Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রেমিটেন্স বাড়াতে দক্ষ জনশক্তি পাঠানোর উদ্যোগ

| প্রকাশের সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম


অর্থনৈতিক রিপোর্টার : দক্ষ প্রশিক্ষিত কর্মী নিয়োগে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। এ জন্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) যৌথভাবে ‘এক্টিভিটি প্লান ফর স্কিলস ডেভেলপমেন্ট এ্যান্ড মাইগ্রেশন ম্যানেজমেন্ট’ নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রতিষ্ঠান দুটি ২০২১ সাল পর্যন্ত এক সঙ্গে কাজ করবে। দক্ষ জনশক্তি রফতানি হলে প্রবাসী আয় অনেক বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। দেশের প্রায় এক কোটি মানুষ বিদেশে চাকরি করে যে পরিমাণ রেমিটেন্স দেশে পাঠাচ্ছেন তার প্রায় সম পরিমাণ অর্থ বিদেশী দক্ষকর্মীরা বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রতি বছর দেশ থেকে আট থেকে নয় লাখ কর্মী বিভিন্ন দেশে চাকরি নিয়ে যাচ্ছে। দক্ষতার অভাবে তারা অনেক কম বেতনে চাকরি করছেন। অথচ অন্যদেশের কর্মীরা দক্ষতার কারণে বেশি বেতন পাচ্ছেন। দেশের প্রায় এক কোটি কর্মী বিদেশে চাকরি করলেও রেমিটেন্সের পরিমাণ বাড়ছে না। সর্বশেষ ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রেমিটেন্স এসেছে সাড়ে ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তার আগের অর্থবছরে রেমিটেন্স প্রবাহ ছিল প্রায় ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অদক্ষ জনশক্তি রফতানির কারণে রেমিটেন্স প্রবাহ দিন দিন কমে যাচ্ছে। অথচ বাংলাদেশে বিদেশী ৫ থেকে ৬ লাখ দক্ষ জনশক্তি কাজ করছেন। তারা প্রায় সম পরিমাণ অর্থ দেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছেন। এ কারণে মন্ত্রণালয় দক্ষতা বাড়ানোর জন্য আইওএমর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জানা গেছে, দালাল চক্রের মাধ্যমে বিদেশে বিপুলসংখ্যক অদক্ষ কর্মী যাওয়ার ফলে শুধু প্রবাসীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু রেমিটেন্স বাড়ছে না। এই অদক্ষ কর্মীরা বেশিরভাগই গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠী থেকে আসা। তাদের নানাভাবে প্রলোভনে ফেলে মধ্যস্বত্বভোগীরা হাতিয়ে নিচ্ছে বড় অংকের টাকা। তারা বিদেশে হাড় ভাঙ্গা খাটুনি খেটেও যে টাকায় বিদেশ গেছেন সেই টাকাই তুলতে পারেন না। আন্তর্জাতিক মানদন্ডে বাংলাদেশের কর্মীদের মান অনেক নিচে। এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে না পারলে লাখ লাখ কর্মী বিদেশ গেলেও রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়বে না। গুণগতমান ঠিক করতে না পারলে দেশের শ্রমবাজারগুলো হারাতে হতে পারে।

 



 

Show all comments
  • Saif ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১:৫০ এএম says : 0
    গুটা বিশেক ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম কানুন ছড়িয়ে দিন নির্ভুত জাতির উপরে আর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বেতন ভাতা বাড়িয়ে দিন। ম্যানপাওয়ার ছাড়পত্র বন্ধ রাখুন। দেখবেন আপনা আপনিই শ্রমিক রপ্তানি হুহু করে বেড়ে রেমিটেন্স গাছের উপর উঠে যাবে।
    Total Reply(0) Reply
  • রেজা আল রহমান ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১১:৫৪ এএম says : 0
    ভাইয়েরা, আমি একজন মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী। আমি আমার ২৩ বছরের প্রবাস জীবনে কোটি কোটি রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছি। যা সবই দৈনন্দিন জীবিকা নির্বাহেই খরচ হয়ে গেছে। যা দিয়ে আমার পরিবার আমার দেশ লাভবান হয়েছে। আর এখন? লাভবান হচ্ছে বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক দল, আজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্য আমাদের দিয়ে সঞ্চয় করে নিচ্ছে, আর আমরা হচ্ছি ক্ষতিগ্রস্থ। সরকার আমাদের কষ্টে অর্জিত টাকায় নির্লজ্জ ভাবে ভাগ বসাচ্ছে। এ কর ও কর বলে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা কেটে নিচ্ছে। সম্প্রতি আমি আমার স্ত্রীর একাউন্টে সোনালি ব্যাঙ্কে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা মাত্র কিছু দিনের জন্য রেখেছিলাম প্রয়োজনে উঠানোর জন্য। যখন শুনলাম ব্যাংক সেখান থকে ৩ হাজার ৮ শত টাকা কেটে রেখেছে তখন আমার ভীষন কান্না পেল। যেখানে আমার পাশের দেশ প্রবাশীদের নানা রকম সুবিধা দিচ্ছে, সেখানে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। কষ্টে আমাদের বুক ফেটে যায়। আমরা সব, সব কিছু থেকেই বঞ্চিত। তাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি দেশে আর টাকা পাঠাবনা। এখানেই ফিক্স ডিপোজীট করে রেখে দিব, প্রয়োজনে কিছু কিছু করে দেশে পাঠাব। ইনশা'আল্লাহ সব প্রবাশীই আস্তে আস্তে তাই করবে। বিকল্প পথ খুঁজে নেবে। আপনারা যারা দেশে আছেন তারা কেউই আমাদের বেদনা মোটেও বুঝেন না। কেউ প্রতিবাদও করেন না। দেশটা কাদের টাকায় চলে, প্রতিরক্ষা বাহিনী, চাকরীজীবিদের বেতন কাদের টাকায় হয় সেটা যদি বুঝতেন তা হলে নিশ্চয়ই এ সবের প্রতিবাদ করতেন। প্লীজ, আমার এই অন্তরের বেদনায় কেউ রাজনৈতিক গন্ধ খুজবেন না।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রেমিটেন্স


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ