Inqilab Logo

রোববার, ২৩ জুন ২০২৪, ০৯ আষাঢ় ১৪৩১, ১৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ট্টগ্রামে অগ্নিকান্ডে ২৩ ফার্নিচার দোকান ছাই পুড়ে গেছে ১০টি বসতঘর

| প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো: নগরীর কর্ণেল হাট সিটি গেইটে গতকাল (শুক্রবার) এক অগ্নিকান্ডে ২৩টি ফার্নিচার দোকান ও ১০টি কাঁচা বসতঘর পুড়ে গেছে। ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত না হলেও আগুনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, সকাল আটটা ৩৫মিনিটে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের ১৩টি গাড়ি বেলা আড়াইটায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলেছেন, মীর ফিলিং স্টেশনের লাগোয়া একটি ফার্নিচার দোকানের কারখানায় প্রথম আগুন লাগে। কিছু সময়ের মধ্যেই আগুন আশপাশের পুরো এলাকায় ছড়িয়ে যায়। আসবাবপত্রের দোকানে স্প্রিড, রঙসহ দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করে।
নগরীর প্রবেশপথ সিটি গেট এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশেই স্টিলের কাঠামোর উপর দুই তলাবিশিষ্ট এসব আসবাবপত্রের দোকান সারিবদ্ধভাবে ছিল। জাহাজের পুরনো আসবাবপত্র বিক্রির জন্য এসব দোকানে রাখা হয়। পাশাপাশি কাঠের ও লোহার তৈরি আসবাবপত্রও বিক্রি হয়। প্রতিটি দোকানের পেছনেই তাদের কারখানা। দোকানের সাথে পুড়ে গেছে কারখানাও। ফলে তৈরী আসবাবপত্রের সাথে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে আসবাবপত্র তৈরীর উপকরণও। এতে পথে বসার উপক্রম হয়েছে ব্যবসায়ীদের। বিকেলে ফায়ারসার্ভিসের আগ্রাবাদ অফিস থেকে বলা হয় আগুনে ২৩টি ফার্নিচারের দোকান ও ১০টি বসতঘর পুড়ে গেছে। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানতে তদন্ত চলছে বলেও জানান কর্মকর্তারা। ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-সহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন ঘটনাস্থল ঘুরে এসে বলেন, মীর ফিলিং স্টেশনের তেলের রির্জার্ভারগুলো যেখানে রাখা হয় তার পাশেই একটি ফার্নিচার কারখানায় শুরুতে আগুন লাগে। এরপর ফার্নিচার দোকানগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। স্টিল স্ট্রাকচারের প্রতিটি ফ্লোরে একাধিক ফার্নিচারের দোকান ছিল। সেখানে প্রতিটি দোকানের মালিক একাধিক ব্যক্তি। মূলত শিপের (জাহাজের) ফার্নিচার বেশি থাকায় দাহ্য বস্তুর পরিমাণ ছিল বেশি। তাই দ্রæত আগুন ছড়িয়েছে। সকাল ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এতে কাজ করে আগ্রাবাদ, বন্দর, নন্দনকানন, কুমিরা এবং কালুরঘাট ফায়ার স্টেশনের মোট ১৩টি গাড়ি। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ তাৎক্ষণিক সম্ভব হয়নি। ছুটির দিন হওয়ায় প্রায় সব দোকানই বন্ধ ছিল বলে কেউ হতাহত হয়নি বলে জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অগ্নিকান্ড


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ