ঘাড়ের হাড় ক্ষয়ের অন্যতম উপসর্গ হলো মাথা ঘোরা। ঘাড় থেকে ব্যথা এক হাতে চলে যাওয়া, হাত ঝি ঝি ধরা, পিঠের দিকে ব্যথা চলে যাওয়া, প্রচ- হাত ব্যথাও ঘাড়ের রোগের কমন উপসর্গ ।
তবে কি এই উপসর্গগুলো থাকলেই ট্রাকশান আর আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি শুরু করে দেব? না, এখানেও রোগ নির্ণয়ই মূল কথা। চিকিৎসা এরপর। যারা ফার্মাসি চালান তারা কি চিকিৎসক? তেমনি ফিজিওথেরাপি সেন্টারের মালিক হলেই তিনি ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক নন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদ থেকে বিপিটি ধারিরা ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক, তবে তারা ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ নন। বিশেষজ্ঞ হতে হলে একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসককে নুন্যতম মাস্টার্স ইন ফিজিওথেরাপি (এমপিটি) বা সমমানের ডিগ্রি নিতে হবে।
প্রিয় পাঠক, দেখে নিন আপনি যে চিকিৎসা পাচ্ছেন তা কোন ক্যাটারগরির। তবে এক কথা অকপটে বলা যায়; সঠিক পদ্ধতিতে সঠিক রোগে সঠিক ফিজিওথেরাপি প্রয়োগ করতে পারলে তা প্রায় শত ভাগ কার্যকর।
ষ ডাঃ মোহাম্মদ আলী
চিফ কনসালট্যান্ট
হাসনা হেনা পেইন অ্যান্ড ফিজিওথেরাপি রিসার্চ সেন্টার (এইচপিআরসি)
ইউনিট-১ : বাড়ি-১, শায়েস্তা খান রোড, সেক্টর-৪, উত্তরা, ঢাকা। (হলি ল্যাব সংলগ্ন)
ইউনিট-২ : বাড়ি-২১, রোড-১০/এ, সেক্টর-১১, উত্তরা, ঢাকা।
মোবাইল- ০১৭৩২ ৭৬২ ৩৩৩, ০১৮৭২ ৫৫৫ ৪৪৪।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।