রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
চাঁদপুর থেকে বি এম হান্নান : চাঁদপুরে এবার আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা দু’ লাখ ৭২ হাজার মে.টন নির্ধারণ করা হয়েছে। ৮টি উপজেলায় আলু চাষাবাদ ও উৎপাদন এ লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। বিভিন্ন জাতের আলু চাষাবাদ করে থাকে চাঁদপুরের কৃষক। কম-বেশি সব উপজেলাই আলুর ফলন ও চাষাবাদ হয়ে থাকে। বিশেষ করে আলু উৎপাদনকারী অঞ্চল গুলোর মধ্যে হচ্ছে সদর উপজলার সফরমালী, রালদিয়া মুন্সীরহাট, মতলব দক্ষিণ, নারায়ণপুর, কুমারডুগি, শাহাতলী, কেতুয়া। চলতি শীত মৌসুমে চাঁদপুরে আলু চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১২ হাজার ৮শ’ ৯০ হেক্টর এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৭২ হাজার ৬ শ’ ২৪ মে.টন।
চাঁদপুর কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রমতে, চলতি বছরে চাঁদপুর জেলায় ব্যাপক আলু চাষাবাদ করা হয়েছে। এবার অকালে বৃষ্টিপাত হওয়ায় প্রাথমিকভাবে চাষাবাদকৃত আলু রোপণের সময় নষ্ট হয়েছে। কিছ’দিন আগে চাঁদপুরে ৪ দিনের টানা বৃষ্টিতে আলুর আবাদি জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। রোপণকৃত আলু বীজ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছিলেন কৃষক।
সূত্রমতে, জেলায় ৩ হাজার ৭শ’ ৯২ হেক্টর জমির আলু বীজ পানির নিচে ছিলো। চলতি মৌসুমে জেলায় আলুর আবাদ লক্ষ্যমাত্রার ১২ হাজার ৮শ’৯০ হেক্টর এর মধ্যে ডিসেম্বর পর্যন্ত চাষাবাদ হয়েছিল ৪ হাজার ৬ শ’ ৯৫ হেক্টর জমিতে।
প্রাপ্ত তথ্যে চাঁদপুর সদরে এবার ২ হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪২ হাজার ৩ শ’ মে.টন। মতলব উত্তরে ৮শ’ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ হাজার ৯শ’ ২০ মে.টন । মতলব দক্ষিণে ৪ হাজার ৪শ’ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৩ হাজার ৬০ মে.টন । হাজীগঞ্জে ১ হাজার ৩শ’ ২০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ হাজার ৯ শ’ ১৮ মে.টন। শাহরাস্তিতে ৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৫৭ মে. টন। কচুয়ায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৪ হাজার ৬ শ’ মে.টন। ফরিদগঞ্জে ১শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ১শ’ ৭৩ মে.টন। এবং হাইমচরে ১শ’ ৭ ০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৫শ’ ৯৫মে.টন।
কয়েক জন কৃষকের সাথে কাথা বলে জানা যায়, বর্তমানে কৃষক লাঙ্গলের পরিবতে ট্রাক্টর, হোচার পরিবর্তে বিদ্যুৎ চালিত স্যালো সেচ ব্যবস্থায়, গোবর সারের পরিবর্তে বিভিন্ন প্রকার উন্নত রাসায়নিক সার ব্যবহার, উন্নত বীজ, পরিমিত কীটনাশকের ব্যবহার, নতুন নতুন জাতের উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়।
আবহাওয়ার অনুকূলে থাকলে আলুর বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষিবিদরা জানান। চাঁদপুর নদীবিধৌত কৃৃষিভিক্তিক অঞ্চল হওয়ায় কৃষক সময়মত চাষাবাদ, বীজবপন ও সঠিক পরিচর্যায় পারদর্শী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।