পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে : খালেদা জিয়া মুক্তিতে বিএনপির দেওয়া কর্সসূচিতে জনগণের কোন সাড়া নেই বলে মন্তব্য করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এই কসঙ্গে আন্দোলনের শক্তি না থাকায় বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির নামে আদালত অবমাননা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে দ্বিতীয় সেতু নির্মাণ প্রকল্পের সুপার স্ট্রাকচার কাজের উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া গ্রেফতারের পর বিএনপি অনশন, অবস্থান ও বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ করেছে। কোথাও তো পুলিশ বাধা দেয়নি। তারা আদালতের বিরুদ্ধে কর্মসূচি পালন করছে, এটি তাদের মনে রাখতে হবে। এ কর্মসূচি সরকারের বিরুদ্ধে নয়।ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার সাজার প্রতিক্রিয়ায় জনগণ কোনো সাড়াশব্দ করবে না এটা বিএনপি ভাবেনি। এখন অক্ষমতার অজুহাতকে তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের কৌশল হিসেবে প্রচার করছে। একটি ‘অর্থবহ’ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি বারবার একটা কথা বলতে চেয়েছি, আমরা প্রতিদ্ব›িদ্বতাহীন, নিরামিষ নির্বাচনে যেতে চাই না। প্রতিদ্ব›িদ্বতাহীন, নিরামিষ নির্বাচনের কোনো অর্থই নেই। নির্বাচনকে মিনিংফুল করতে হলে অর্থবহ নির্বাচনের জন্য আমরা অর্থবহ অংশগ্রহণ চাই। এবং সেখানে বিএনপি একটা বড় দল। আমরা চাইব, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিক। এখন তারা নিজেরাই একবার বলে তাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। খালেদা জিয়া ছাড়া যাবে, নাকি খালেদা জিয়াকে সঙ্গে নিয়ে যাবে, সেটা তো আদালতের বিষয়। সরকারের কোনো বিষয় নেই। বারবার মির্জা ফখরুল সরকারকে অভিযুক্ত করছেন। সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। আদালতের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারছেন না। এটা কথা বললে কন্টেম্প হবে। কিন্তু আদালতের আদেশ, এই আদেশ কিন্তু সরকারের নয়। এটা তাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয়। তারা নিজেরা যদি নিজেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়, সেটা তাদের ব্যাপার। তাদের সরানোর কোনো প্রকার চেষ্টা আমরা করছি না। খালেদা জিয়ার নামে কোনো শ্যোন অ্যারেস্টের কথা জানেন না মন্তব্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছি। কোনো প্রকার শ্যোন অ্যারেস্টের বিষয়ে তিনি আমাকে বলতে পারেননি। অহেতুক তারা অতীতের মতো, এটা তাদের পুরোনো অভ্যাস, অন্ধকারে ঢিল ছোড়া। শ্যোন অ্যারেস্ট হবে কি হবে না, কী হবে এটা আমার জানা নেই। যা কিছু হয় আদালতই করবে। আদালতের বাইরে সরকারের নির্দেশে খালেদা জিয়ার কোনো বিষয়ে আমাদের কোনো হাত নেই, কোনো হস্তক্ষেপ নেই।’ এ সময় দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর সব ফাউন্ডেশন নির্মাণ শেষ হয়েছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।