Inqilab Logo

সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪, ১০ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

প্রত্যাবাসন পরিস্থিতি অনুকূল নয় : জাতিসংঘ

রোহিঙ্গা বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের কঠোর সমালোচনা

প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম | আপডেট : ২:০৮ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮

ইনকিলাব ডেস্ক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায়, সেখান থেকে সেনাবাহিনীর হামলা-নির্যাতনের মুখে বাস্তুচ্যুত হয়ে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। গত মঙ্গলবার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এখনও বৌদ্ধ অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গাদের আসা অব্যাহত আছে বলে জানানো হয়। নিরাপত্তা পরিষদের আলোচনায় বক্তারা জানান, রোহিঙ্গা সংকট সমাধান মিয়ানমারকেই করতে হবে। বৈঠকে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি আম্মান থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে বলেন, রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি এখনো শরণার্থীদের ফিরে যাওয়ার জন্য অনুকূল নয়। জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত হু দু সুয়াং দাবি করেছেন, রাখাইনে কোনো গণকবরের সন্ধান পায়নি মিয়ানমার সরকারের তদন্তকারী দল। মাসুদ বিন মোমেন বলেন, মিয়ানমার যাই দাবি করুক না কেন, এখনও পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের আগমন অব্যাহত আছে। সা¤প্রতিক জরিপ বলছে, রাখাইনের উত্তরাঞ্চল থেকে এই মাসেই এসেছে অন্তত দেড় হাজার রোহিঙ্গা। যারা ক্ষুধা, আগ্রাসন ও প্রতিকূলতার শিকার ছিলেন। মার্কিন প্রতিনিধি নিক্কি হ্যালে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধানে যথাযথ উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ। গত মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এই উন্মুক্ত সাড়ে তিন ঘণ্টার এই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, বলিভিয়াসহ ১২টি দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। সভাপতিত্ব করেন কুয়েতের রাষ্ট্রদূত শেখ সাবাহ খালিদ আল হামাদ। জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব মিরো¯ø্যাভ জেনকা বলেন, রাখাইন প্রদেশে দ্ব›দ্ব-সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে হবে, সেখানে জাতিসংঘ কর্মকর্তাসহ অন্যদের প্রবেশাধিকার দিতে হবে এবং রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিতে হবে মিয়ানমার সরকারকে। তিনি বলেন, “ইতোমধ্যেই ঘটে যাওয়া নৃশংসতার অনেক ঘটনাই ধামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। এখনও যারা পৈতৃক ভিটেমাটি আঁকড়ে রাখার চেষ্টায় রয়েছেন, সেই রোহিঙ্গারা কী ধরনের হুমকি-ধমকি সহ্য করছেন, সেটিও খতিয়ে দেখার অবকাশ রয়েছে।” যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধি নিকি হ্যালি মিয়ানমারে গ্রেপ্তার দুই সাংবাদিকের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহŸান জানান। সভা শেষে বাইরে প্রেস ব্রিফিংয়ে যুক্তরাজ্যের মার্ক ফিল্ড, রাশিয়ার সের্গেই ল্যাভরব, পোল্যান্ডের এন্ড্রেজেজ ডুডা, কাজাখস্তানের নূরসুলতান নজরবায়েভসহ অন্যরাও মিয়ানমারের ভূমিকার সমালোচনা করে রাখাইনে শান্তি ফেরাতে কফি আনান কমিশনের সুপারিশগুলোর পূর্ণ বাস্তবায়ন দাবি করেন। মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কিয়াও তিন বলেন, মিয়ানমার রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। রয়টার্স, বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ