রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পার্বতীপুর (দিনাজপুর) থেকে এম এ জলিল সরকার : দিনাজপুরের রেলওয়ে জংশন খ্যাত ও খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ লক্ষাধীক মানুষের চিকিৎসার জন্য রয়েছে মাত্র ৩ জন ডাক্তার। এদের ১ জন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। তাকে সর্বক্ষনিক প্রশাসনিক কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। অন্য ২ জনকে দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা। ফলে ডাক্তার সংকটের কারনে উপজেলাবাসী সুচিকিৎসা পাচ্ছেনা।
পার্বতীপুর উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নের ৪ লক্ষাধীক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য উপজেলার হলদীবাড়ি এলাকায় স্থাপিত ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ৩৪ জন ডাক্তারের পদ থাকলেও বর্তমানে কর্মরত রয়েছে মাত্র ৩ জন। এই ৩ জন ডাক্তারের একজন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা। তাকে সার্বক্ষনিক প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। বর্তমানে মাত্র ২ জন ডাক্তার (মেডিকেল অফিসার) দিয়ে চলছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে স্বাস্থ্য সেবা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে দেড় থেকে দুই শত জন রোগী কমপ্লেক্সটির আউটডোরে চিকিৎসা সেবা নিতে আসে। ইনডোরেও সব সময় রোগী থাকে। তারপরও সবসময় খোলা থাকে জরুরি বিভাগ। ডাক্তারের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে অপারেশন থিয়োটার। ফলে ছোট খাটো অপারেশনের জন্য বাইরে যেতে হয় রোগীদের। দীর্ঘদিন ধরে অচল হয়ে পড়ে রয়েছে এক্স-রে মেশিন। সে কারনে রোগীদেরকে বাহিরে থেকে এক্স-রে করে নিয়ে আসতে হয়। এতে মানুষের ব্যয় ও ঝামেলা দুটোই বাড়ে। বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সহ ৩৪ জন ডাক্তারের পদ থাকলেও ডাক্তারের অভাবে মাত্র ৩ জন ডাক্তার (মেডিকেল অফিসার) ও মেডিকেল এসিসটেন্টদের নিয়ে জোড়া তালি দিয়ে চলছে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর চিকিৎসা সেবা। তার ফলে এই এলকার মানুষ সু-চিকিৎসা পাচ্ছে না। সু-চিকিৎসার জন্য বাধ্য হয়ে তাদেরকে বাইরে যেতে হচ্ছে। এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসা নিতে আসা রোগী সেকেন্দার আলী অভিযোগ করে বলেন, আমরা সাধারন গরিব মানুষরা অন্য কোথাও যেতে পারি না বলে এখানে চিকিৎসা নিতে আসি। কিন্তু অপারেশন থিয়েটার, এক্স-রে মেশিন ও ডাক্তারের অভাবে আমরা ভালো চিকিৎসা পাই না। উপজেলা আওয়ামী কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ হামিদুল ইসলাম প্রমানিক বলেন, ডাক্তার সংকটের কারনে একমাত্র সরকারী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা ব্যহত হচ্ছে। ৪ লক্ষাধীক মানুষ সু-চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অনতিবিলম্বে এই কমপ্লক্সে ডাক্তার সংকট নিরসন করে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার দাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ শহিদুজ্জামান বলেন, ডাক্তার সংকট সহ বিভিন্ন সমস্যার ব্যাপারে উদ্বর্তন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।