Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মানে ভিন্ন রিয়াল

| প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও রিয়াল মাদ্রিদ- যেন এক সুঁতোয় গাঁথা দুটি নাম। ফর্মহীনতার সব শঙ্কা যেন মিলিয়ে গেল গায়ে ইউরোপিয়ান জার্সি উঠতেই। দেখা গেল ভয়ঙ্কর সেই রিয়ালকে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোও জ্বলে উঠলেন নিজের প্রিয় আসরে। আর তাতে ঝলসে গেল প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলর বারুদে ম্যাচে পিএসজিকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে পরশু প্রকৃত রিয়ালকে দেখা গেছে মূলত ম্যাচের শেষ দশ মিনিটে। মড্রিচ-রোনালদো-মার্সেলো চূরমার করে দেন পিএসজির রক্ষণ। ড্র’য়ের দিকে এগুতে থাকা ম্যাচের জয়সূচক গোল দুটিও আসে এসময়। ৮২তম মিনিটে পিএসজি গোলরক্ষক অ্যারেওলার হাত থেকে ফিরে আসা বল ভাঘ্যক্রমে রোনালদোর হাঁটুতে লেগে জালে জড়ালে লিড নেয় রিয়াল। এর চার মিনিট পর দুর্দান্ত এক আক্রমণ থেকে জয়টা পোক্ত করেন মার্সেলো।
তবে বার্নাব্যুতে প্রথমার্ধের চিত্রটা ছিল ভিন্ন। স্বাগতিক দর্শকদের স্তব্ধ করে পিএসজিকে এগিয়ে নেন আদ্রিয়ান রাবিয়ত। বিপরীতে গোলরক্ষককে একা পেয়েও দুবার রোনালদো গোল করতে ব্যর্থ হলে আশনি সংকেতই শুনতে পাচ্ছিল লস বø্যাঙ্কোসরা। কিন্তু বিরতির বাঁশি বাঁজার আগ মুহূর্তে পেনাল্টি শট থেকে বার্নাব্যুতে স্বস্তি ফেরান রোনালদো। এই গোলের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে নির্দিষ্ট কোন ক্লাবের হয়ে একশ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন পর্তুগিজ তারকা। ১১ গোলে এবারের আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনি।
অথচ জিদানের এই দলই বিদায় নিয়েছে কোপা দেল রে থেকে। লা লিগার আশাও বলতে গেলে শেষ। পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান চারে। তাদের চেয়ে ১৭ পয়েন্টে এগিয়ে শীর্ষে বার্সেলোনা। এমমতাবস্থায় এদিন হারলেই পাহাড়সম চাপ এসে পড়ত কোচ জিনেদিন জিদানের উপর। কিন্তু এটা যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ! আসরের সর্বোচ্চ ও রেকর্ড টানা দুবারের চ্যাম্পিয়নরা প্রতিযোগিতায় ফিরেছে আপন ভঙ্গিমায়। রিয়াল অধিনায়ক সার্জিও রামোস যেন সমালোচোকদের সেইটা মনে করিয়ে দিলেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদকে কেউ মৃত মনে করলে ভুল করবে।’
জিদান অবশ্য এখনই আবেগের জলে ভাসছেন না। বেশ স্বতর্ক ফরাসি কোচের কন্ঠ, ‘আমরা ভালো একটা জয় পেয়েছি কিন্তু আমরা জানি, এখনও একটা ম্যাচ বাকি এবং এটা খুবই কঠিন ম্যাচ হবে। গত বছরও আমরা দেখেছি, যখন আপনি প্রতিপক্ষের মাঠে খেলবেন, তখন যে কোনো কিছু হতে পারে।’
এদিকে পিএসজি গোলদাতা রাবিয়তের মতে, পরিচিত সমস্যাগুলোর কারনেই পিএসজির এই হার। তিনি বলেন, ‘চ্যাম্পিয়নস লিগে আমরা এমন কিছু ম্যাচ খেলতে মাঠে নামি যেগুলোতে আসলে সুযোগ নষ্ট করার উপায় নাই।’ রাবিয়তের কথার সঙ্গ একমত হবেন যে কেউ। এদিন গোলের অনেকগুলো সুযোগ নষ্ট করে তারা। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে মহামূল্যবান একটি অ্যাওয়ে গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন নেইমার। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে ‘অচেনা’ এডিনসন কাভানিকে তুলে নেন কোচ উনাই এমিরি। গোল মিসের তালিকায় ছিলেন কিলিয়ান এমবাপেও।
গত মৌসুমেও বার্সেলোনার কাছে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে ঠিক একই পর্যায়ে থেকে বিদায় নিয়েছির পিএসজি। তারই পুনরাবৃত্তি যেন এবারও ঘটতে যাচ্ছে। ঐ সময় বার্সেলোনার হয়ে খেলেছিলেন নেইমার। তবে ইতিহাস থেকে প্রেরণার রসদ পেতে পারে প্যারিসের দলটি। ১৯৯৩ সালে তখনকার উয়েফা কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বার্নাব্যুতে ৩-১ ব্যবধানে হারের পর নিজেদের মাঠে ৪-১ গোলে জিতেছিল পিএসজি।
একনজরে ফল
রিয়াল মাদ্রিদ ৩
পিএসজি ১



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিয়াল

২১ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ